AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Kolkata Airport: বিপদ হাতে নিয়ে বিমান উড়ছে কলকাতায়, হাড়হিম করে দেবে এই তথ্যগুলো

Kolkata Airport: গতকালের এয়ার ইন্ডিয়া বিমান দুর্ঘটনা আদৌ পাখির ধাক্কার কারণেই হয়েছে কি না বলা যাচ্ছে না, তবে ভূরি-ভূরি উদাহরণ রয়েছে, যেখানে পাখির ধাক্কার জেরে বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু এর থেকে কি আদৌ কিছু শিখেছে কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনা?

Kolkata Airport: বিপদ হাতে নিয়ে বিমান উড়ছে কলকাতায়, হাড়হিম করে দেবে এই তথ্যগুলো
বিপদের ঝুঁকি নিয়ে উড়ছে বিমানImage Credit: Tv9 Bangla GFX
| Edited By: | Updated on: Jun 13, 2025 | 7:39 PM
Share

কলকাতা: বৃহস্পতিবারের বিমান দুর্ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছে পুরো দেশকে। এই দুর্ঘটনার আসল কারণ কী, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে অসামরিক বিমান নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিজিসিএ (DGCA) বিমান দুর্ঘটনার কারণ হিসাবে পাখির ধাক্কার অনুমান করছে। গতকালের এয়ার ইন্ডিয়া বিমান দুর্ঘটনা আদৌ পাখির ধাক্কার কারণেই হয়েছে কি না বলা যাচ্ছে না, তবে ভূরি-ভূরি উদাহরণ রয়েছে, যেখানে পাখির ধাক্কার জেরে বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু এর থেকে কি আদৌ কিছু শিখেছে কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনা?

বিমানবন্দর সূত্রে খবর, শুধু কলকাতাতেই বহুবার বিমানে পাখি এসে ধাক্কা মেরেছে। তার তথ্যও রয়েছে। ক্রমশ বসতি যেন এগিয়ে আসছে বিমানবন্দরের দিকে। যা  চিন্তার কারণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু কী কারণে বিমান বন্দরে চত্বরে এত পাখির উৎপাত?

বিমানবন্দর সংলগ্ন পাঁচটি পুরসভা রয়েছে। তার মধ্যে প্রত্যেকটি পুরসভারই সমস্যা উন্মুক্ত আবর্জনা স্তূপ। আর গৃহস্থলীর উচ্ছিষ্ট আবর্জনা হল পাখিদের খাদ্য।

দমদম পুরসভার বিমানবন্দর থেকে ৭০০ মিটার দূরে এইচএমবি (HMB) ভ্যাট রয়েছে। সেখানে আবর্জনা স্তূপ পশুদের তো বটেই, পাখিদের আনাগোনা বাড়ায়।

দমদম পুরসভার আড়াই কিলোমিটার দূরে সাঁপুই পাড়া,রাজবাড়ি, সিদ্ধেশ্বরী লেক সেখানে জলাশয়ের ধারে প্রতিনিয়ত বাড়ছে ময়লা। নোংরা খাবারের জন্য পাখির আনাগোনা সর্বক্ষণ।

নিউ ব্যারাকপুর পুরসভা কলকাতা বিমানবন্দর থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ডাম্পিং গ্রাউন্ড। সেখানেও গৃহস্থলীর অব্যবহৃত খাদ্য সামগ্রীর জন্য পাখিরা ঘোরে। পাশাপাশি মাছ-মাংসের দোকান থেকে অবশিষ্ট অংশ ফেলা হচ্ছে।

দিগবেরিয়া বাদু রোড মাইকেল নগর। সেখানেও রয়েছে ভ্যাট। ন্যাশনাল হাইওয়ে ১২ ধারে ১৯ এল রানুয়ের ধারে এই আবর্জনা ভ্যাট রয়েছে। সেখানেও পাখির আনাগোনা সবসময়।

উত্তর দমদম পুরসভার এয়ারপোর্ট গেট নাম্বার তিন গৌরীপুর বাস স্ট্যান্ড ধারে ভ্যাট এবং বাজার রয়েছে। ক্রমাগত খাবারের লোভে পাখি ঘুরে বেড়ায়। পাশাপাশি বিমানবন্দরের পশ্চিম দিকে এক কিলোমিটার দূরে বাজার রয়েছে। সেখানেও প্রতিনিয়ত ফেলা হচ্ছে মাছ-মাংসের অবশিষ্ট অংশগুলো।

এখানেই শেষ নয়, বিধান নগর মিউনিসিপাল কর্পোরেশন বিমানবন্দরের পাঁচিল থেকে ৩০ ফুট দূরেই রয়েছে কম্প্যাক্টর। সেখানে উন্মুক্তভাবে ফেলা রয়েছে আবর্জনা। সেখানেও পাখিদের উপদ্রব বেশি।

বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেসওয়ে ডাম্পিং গ্রাউন্ড। যেখানে চারটি পুরসভার আবর্জনা ফেলা হয়। কলকাতা বিমানবন্দরের আশেপাশে সবচেয়ে বড় ডাম্পিং এটি। যা কলকাতা বিমানবন্দর থেকে ৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এখানকার নোংরা আবর্জনায় সারাদিন রাত আগুন জ্বলতে দেখা যায়। সেখান থেকে নির্গত ধোঁয়া বিমান চলাচলে দৃশ্যমান্যতার ক্ষেত্রেও বাধা তৈরি করে।

কলকাতায় কতবার বিমানে পাখির ধাক্কা লেগেছে?

পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৮ সালে ৯ টি বিমানে পাখির ধাক্কা লেগেছে।

২০১৯ সালে সাতটি বিমানে পাখির ধাক্কা লেগেছে।

২০২০ সালে ১০টি বিমানে পাখির ধাক্কা লেগেছে।

২০২১ সালেও একই সংখ্যা। সেখানে ১০টি বিমানে পাখির ধাক্কা লেগেছে।

২০২২ সালে ন’টি বিমানে পাখির ধাক্কা লেগেছে।

২০২৩ সালে বিমানে ১৮টি পাখির ধাক্কা লেগেছে।

২০২৪ সালে ২৬টি বিমানে পাখির ধাক্কা লেগেছে।

২০২৫ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত ৪টি বিমানে পাখির ধাক্কা লেগেছে।

ফলত, বোঝাই যাচ্ছে কীভাবে বিপদ হাতে নিয়ে ক্রগমাত কলকাতার আকাশ থেকে উড়ছে বিমানগুলি। দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান হরিন্দর সিং বলেন, “দমদম পুরসভা এইচএমভি ভ্যাট কভারেজের কাজ শুরু হয়েছে। মোটামুটি শেষে। আর কোনও অসুবিধা নেই। পাখিগুলোর জন্যই বিমান কর্তৃপক্ষ বলেছিলেন। আমরা সে কথা শুনেছি।”