কলকাতা: তৎপর পরিবহন দফতর, প্রস্তুত রেলও। এবার গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি নিয়ে পূর্ব রেলের শিয়ালদহ ডিভিশনের বৈঠক করলেন ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার দীপক কুমার নিগম। শুধু গঙ্গাসাগর মেলার জন্যই চলবে ১৫টি অতিরিক্ত ট্রেন। শিয়ালদহ থেকে নামখানা পর্যন্ত চলবে এই ট্রেনগুলি। একইসঙ্গে দু’টি রেককে রিজার্ভে রাখা হচ্ছে। একটি শিয়ালদহে থাকবে, অন্যটি নামখানায়। যদি যাত্রী সংখ্যা মারাত্মকভাবে বাড়তে থাকে, তখন রিজার্ভে থাকা এই দু’টি ট্রেন চালানো হবে। নিত্যদিন এই শাখায় ৮৫টি ট্রেন চলাচল করে। ৯ জানুয়ারি থেকে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে অতিরিক্ত ট্রেন। যাত্রীদের চাপ কমানোর দু’টি ট্রেনের সময়ের ব্যবধানও অনেকটাই কমছে।
এ ছাড়াও গঙ্গাসাগর মেলার জন্য বাগবাজার থেকে প্রিন্সেপ ঘাট স্টেশন পর্যন্ত ৮ জানুয়ারি থেকে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত ট্রেনের গতি নিয়ন্ত্রণ করা হবে। ১৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টার গতিবেগে ট্রেন চালানো হবে বলে জানা যাচ্ছে রেল। বাবুঘাটে প্রচুর সাধু-সন্ন্যাসী এবং ভক্তদের ভিড় থাকবে, সে কারণে গঙ্গাস্নান অনেকেই করতে আসবেন এবং লাইনে হাঁটাচলা করবেন। সেই বিষয়টিকে মাথায় রেখেই ট্রেনের গতি নিয়ন্ত্রণ করা এবং বারবার হর্ন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। চালকরা যাতে বারবার হর্ন দেন সে বিষয়েও সতর্ক করা হচ্ছে।
অন্যদিকে কাশিনগর হল্ট স্টেশনে ১০ জানুয়ারি থেকে ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত কোনও ট্রেন থামবে না। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা শাসকের তরফেে ব্যাপারে রেল কে জানানো হয়েছিল। রেলে তরফে সে ব্যাপারে সম্মতি দেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তবে বাংলাদেশের সঙ্কটজনক পরিস্থিতি, জঙ্গি কার্যকলাপ বৃদ্ধি সহ একাধিক কারণে শিয়ালদহ স্টেশন, কাকদ্বীপ স্টেশন, নামখানা স্টেশন, কলকাতা স্টেশন সহ গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন গুলিতে নিরাপত্তা আঁটোসাঁটো করা হচ্ছে।
গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন সহ একাধিক স্টেশনের দায়িত্বে থাকবেন মোট ২৫ জন দক্ষ এবং শীর্ষ আরপিএফ অফিসার। রাখা হচ্ছে স্নিফার ডগ, এসকর্টেড গাড়ি, সাধারণ পোশাকে আরপিএফ জওয়ানরা মিশে থাকবেন যাত্রীদের মধ্যে, এমনকি যারা টিটি রয়েছেন, তাদেরকেও যাত্রী নিরাপত্তার অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও পূর্ব রেলের শিয়ালদহ ডিভিশনের তরফে স্বাস্থ্য পরিষেবা, পানীয় জলের পর্যাপ্ত পরিষেবা রাখা হবে বলেও রেলের তরফে জানানো হয়েছে।