SSC Recruitment: কেউ অন্তঃসত্ত্বা, কারোর ঘাড়ে পুরো সংসার, চাকরি লাইনে দাঁড়িয়ে ফিরে দেখা ৮ বছর
SSC Recruitment: নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়েছিল ২০১৪ জানুয়ারি মাসে। ২০১৫ সালে হয় পরীক্ষা, ২০১৬ সালে প্রকাশ পায় মেধাতালিকা। পরে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় সেই মেধাতালিকা বাতিল হয়ে যায়।
কলকাতা: অনেক কাঠ-খড় পুড়িয়ে আবার নতুন করে স্বপ্ন দেখা। বড় স্ক্রিন লাগিয়ে, নথি যাচাই করে যতই স্বচ্ছতার প্রমাণ দিতে এসএসসি যতই মরিয়া হোক না কেন, চাকরি প্রার্থীদের জীবনের ৮ টা বছর আর ফিরবে না! কাউন্সেলিং-এর লাইনে দাঁড়িয়ে এ কথাই বলছেন প্রার্থীরা। আট বছর আগে যাঁদের নিয়োগ পত্র হাতে পাওয়ার কথা ছিল, তাঁরা এতগুলো বছর কাটিয়ে দিয়েছেন অনিশ্চয়তায়। অবশেষে আদালতের নির্দেশে কেটেছে জট। শুরু হয়েছে কাউন্সেলিং-এর প্রক্রিয়া। আজ, সোমবার সকাল থেকে এসএসসি ভবনের বাইরে লাইন দিয়েছেন সেই প্রার্থীরা। ৩০০ জন চাকরিপ্রার্থীকে ডাকা হয়েছে এদিন।
কাউন্সেলিং-এর জন্য এসেছেন অরিন্দম মণ্ডল। পরণে সাদা ধুতি, কারণ তাঁর মা চলে গিয়েছেন কয়েকদিন আগেই। বছর দুয়েক আগে চলে গিয়েছেন তাঁর বাবাও। ছেলের সরকারি দেখে যেতে পারলেন না কেউই। কেউ অন্তঃস্বত্ত্বা, কারও কোলে ছোট সন্তান। দেখেই বোঝা যাচ্ছে, আট বছরে জীবন অনেকটাই বদলে গিয়েছে।
লাইনে দাঁড়িয়ে এক প্রার্থী বলেন, “আট বছর চলে গেল শুধুমাত্র বঞ্চনার শিকার হয়েছি বলে। জীবনকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন ছিল, ভেঙে গিয়েছে আগেই। তবু আমরা চাই যত দ্রুত সম্ভব যেন স্কুলে ফিরতে পারি।” আর এক প্রার্থী বলেন, “আদালত বলেছিল বলেই এটা সম্ভব হল। আট বছর চলে গিয়েছে ঠিকই, তবু এই লাইনে দাঁড়িয়ে যেন সেই আট বছরের যন্ত্রণা ভুলে যাচ্ছি আমরা।” হাতে স্ক্র্যাচ নিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন মালদহের মীরতাফুর সরকার। বিশেষভাবে সক্ষম মীরতাফুরের মনেও খোঁচা দিচ্ছে ৮ বছরের না পাওয়া। এই প্রক্রিয়া যেন দ্রুত সম্পন্ন হয়, সেই আশাই করছেন প্রার্থীরা।
উল্লেখ্য, এই নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়েছিল ২০১৪ জানুয়ারি মাসে। ২০১৫ সালে হয় পরীক্ষা, ২০১৬ সালে প্রকাশ পায় মেধাতালিকা। পরে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় সেই মেধাতালিকা বাতিল হয়ে যায়। এবার আদালতের অনুমতি নিয়ে আবারও মেধাতালিকা তৈরি হয়েছে ও শুরু হয়েছে নিয়োগের প্রক্রিয়া।