Calcutta High Court: ময়নাতদন্তকারী অফিসারকে ফোন পুলিশের, কল রিপোর্ট দেখে বিস্মিত কলকাতা হাইকোর্ট
Khejuri Case: যদিও এদিন সিআইডি একমাত্র ময়নাতদন্ত কারী চিকিৎসক ও তদন্তকারী অফিসারের মোবাইলের কল লিস্ট আদালতে দিয়ে জানায়, তাতে সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়নি।তবে, অ্যাডভোকেট জেনারেলের বক্তব্য শুনে বিচারপতি বসাক এই যুক্তির পিছনে কী তথ্য প্রমাণ আছে তা জানতে চান।

কলকাতা: পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরিতে জলসা দেখতে গিয়ে দুই বিজেপি কর্মীর দেহ উদ্ধার হয়। সেই ঘটনায় ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দু’বার ভিন্ন আসে। কেন এমনটা হবে? তা নিয়ে আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল পুলিশকে। ৩ সেপ্টেম্বর হওয়া মামলার শুনানিতে সতেরো জনের কল রেকর্ড চেয়ে পাঠায় বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ। সেই মামলার শুনানি ছিল আজ, সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর)। তবে তদন্তকারী অফিসারের ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ আরও জোরাল আদালতের।
এ দিন, তমলুক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ময়না তদন্তকারী চিকিৎসকের ফোনের কল ডিটেলস পরীক্ষা করে প্রাথমিক রিপোর্ট কোর্টে জমা দেয় পুলিশ। সেই রিপোর্ট দেখে বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি শব্বার রশিদির বেঞ্চ বিস্মিত। ময়না তদন্তকারী চিকিৎসকে পিএম-এর (post-mortem) ঠিক আগে এবং পরে একাধিকবার ওই তদন্তকারী অফিসার (IO) ফোন করেছিলেন। এরপরই আদালতের প্রশ্ন,তদন্তকারী অফিসারের ভূমিকা সন্দেহের উর্দ্ধে নয়। কেন IO (investigating officer) ফোন করবেন চিকিৎসক কে? প্রশ্ন তোলে কোর্ট।
যদিও এদিন সিআইডি একমাত্র ময়নাতদন্ত কারী চিকিৎসক ও তদন্তকারী অফিসারের মোবাইলের কল লিস্ট আদালতে দিয়ে জানায়, তাতে সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়নি।তবে, অ্যাডভোকেট জেনারেলের বক্তব্য শুনে বিচারপতি বসাক এই যুক্তির পিছনে কী তথ্য প্রমাণ আছে তা জানতে চান। এজি জানান, এখনো পর্যন্ত তেমন কোনও তথ্য নেই। ওই চিকিৎসক জানিয়েছেন, তেমন কোনও কারণে ফোন করেননি ওই পুলিশ অফিসার (IO)।
এজির সওয়াল শুনে আদালতের বক্তব্য, যেখানে কোনও তথ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি, শুধু মুখের কথাতেই রাজ্য জানিয়ে দিচ্ছে…. তাহলে কীসের ভিত্তিতে রাজ্য বলে দিচ্ছে যে সন্দেহজনক কিছু নেই? রাজ্য আগামী সোমবার সেইসব নথি দেওয়ার জন্য সময় চেয়েছে। ফলে আগামী সোমবার ফের খেজুরি মামলার শুনানি।
বস্তুত, গত ১২ জুলাই জলসা দেখতে গিয়ে সুজিত দাস ও সুজিত পাইক নামে দুই বিজেপি কর্মীর মৃত্যু হয়। সেই ঘটনায় তমলুক মেডিক্যাল কলেজের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেখে পুলিশ দাবি করেছিল বিদ্যুৎস্পষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে। তবে মৃতদের পরিবার দাবি করেছিল খুন করা হয়েছে। পরবর্তীতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তাঁরা। আদালতের নির্দেশে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। সেখানে দেহে আঘাতের চিহ্ন মেলে। তখন থেকেই ফের জোরাল হয় খুনের তত্ত্ব। আজ ছিল সেই মামলার শুনানি।
