AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Kolkata Airport: বড় বিপদ কি বাগুইআটি-কৈখালিতেও হতে পারে? চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে

Kolkata Airport: জানা যাচ্ছে,বিধাননগর কর্পোরেশনের ৬ নম্বর ওয়ার্ড কৈখালি চিড়িয়া মোড়ে একটি বহুতল আবাসন গজিয়ে উঠেছিল। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ২০২১ সালের এপ্রিলে চিঠি পাঠায় বহুতলের প্রোমোটারকে।

Kolkata Airport: বড় বিপদ কি বাগুইআটি-কৈখালিতেও হতে পারে? চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে
প্রতীকী ছবিImage Credit: Wiki
| Edited By: | Updated on: Jun 13, 2025 | 8:40 PM
Share

কলকাতা: দুপুর ১টা বেজে ৩৯ মিনিট নাগাদ আহমেদাবাদ থেকে উড়েছিল বিমানটি। খানিকটা যাওয়ার পরই মেঘানি নগরের একটি মেডিক্যাল হস্টেলের উপর ভেঙে পড়ে সেটি। যার কারণে বিমানের ভিতরে থাকা যাত্রী তো বটেই, মৃত্য়ু হয়েছে হস্টেলের একাধিক ছাত্র ও আশপাশের কয়েকজনের। গতকালের এই বিষয়টিই কলকাতার জন্য ‘অ্যালার্মিং’ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কেন?

এয়ারপোর্টের কাছেই গড়ে উঠছে রাজারহাট, বাগুইআটি, নিউটাউন, কৈখালি, চিনারপার্ক, মধ্যমগ্রাম, বিরাটির মতো একাধিক শহর। ছাদের উপর দাঁড়ালেই মনে হয় যেন মাথার উপর দিয়ে যায় বিমান। এ দিকে, এই এলাকাগুলিতে গজিয়ে উঠেছে একাধিক বহুতল। বৃহস্পতিবারের ঘটনার পর যে কলকাতাকেও ভাবতে হবে বলার অপেক্ষা রাখে না।

বিমানবন্দর সংলগ্ন এলাকায় যে পাঁচটি পুরসভা ও পুরনিগরম রয়েছে। সেগুলি হল ১) দমদম পুরসভা, ২) নিউ ব্যারাকপুর পুরসভা, ৩) মধ্যমগ্রাম পুরসভা, ৪) উত্তর দমদম পুরসভা, ৫) বিধাননগর পুরনিগম। মূলত, বিমানবন্দর সংলগ্ন এলাকায় বহুতল নির্মাণের ক্ষেত্রে অনুমতি নিতে হয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের থেকে। জমির চারিত্রিক গত বৈশিষ্ট্য দেখে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ অনুমতি দেন। মূলত, ১৮.৪ মিটারের বেশি উচ্চতার বাড়ি তৈরি করা যায় না। তবে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, এই উচ্চতাকে তোয়াক্কা না করে গজিয়ে উঠেছে বহুতল আবাসন।

কলকাতা বিমানবন্দরের দু’টি রানওয়ে। একটি প্রাইমারি আর একটি সেকেন্ডারি। যদি প্রাইমারি রানওয়েতে কাজ হয়, তাহলে সেকেন্ডারি দিয়ে বিমান চলে। সেক্ষেত্রে এই উঁচু বিল্ডিংগুলি বিমান নামার ক্ষেত্রে অন্তরায়।

কেস স্টাডি

জানা যাচ্ছে,বিধাননগর কর্পোরেশনের ৬ নম্বর ওয়ার্ড কৈখালি চিড়িয়া মোড়ে একটি বহুতল আবাসন গজিয়ে উঠেছিল। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ২০২১ সালের এপ্রিলে চিঠি পাঠায় বহুতলের প্রোমোটারকে। এরপর ২০২৩ সালেও দ্বিতীয় চিঠি পাঠানো হয়। মোট সাতটি চিঠি পাঠানো হয়েছিল বহুতল নির্মাণকারী প্রোমোটারকে। তবুও কথা কানে না তোলায় শেষে চলতি বছরের ৩ মার্চ অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রকের কাছে অভিযোগ যায়। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এখনই যদি এই বিষয়ে সতর্ক না হওয়া যায় তাহলে বিপদ এলে হয়ত ভগবানই রক্ষা করতে পারবেন।