Militants in West Bengal: মুর্শিদাবাদের প্রত্যেক ব্লকে জঙ্গি ইউনিট? নতুন সংগঠনের গতিবিধি নিয়ে চিন্তায় গোয়েন্দারা
Militants in West Bengal: কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২৮ সেপ্টেম্বর ঢাকায় ওই সংগঠনের সঙ্গে জামাত উল মুজাহিদিনের ছায়াসঙ্গী সংগঠনের একটি বৈঠক হয়। সেখানে সংগঠনের ভারতীয় শাখার ৪ সদস্য উপস্থিত ছিল।
কলকাতা: চিন্তার শেষ নেই গোয়েন্দাদের। বাংলাদেশের অশান্তির আবহে যেন চিন্তার ভাঁজ যেন আরও চওড়া হয়েছে গোয়েন্দাদের কপালে। এরইমধ্যে বাংলার নানা প্রান্ত থেকে ধরা পড়েছে একাধিক জঙ্গি। নাশকতার ছক যে কষা হয়েছে সেই ইঙ্গিতও মিলেছে। এমনকী বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর উপরেও হামলা হতে পারে বলে গোয়েন্দা সূত্রে খবর মিলেছে। বাংলায় ঢুকেও পড়েছে জঙ্গিরা। ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে রাজ্য পুলিশকে সতর্ক করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। তবে রাজ্যে মাথাচাড়া দেওয়া নতুন একটি সংগঠনের কার্যকলাপে উদ্বেগ বাড়ছে গোয়েন্দাদের।
সূত্রের খবর, সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে ওই সংগঠনের গতিবিধি নিয়ে রিপোর্ট জমা পড়েছে। নজর রয়েছে রাজ্যের গোয়েন্দাদেরও। এও জানা যাচ্ছে, সংগঠনের সদর দফতর মধ্য প্রাচ্যের একটি দেশে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, গত ৩ সেপ্টেম্বর ওই সংগঠনে ভারতীয় শাখা মুর্শিদাবাদে বৈঠক করে। সেখানে সংগঠনের মাথা নির্দেশ দেন বাংলাদেশ থেকে একজন সংগঠনের কাজে আসবে। যার জন্য ফান্ডিংয়ের ব্যবস্থা করবে শা** আ** নামে এক সদ্স্য। প্রশিক্ষণ শেষে দু’জনই বাংলাদেশ যাবে সংগঠনের কাজের প্রয়োজনে।
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২৮ সেপ্টেম্বর ঢাকায় ওই সংগঠনের সঙ্গে জামাত উল মুজাহিদিনের ছায়াসঙ্গী সংগঠনের একটি বৈঠক হয়। সেখানে সংগঠনের ভারতীয় শাখার ৪ সদস্য উপস্থিত ছিল। বৈঠকের সিদ্ধান্ত হয়, মুর্শিদাবাদের প্রত্যেক ব্লকে সংগঠন বিস্তার করবে JMB ঘনিষ্ঠ সংগঠনটি। এক মৌলানাকে নির্দেশ দেওয়া হয় মধ্য প্রাচ্যের দেশটিতে সংগঠনের সদর দফতরের সঙ্গে ভাল যোগাযোগ বজায় রাখার জন্য। খেলা এখানেই শেষ নয়।
এই খবরটিও পড়ুন
২১ সেপ্টেম্বর লালগোলাতেও একটি বৈঠক হয়েছিল। সেখানে SDPI ও PFI-সহ ৩টি সংগঠনের বৈঠক হয়। লালগোলায় এক SDPI নেতার বাড়িতে হয়েছিল বৈঠক। গোয়েন্দাদের মতে, ভারতে গোয়েন্দাদের চাপে JMB-সহ বেশ কয়েকটি সংগঠন দুর্বল হতে শুরু করায় সেখান থেকে ছিটকে যাওয়া সদস্যদের একটি নতুন সংগঠনে নিয়ে আসার পরিকল্পনা শুরু হয়েছে। যার জন্য আদর্শ ভুলে অনেকগুলি সংগঠনকে এক ছাতার নিচে এনে ভারতে জেহাদি কার্যকলাপ ছড়ানোর চেষ্টা চলছে। শুরু হয়েছে সংগঠন বিস্তারের কাজ। সংগঠনটির গতিবিধি দেশবিরোধী কার্যকলাপের দিকেই এগোচ্ছে বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা। তাই স্বভাবতই উদ্বেগ বাড়ছে।