Ration Scam: পশুখাদ্য দুর্নীতির সঙ্গে কি জড়িয়ে গেল রেশন দুর্নীতিও? লালু-বালু নিয়ে জোর জল্পনা
Ration Scam: উল্লেখ্য, পশু খাদ্য কেলেঙ্কারিতে দীপেশ রাজসাক্ষী হয়েছিলেন লালুর বিরুদ্ধে। সে সময়ে মুক্তি পান। পরে ২০১৮ সালে আবারও সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার হন তিনি। বিহার ও ঝাড়খণ্ডের গুদামের লিজ বাড়ানোর সময়ে এক এফসিআই আধিকারিককে ঘুষ দিতে গিয়ে গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি
কলকাতা: প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে গ্রেফতারের পরই বিরোধীরা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন, পশুখাদ্যে লালু, মানুষের খাদ্যে বালু। ইডির তদন্তে তেমনই লিঙ্ক উঠে আসছে বলে খবর। জ্যোতিপ্রিয়র প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক অভিজিৎ দাসের বাড়িতে তল্লাশির সময়ে একটি মেরুন ডায়েরি উদ্ধার হয়েছে। সেখানে ডায়েরির কার্যত প্রতি পাতায় লেখা রয়েছে ‘এন্ট্রি’ শব্দ। আর তাকে ঘিরেই রহস্য। কারণ সেই শব্দের নীচেই লেখা রয়েছে একাধিক ব্যক্তির নাম। সূত্রের খবর, ডায়েরিতে একের পর এক চাল কল, গম কল মালিকের নাম লেখা রয়েছে। নাম রয়েছে এক গুচ্ছ ব্যবসায়ীর। সেই সব তথ্য ধরেই একাধিক ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা চালিয়েছে ইডির তদন্তকারীরা।
অতি সম্প্রতি এই মামলাতে তল্লাশি চলেছে তেমনই এক ব্যবসায়ী কলকাতার চান্দাক পরিবারেও। আর এর সূত্র ধরেই বিহারের পশু খাদ্য কেলেঙ্কারির যোগ উঠে এসেছে। অর্থাৎ বিহারে লালুপ্রসাদ যাদবের সময়ে পশু খাদ্য কেলেঙ্কারিতে ২০০৪ সালে দিপেশ চান্দাক গ্রেফতার হয়েছিল। এই দীপেশ চান্দাকই হলেন হিতেশ এবং অঙ্কিতের পরিবারের সদস্য। বলাই বাহুল্য রেশন দুর্নীতি এই হিতেশ ও অঙ্কিত চান্দাকের বাড়ি ও অফিসেও তল্লাশি চালিয়েছেন আধিকারিকরা।
উল্লেখ্য, পশু খাদ্য কেলেঙ্কারিতে দীপেশ রাজসাক্ষী হয়েছিলেন লালুর বিরুদ্ধে। সে সময়ে মুক্তি পান। পরে ২০১৮ সালে আবারও সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার হন তিনি। বিহার ও ঝাড়খণ্ডের গুদামের লিজ বাড়ানোর সময়ে এক এফসিআই আধিকারিককে ঘুষ দিতে গিয়ে গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি। সে সময়ে তাঁর জামিন নিয়েও বেশ একটা নাটকীয় পরিস্থিতি তৈরি হয়। দীপেশের পরিবারের তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়েছিল, দীপেশকে অপহরণ করা হয়েছে। সে সময়ে রাজ্য পুলিশ অত্যন্ত সক্রিয় হয়ে ওঠে। তখনও অভিযোগ ওঠে, রাজ্যের কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তির ছত্রছায়ায় রয়েছেন দীপেশ। এই প্রভাবশালী ব্যক্তি ‘বালু’ই কিনা, তা এখন ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।