Calcutta High Court: চাকরির পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন এরাও, বড় নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের
Calcutta High Court:২০২২ সালে ১১ হাজার ৭৬৫টি শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। কিন্তু কারা সেখানে অংশ নিতে পারবেন তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, টেট উত্তীর্ণ এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ডিএলএড প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।

কলকাতা: ডিএলএড (D.EL.ED) চাকরিপ্রার্থীদের জন্য বড় নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। ২০২২-এর প্রাথমিক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ‘ন্যাশানাল ইন্সটিউট অফ ওপেন স্কুলিং’ (NIOS) থেকে পাশ করা শতাধিক চাকরিপ্রার্থী নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবে। স্পষ্ট জানাল কোর্ট। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ চাকরিপ্রার্থীদের নথি যাচাই করবে। তারপর আরও একটি মেধা তালিকা তৈরি করবে। এরপর চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগে অংশ গ্রহণের ব্যবস্থা করে দেবে পর্ষদ। শুক্রবার শুনানি চলার পর এমনই নির্দেশ দিলেন বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের।
মামলার ব্যাকগ্রাউন্ড
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে ১১ হাজার ৭৬৫টি শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সেইখানে কাদের অংশগ্রহণ কতটা বৈধ তা নিয়ে ওঠে বিস্তর প্রশ্ন। পরীক্ষা হয়ে যাওয়ার পর নিয়োগ প্রক্রিয়ার সময় জটিলতা তৈরি হয়। পর্ষদের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়, টেট উত্তীর্ণ এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ডিএলএড প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। আর যাঁরা ডিএলএড কোর্সে প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন তাঁরা আবেদন করতে পারবেন। কিন্তু কোর্স তাঁদের শেষ করতেই হবে। এদিকে, সেই সময় যাঁদের ডিএলএড ছিল না তাঁদের মধ্যে একশো জনের মতো সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে ন্যাশানাল ইন্সস্টিটিউট অব ওপেন ট্রেনিং স্কুলিং থেকে ডিএলএড শুরু করেন। শেষ সুপ্রিম কোর্ট তাঁদেরও নিয়োগে অংশ নেওয়ায় গ্রিন সিগন্যাল দেয়। এরপর একদল কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন। মামলাকারীদের দাবি, পর্ষদ ৩০ মে যে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে তাতে বলা হচ্ছে সুপ্রিম কোর্টে মামলাকারীরাই আবেদন করতে পারবেন। তাঁদের দাবি, পর্ষদের এই সিদ্ধান্ত সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরিপন্থী।
এই মামলার শুনানি ছিল আজ শুক্রবার। বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ন্যাশনাল স্কুলিং অফ ওপেন স্কুলিং থেকে স্নাতক হয়েছেন তাঁরা সকলেই চাকরির নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবে।

