Jadavpur University: মানবাধিকার কমিশনের দ্বারস্থ যাদবপুরের শ্লীলতাহানিতে অভিযুক্ত অধ্যাপক, চিঠি ST কমিশনেও

Jadavpur University: যতদিন তদন্ত চলবে তিনি আর বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও কাজেই যুক্ত হতে পারবেন না বলে জানানো হয়েছিল কর্তৃপক্ষের তরফে। এই সিদ্ধান্ত তুলে নিয়ে তাঁকে তাঁর পুরনো অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতেও সরব হয়েছেন ওই অধ্যাপক।

Jadavpur University: মানবাধিকার কমিশনের দ্বারস্থ যাদবপুরের শ্লীলতাহানিতে অভিযুক্ত অধ্যাপক, চিঠি ST কমিশনেও
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 19, 2022 | 12:14 AM

কলকাতা: যাদবপুরের (Jadavpur University) শ্লীলতাহানিতে অভিযুক্ত অধ্যাপক এবার দ্বারস্থ হলেন মানবাধিকার কমিশনের (Human)। তাঁর দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে যে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে তা সম্পূর্ণভাবে মিথ্যা। তফসিলি জাতির হওয়ার জন্য তাঁকে টার্গেট করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। এদিকে অভিযোগ সামনে আসার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত কাজ থেকে সাময়িক ভাবে সাসপেন্ড করা হয়েছিল ওই অভিযুক্তকে। যতদিন তদন্ত চলবে তিনি আর বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও কাজেই যুক্ত হতে পারবেন না বলে জানানো হয়েছিল কর্তৃপক্ষের তরফে। এই সিদ্ধান্ত তুলে নিয়ে তাঁকে তাঁর পুরনো অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতেও সরব হয়েছেন ওই অধ্যাপক। সূত্রের খবর, মানবাধিকার কমিশনের(Human Rights Commission) পাশাপাশি তিনি তফসিলি কমিশনেও চিঠি দিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।     

প্রসঙ্গত, ঘটনার কথা জানিয়ে কিছুদিন আগেই ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছিলেন নির্যাতিতা। যা আলোড়ন ফেলে শিক্ষা মহলে। অভিযোগ দায়ের করেন যাদবপুর থানায়। এদিকে ছাত্রীর অভিযোগের পর পাল্টা একটি জিডি করেন অভিযুক্ত অধ্যাপক। সেখানেও তিনি তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ স্পটতই অস্বীকার করেন। যা নিয়েও হতে থাকে জলঘোলা। অভিযোগ, তারপর থেকেই বেপাত্তা অধ্যাপক। কিন্তু, কেন তাঁকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না সে প্রশ্ন বারেবারে তোলেন যাদবপুরের পড়ুয়ারা। এমনকী এ ঘটনার প্রতিবাদে ও পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে পথেও নামতে দেখা যায় যাদবপুরের পড়ুয়াদের। 

এদিকে এর আগে এ ঘটনার তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে দেখা যায় যাদবপুর থানার তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকদের। কথা বলেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রধানের সঙ্গে। এদিকে যাদবপুরের স্বশাসন বলে হোক কলরম আন্দোলনের পর থেকে যাদবপুরে কর্তৃপক্ষের অনুমতি বিনা পা রাখতে পারে না পুলিশ। কিন্তু, তারপরেও কেন পুলিশ গেল তা নিয়েও চাপানউতর শুরু হয়েছিল। এমতবস্থায় এবার অভিযুক্ত অধ্যাপক একেবারে সুরক্ষা চেয়ে মানবাধিকার কমিশনের দ্বারস্থ হওয়ায় কর্তৃপক্ষের অবস্থান কী হয় এখন সেটাই দেখার।