Nawsad Siddiqui: নওশাদকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে থানায় তলব, বিধায়কের প্রশ্ন, ‘এত সক্রিয়তা কেন?’
Nawsad Siddiqui: ই এম বাইবাসের ঘটনার ইতিমধ্যেই তদন্তে নেমেছে পুলিশ। এবার সেই ঘটনায় ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীকে সিআরপিসির ৪১ ধারায় নোটিস পাঠাল পুলিশ। আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে থানায় হাজিরা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
কলকাতা: ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীর গাড়ির চালকের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হয়েছে গড়ফা থানায়। বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোর অভিযোগ উঠেছে চালকের বিরুদ্ধে। অন্য একটি গাড়িতে ধাক্কা মারা ও বচসায় জড়ানোর অভিযোগ উঠেছে চালকের বিরুদ্ধে। গাড়িতে তখন বিধায়ক নিজেও ছিলেন। পরিস্থিতি সামলাতে গাড়ি থেকে নেমে এসেছিলেন তিনি। গোটা ঘটনার ইতিমধ্যেই তদন্তে নেমেছে পুলিশ। এবার সেই ঘটনায় ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীকে সিআরপিসির ৪১ ধারায় নোটিস পাঠাল পুলিশ। আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে থানায় হাজিরা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
ঘটনাটি ঘটেছিল মঙ্গলবার দুপুরে। ইএম বাইপাসের উপর দু’টি গাড়ির রেষারেষি চলছিল বলে অভিযোগ। তার মধ্যে একটি বিধায়ক নওশাদের গাড়ি ছিল। তখনই অপর গাড়িটিতে নওশাদের গাড়ি ধাক্কা মারে বলে অভিযোগ। বাদানুবাদও শুরু হয় রাস্তার উপর। নওশাদ নিজে গাড়ি থেকে নেমে পরিস্থিতি সামলান। সেই ঘটনার পর কলকাতা পুলিশের গড়ফা থানায় নওশাদ, তাঁর নিরাপত্তারক্ষী ও তাঁর গাড়ির চালকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছিল। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতেই এবার ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীকে সিআরপিসির ৪১ ধারায় নোটিস পাঠিয়েছে পুলিশ।
এই নোটিসের বিষয়ে ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রশ্ন তুলে দেন পুলিশের সক্রিয়তা নিয়ে। সন্ধেয় বিধায়ক জানিয়েছেন, তিনি এখনও পুলিশের নোটিস হাতে পাননি। নোটিস হাতে পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে বলে জানিয়েছেন নওশাদ। একইসঙ্গে তাঁর প্রশ্ন, ‘এত সক্রিয়তা কেন?’
প্রসঙ্গত, এর আগে ওই ঘটনার পর বিধায়ক বলেছিলেন, তিনি সেদিন জয়নগরে যাচ্ছিলেন। তখন তাঁর কনভয়ের গাড়িকে বার বার চেপে দেওয়ার চেষ্টা করছিল অপর গাড়িটি।