AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Pakistan-China: দাদুর আমলের ট্যাঙ্ক নিয়ে মাঠে নামল পাকিস্তান, কাজে আসছে না ‘দাদা’ চিনের ‘হেল্প’

Pakistan-China: সঙ্কটকালে ‘দাদা’ চিনের কাছ হাত পেতেছে পাকিস্তান। পাকিস্তান চিন থেকে ৮টি সাবমেরিন অর্ডার করেছে বলে জানা যাচ্ছে। কিন্তু প্রযুক্তিগত সমস্যা এবং আর্থিক সমস্যার কারণে তা এখনও হাতে পায়নি পাক সেনা।

Pakistan-China: দাদুর আমলের ট্যাঙ্ক নিয়ে মাঠে নামল পাকিস্তান, কাজে আসছে না ‘দাদা’ চিনের ‘হেল্প’
প্রতীকী ছবি Image Credit: Facebook
| Edited By: | Updated on: Apr 27, 2025 | 12:55 PM
Share

কলকাতা: চাপ বাড়াচ্ছে ভারত। রণহুঙ্কার দিচ্ছে নৌসেনা। আকাশে চক্কর কাটছে মিগ, রাফালের মতো বিধ্বংসী সব যুদ্ধবিমানে। কাশ্মীরে ‘অ্যাক্টিভিটি’ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে ভারতীয় সেনা। বাড়ছে সেনার সংখ্যাও। চাপ বুঝে সীমান্তে সেনা সংখ্যা বাড়িয়েছে পাকিস্তানও। কিন্তু, ভারতের রণহুঙ্কারে হাঁটু যে কাঁপছে তা এক্কেবারে দিনের আলোর মতো পরিষ্কার। ভারতের রণসজ্জা দেখে দরদর করে ঘামছে ইসলামাবাদের কর্তারা। নিন্দার ঝড় উঠেছে দেশের অন্দরেই। খোঁচা শুনতে হচ্ছে নিজের দেশের মানুষের কাছ থেকেই। যুদ্ধ হলে নিরাপত্তার কারণে তা দুবাইয়ে শিফট করা হবে কিনা তা নিয়েও চলছে হাসিরর রোল। কিন্তু তাই বলে এই কাণ্ড? 

দাদুর আমলের ট্যাঙ্ক নিয়ে মাঠে পাকিস্তান 

পাকিস্তান এখন স্থল, আকাশ এবং সমুদ্র – সব দিক থেকেই আক্রমণের ভয় পাচ্ছে। ড্রোন হামলার ভয় একেবারে জাঁকিয়ে বসছে পাক সেনার মাথায়। সূত্রের খবর, সেই কারণেই পাকিস্তান সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে জিপিএস জ্যামিং করেছিল। নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার ইউনিটও মোতায়েন করা হয়েছিল। পাশাপাশি নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে পাকিস্তানি সৈন্যদের মোবাইল ফোন ব্যবহারও নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। এও শোনা যাচ্ছে, ভারতের টি-৯০ ট্যাঙ্ক ভীষ্মের মোকাবিলা করার জন্য পাকিস্তান বেশ কিছু পুরনো ট্যাঙ্ক এবং কামান মোতায়েন করছে। কারণ, পাক সেনার নতুন ট্যাঙ্কের বিরাট ঘাটতি রয়েছে। এর প্রমাণ ইতিমধ্যেই পাক অধিকৃত কাশ্মীর থেকে পাওয়া গেছে। সেখানে, ঝিলাম এলাকায় মরিচা পড়া খালিদ ট্যাঙ্কের গতিবিধি লক্ষ্য করা গিয়েছে। 

খারাপ হয়ে সাবমেরিন 

তবে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা পাকিস্তানি নৌবাহিনীর। স্বাস্থ্য ভেঙে পড়েছে সাবমেরিনগুলিরও। স্যাটেলাইট চিত্রেই সবটা পরিষ্কার। বেশ কয়েকদিন আগের করাচি ডক ইয়ার্ডের সেই ছবি নিয়ে চলছে জোর চর্চা। যেখানে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, পাকিস্তানের সাবমেরিনগুলি মেরামতির জন্য এখানে দাঁড়িয়ে আছে। সূত্রের খবর, আরব সাগরে পাকিস্তান নৌবাহিনীর মাত্র ২টি সাবমেরিন সক্রিয় রয়েছে। একইসঙ্গে এও জানা যাচ্ছে, করাচিতে পাকিস্তানের ৬টি সাবমেরিন হয় খারাপ হয়ে গিয়েছে, নাহলে সেগুলি আপগ্রেড করা হচ্ছে। আর তা পুরো হতে বেশ কয়েক মাস সময় তো লাগবেই। যা দেখে সমর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখন যা অবস্থা তাতে আরব সাগরে পাকিস্তানকে আটকানো ভারতের বাম হাতের খেল। 

‘দাদা’ চিনের হেল্প নিয়েও লাভ হচ্ছে না

যদিও সঙ্কটকালে ‘দাদা’ চিনের কাছ হাত পেতেছে পাকিস্তান। পাকিস্তান চিন থেকে ৮টি সাবমেরিন অর্ডার করেছে বলে জানা যাচ্ছে। কিন্তু প্রযুক্তিগত সমস্যা এবং আর্থিক সমস্যার কারণে তা এখনও হাতে পায়নি পাক সেনা। পাকিস্তানের বায়ুসেনাও বারবার চিনের দ্বারস্থ হয়েছে। কিন্তু চিনের ‘হেল্প’ নিয়ে একাধিকবার বেকায়দায় পড়তে হয়েছে তাঁদের। সূত্রের খবর, চিন পাকিস্তানকে মোট ৯টি এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম দিয়েছিল। কিন্তু, তারমধ্যে ৩৮৮টি গোলযোগ পাওয়া গিয়েছে। এগুলি থেকে নাকি আর ক্ষেপণাস্ত্রের আক্রমণ ঠেকাতে পারছে না। 

ধারেভারে কতটা বড় ভারতীয় সেনা? 

সমর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উপায় না পেয়েই পাকিস্তান বারবার তাঁদের পারমাণবিক শক্তির কথা বলে চিৎকার করে। কারণ, পাকিস্তান জানে যে ভারতের সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধে যাওয়া ওদের সামর্থ্যের বাইরে। সেই কারণেই মন্ত্রী থেকে শুরু করে প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ, সকলেই পারমাণবিক যুদ্ধের হুমকি দিচ্ছেন। এদিকে পাকিস্তানের মিডিয়া নিজেই বলছে যে ভারতের সেনাবাহিনী পাকিস্তানের চেয়ে চারগুণ বড়, ভারতের বিমান বাহিনী পাকিস্তানের চেয়ে ছয়গুণ বড়, ভারতের নৌবাহিনী আটগুণ বড়, যদি ভারতের সাথে সরাসরি যুদ্ধ হয় তবে পারমাণবিক যুদ্ধ ছাড়া ওদের আর কোনও বিকল্প নেই।