Kasba Law College Case: কসবা ল কলেজের গণধর্ষণের ঘটনায় জামিন পেলেন ১ অভিযুক্ত
Kolkata: গত ২৫ জুন কসবা আইন কলেজে গণধর্ষণের অভিযোগে তোলপাড় হয় কলকাতা। অভিযোগ ওঠে ঘটনার দিন কলেজের মূল দরজা বন্ধ করে মেয়েটিকে গণধর্ষণ করা হয় সিকিউরিটি গার্ডের রুমে। শুধু ধর্ষণ নয়, হকিস্টিক দিয়ে তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়।

কসবা: কসবা গণধর্ষণ-কাণ্ডে জামিন পেলেন ওই কলেজের নিরাপত্তারক্ষী। সোমবার আলিপুর আদালত কুড়ি হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে এই জামিন মঞ্জুর করেছে। গণধর্ষণের ঘটনার প্রায় চার মাস পর জামিন পেলেন অভিযুক্ত। তবে এখনও জেলেই রয়েছেন মূল অভিযুক্ত সহ আরও দু’জন।
গত ২৫ জুন কসবা আইন কলেজে গণধর্ষণের অভিযোগে তোলপাড় হয় কলকাতা। অভিযোগ ওঠে, ঘটনার দিন কলেজের মূল দরজা বন্ধ করে মেয়েটিকে গণধর্ষণ করা হয় সিকিউরিটি গার্ডের রুমে। শুধু গণধর্ষণ নয়, হকিস্টিক দিয়ে তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়। নির্যাতিতার মাথায় আঘাতও লাগে। যে সময় এই ঘটনা ঘটেছিল, সেই সময় ডিউটিতে ছিলেন অভিযুক্ত নিরাপত্তারক্ষী। তবে সব কিছু দেখেও তিনি চুপ ছিলেন। তখনই প্রশ্ন ওঠে তাঁর ভূমিকা নিয়ে। নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে মূল অভিযুক্ত ও তাঁর সহকর্মীরা গ্রেফতার হন।
অভিযুক্ত নিরাপত্তারক্ষীর আইনজীবী এ দিন জামিন পাওয়ার পর বলেন, “নিরাপত্তারক্ষীকে জেলা আদালত চারমাসের মধ্যে জামিন দিল। আমরা কিছু তথ্য দেখাই, যে উনি ভয়ে ছিলেন তাই কিছু করার ছিল না। ওই কলেজের অন্য নিরাপত্তারক্ষীরাও বলেছেন যে আমার মক্কেলের কিছু করার ছিল না পরিবেশটাই এমন ছিল ওইখানকার। এখনও সম্পূর্ণ চার্জশিট জমা পড়েনি। সিসিটিভি ফুটেজও দিতে পারেনি।”
তিলোত্তমার ঘটনার পরও পরিস্থিতি যে বদলায়নি তা আরও একবার প্রমাণ করেছিল কসবার কাণ্ড। সেই আবহ কাটতে না কাটতে দুর্গাপুরেও গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। সেখানে দ্বিতীয় বর্ষের এক চিকিৎসক পড়ুয়াকে গণধর্ষণের অভিযোগ। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন পাঁচজন। জানা গিয়েছে, ওই ডাক্তারি পড়ুয়াকে নিয়ে তাঁর পুরুষ বন্ধু বেরিয়েছিলেন। সেই সময়ই বাইরে থেকে আসা কয়েকজন দুষ্কৃতী তাঁকে টেনে নিয়ে গিয়ে জঙ্গলে গণধর্ষণ করে। নির্যাতিতার বাবা ইতিমধ্যেই ওই পুরুষ বন্ধুর বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছে জাতীয় মহিলা কমিশন। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপের আর্জি জানিছেন তাঁরা।
