AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Kolkata Airport: ‘রাজারহাটে যে পুরসভা ছিল তাঁরা নিয়মের তোয়াক্কাই করত না’, এয়ারপোর্টের আশপাশে বহুতল সমস্যা নিয়ে ক্ষুব্ধ শোভন

Kolkata Airport: ছেড়ে কথা বলতে নারাজ বিজেপি। স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই দুর্নীতির অভিযোগে বিদ্ধ করছে রাজ্যের শাসকদলকে। তৃণমূলকে খোঁচা দিয়ে বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলছেন, “টাকা পেয়েছে তাই করেছে। তৃণমূলের আমলে পুরোটাই শপিং মল। আপনি যা চাইবেন করতে পারবেন। শুধু টাকার অঙ্কটা একটু বাড়াতে হবে।”

Kolkata Airport: ‘রাজারহাটে যে পুরসভা ছিল তাঁরা নিয়মের তোয়াক্কাই করত না’, এয়ারপোর্টের আশপাশে বহুতল সমস্যা নিয়ে ক্ষুব্ধ শোভন
শোভন চট্টোপাধ্যায় Image Credit: TV 9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Jun 15, 2025 | 4:25 PM
Share

কলকাতা: আমেদাবাদে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার পর কলকাতা বিমানবন্দরের আশপাশের এলাকায় বহুতল সমস্যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে চাপানউতোর। বিমানবন্দের পাশে বহুতল বানানোর ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট উচ্চতা পর্যন্ত অনুমতি মেলে। লাগে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের অনুমতিও। কলকাতা বিমানবন্দরের পাশে বহুতল নির্মাণের ক্ষেত্রে এই নিয়ম মানেনি স্থানীয় পুরসভা। অভিযোগ করছেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। 

কলকাতা বিমানবন্দরের রানওয়ের পাশে যে রাস্তা রয়েছে তাঁর বাম দিকেই কার্যত গড়ে উঠেছে একের পর এক বহুতল। এদিকে এয়ারপোর্ট অথোরিটির নিয়ম বলছে, ফানেল জ়োন অর্থাৎ এয়ারপোর্ট সংলগ্ন ২৫ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে ৩ তলার বেশি বাড়ি হতে পারে না। কিন্তু, এইসব এলাকাতেই কোথাও দাঁড়িয়ে রয়েছে ৪ তলা, কোথাও ৫ তলা, কোথাও আবার ৬ তলা বাড়ি। কিন্তু কীভাবে মিলছে অনুমতি? তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় বলছেন, পুরসভা বা স্থানীয় প্রশাসন এই বাড়িগুলিকে ছাড়পত্র দিতে পারে না। তিনি বলছেন, “যেখান থেকে বিমানটা আকাশে ওড়ে, আর যেখান থেকে নামে রানওয়েতে এই জায়গাকে বলে ফানেল জ়োন। এই জ়োনে একটা নির্দিষ্ট সীমার বাইরে কখনও কোনও বাড়ি করা যায় না। যদি হয়ে থাকে সেটা অন্য়ায়। সেটা উচিত নয়। এ নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য সবার গাইডলাইন রয়েছে।”

শোভন বলছেন, এয়ারপোর্টের আশপাশের এলাকা যেমন রাজারহাট, মধ্যমগ্রাম, বিরাটি এই সব অঞ্চল একসময় গ্রাম ছিল। আজ থেকে তিন দশক আগেই জনবসতি অনেকটাই কম ছিল। বহুতলও প্রায় ছিল না বললেই চলে। অন্যদিকে বিমান ওঠানামাও এয়ারপোর্টে অনেক কম করতো। কিন্তু, সময়ের তালে সবটাই বেড়েছে। কিন্তু, সময়ের সঙ্গে মানা হয়নি নিয়ম-নীতি। তিনি বলছেন, “১৯৯০-৯১ সাল নাগাদ এয়ারপোর্টে আশেপাশে যাঁরা বাস করতেন তখন খুবটা সেগুলি বিচার্য হত না। কিন্তু, পরবর্তিতে যাত্রী পরিবহণ বেড়েছে। বেসরকারি সংস্থা এসেছে। বিমান বেড়েছে। এদিকে ততদিনে রাজারহাটের পত্তন হয়ে গিয়েছে। রাজারহাটে যে পুরসভা ছিল তাঁরা নিয়মের তোয়াক্কাই করত না। তাঁরা এসব ক্লিয়ারেন্সের মধ্যেই যেত না। এর ফলে বিল্ডিংয়ের উচ্চতা বাড়তে বাড়তে আকাশছোঁয়া জায়গায় গিয়েছে।” 

তৃণমূল মুখপাত্র তন্ময় ঘোষ বলছেন, “চারটে ফানেল জ়োন কলকাতা বিমানবন্দরকে ঘিরে রয়েছে। কিন্তু, সমস্যা হচ্ছে কলকাতা এয়ারপোর্ট যখন তৈরি হয় তখন সেটা শহরের বাইরে ছিল। কিন্তু জনসংখ্যা বাড়তে বাড়তে তার আশপাশে জনবসতি গড়ে উঠেছে।” তবে নিয়ম বর্হিভূতভাবে কিছু হয়েছে বলে তাঁর জানা নেই। এদিকে ছেড়ে কথা বলতে নারাজ বিজেপি। স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই দুর্নীতির অভিযোগে বিদ্ধ করছে রাজ্যের শাসকদলকে। তৃণমূলকে খোঁচা দিয়ে বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলছেন, “টাকা পেয়েছে তাই করেছে। তৃণমূলের আমলে পুরোটাই শপিং মল। আপনি যা চাইবেন করতে পারবেন। শুধু টাকার অঙ্কটা একটু বাড়াতে হবে। চাইলে ওরা ভিক্টোরিয়াও বিক্রি করে দিতে পারবে।”