Madhyamik Merit List: মেধাতালিকা থেকে একেবারে ছিটকে গেল কলকাতা, কেন এই হাল? কী বলছে শিক্ষক মহল
Madhyamik Result: কলকাতার কারও নাম নেই মাধ্যমিকের মেধা তালিকায়। আর এই নিয়েই ইতিমধ্যেই চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে শিক্ষক মহলে। কেন ১১৮ জনের তালিকায় কলকাতা থেকে একজনেরও নাম নেই, কোথায় খামতি তা নিয়ে শুরু হয়েছে চুলচেরা বিশ্লেষণ।

কলকাতা: গতবার ছিল একজন। এবার সেটাও হল না। মাধ্যমিকের মেধাতালিকায় (Madhyamik Merit List) শূন্য হয়ে গেল কলকাতা। মাধ্যমিকের মেধাতালিকায় প্রথম দশে জায়গায় পেয়েছে ১৬টি জেলার ১১৮ পরীক্ষার্থী। ১১৮ জনের মধ্যে তিলোত্তমার কেউ নেই। এবারের মাধ্যমিকের মেধাতালিকায় মালদা থেকে ২১ জন, পূর্ব বর্ধমান থেকে ১৭ জন, বাঁকুড়া থেকে ১৪ জন, দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে ১৩ জন, পূর্ব মেদিনীপুর থেকে ১১ জন, উত্তর ২৪ পরগনা থেকে ৯ জন, পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে ৯ জন, পুরুলিয়া থেকে ৬ জন, হুগলি থেকে ৫ জন, হাওড়া থেকে ৪ জন, কোচবিহার থেকে ৩ জন, বীরভূম থেকে ২ জন এবং দক্ষিণ দিনাজপুর, জলপাইগুড়ি, ঝাড়গ্রাম ও নদিয়া থেকে ১ জন করে রয়েছে। কলকাতার কেউ কেন স্থান পেল মেধাতালিকায়, তা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে শিক্ষক মহলে। কেন ১১৮ জনের তালিকায় কলকাতা থেকে একজনেরও নাম নেই, কোথায় খামতি তা নিয়ে শুরু হয়েছে চুলচেরা বিশ্লেষণ।
শিক্ষাবিদ চন্দন মাইতি যেমন কলকাতার এই পরিসংখ্যান দেখে অবাক হয়ে যাচ্ছেন। বলছেন, কলকাতা জেলার একজনও কেউ ১১৮ জনের মেধাতালিকায় জায়গা পেল না তা ভাবতে অবাক লাগে। এর পাশাপাশি এতজন পরীক্ষার্থী যে অকৃতকার্য হয়েছে, সেটি ভেবেও বেশ অবাক তিনি। এই পরিস্থিতির অন্তর্তদন্ত ও পর্যালোচনার প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছেন তিনি। তাঁর প্রশ্ন, ‘শুধুমাত্র যাঁরা মেধাতালিকায় জায়গা পেল, শুধু কি তাঁদের নিয়েই মেতে থাকলে হবে?’ শিক্ষা দফতর ও মধ্য শিক্ষা পর্ষদের বিষয়টি নিয়ে ভাবার দরকার রয়েছে বলে মনে করছেন তিনি।
চন্দনবাবুর বক্তব্য, যে কলকাতা জেলা থেকে এককালে মেধাতালিকায় রমরমিয়ে থাকত, তা কেন দিনের পর দিন মেধাতালিকার বাইরে চলে যাচ্ছে? তা নিয়ে পর্যালোচনা করার প্রয়োজন রয়েছে। বললেন, ‘কয়েকশো স্কুল উঠে গিয়েছে। কয়েক হাজার শিক্ষক শিক্ষিকাকে বাইরে বদলি করা হচ্ছে। দীর্ঘদিন নিয়োগ নেই। কলকাতার মেধাসম্পন্ন ছাত্রছাত্রীরা বাংলা বোর্ডের উপর ভরসা রাখতে পারছে না।’
অন্যদিকে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ তথা অধ্যাপক দেবাশিস সরকার আবার বলছেন, কত শতাংশ নম্বর কত পড়ুয়া পেয়েছে, সেটির দিকেও নজর রাখা দরকার। তাঁর বক্তব্য, ‘কোনও একটি মিডিয়ামের নিরিখে মেধাকে বিচার করা শিক্ষাবিজ্ঞানের কোনও অ্যাপ্রোচ নয়। এত সহজে মেধার অবস্থান ও তার বিকাশ কীভাবে ঘটবে, তা তাৎক্ষণিক তথ্য থেকে বিশ্লেষণ করে বলা যায় না।’ দেবাশিসবাবুর মতে, কতজন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় বসার কথা ছিল, কতজন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় বসল, কতজনের এনরোলমেন্ট হল, কতজন অকৃতকার্য হল… সেগুলি দেখে চিন্তার কারণ রয়েই যাচ্ছে।
