Physical Assault: নাদিয়ালে এক পক্ষাঘাতগ্রস্ত মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ
Physical Assault: ওই গৃহবধূ মূক ও বধির। তাঁর এক পাশ পক্ষাঘাতগ্রস্ত। তাঁর স্বামী কাজে সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। রোজই তাই হয়। স্ত্রীকে খাইয়ে স্নান করিয়ে ঘরের কাজ সেরে কাজে যান স্বামী। শুক্রবারও তাই হয়েছিল। অভিযোগ, গোটা বিষয়টি খেয়াল রাখত অভিযুক্ত।

কলকাতা: দুর্গাপুজো শেষ হতেই বাংলায় একাধিক ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। দুর্গাপুরে এক ডাক্তারি পড়ুয়াকে হাসপাতালের পিছনে টেনে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। তার মধ্যেই নাদিয়ালের আয়ুবনগরে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে নাদিয়াল থানার পুলিশ। নির্যাতিতার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তাঁর মেডিক্যাল টেস্টও হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই গৃহবধূ মূক ও বধির। তাঁর এক পাশ পক্ষাঘাতগ্রস্ত। তাঁর স্বামী কাজে সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। রোজই তাই হয়। স্ত্রীকে খাইয়ে স্নান করিয়ে ঘরের কাজ সেরে কাজে যান স্বামী। শুক্রবারও তাই হয়েছিল। অভিযোগ, গোটা বিষয়টি খেয়াল রাখত অভিযুক্ত।
শুক্রবার সকালে যখন নির্যাতিতার স্বামী বাইরে বেরিয়ে যান, তখনই সুযোগ বুঝে ঘরে ঢোকে অভিযুক্ত। যেহেতু মহিলার কথা বলার ক্ষমতা নেই, নড়তেও পারেন না সঠিকভাবে, ওই অবস্থাতেই তাঁর ওপর নির্যাতন চালিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে যায় অভিযুক্ত।
স্বামী বাড়ি ফেরার পর হাবেভাবে নির্যাতিতা সবটা বুঝিয়ে বলেন। এরপর নির্যাতিতার স্বামী নাদিয়াল থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ নির্যাতিতার বাড়িতে আসে। অভিযুক্ত বর্ণনা দেন। এরপর পুলিশ অভিযুক্তকে ধরে আনায় নির্যাতিতা তাঁকে শনাক্ত করেন। এরপর অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। নির্যাতিতাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ধৃতকে শনিবার আদালতে পেশ করা হবে।
অভিযোগ, শুক্রবার সন্ধ্যার পর এক সহপাঠীর সঙ্গে ফুচকা খেতে বেরিয়েছিলেন দ্বিতীয় বর্ষের ওই পড়ুয়া। রাস্তাতেই তাঁদের পথ আটকায় একদল দুষ্কৃতী। টানতে টানতে ক্যাম্পাসের পাশের জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করা হয়। ধর্ষণের পর তরুণীর মোবাইলও কেড়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এদিকে ঘটনার পর দীর্ঘ সময় কেটে গেলেও কোনও অভিযুক্তকেই এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
