CM Mamata Banerjee: ‘শ্রীচৈতন্যের উত্তরাধিকারী মমতা’, কারণটাও ব্যাখা করে দিলেন ঋতব্রত
সেই সময় বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্যসভার সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় মমতাকে শ্রীচৈতন্যদেবের উত্তরাধিকারী বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, "শ্রীচৈতন্যদেবের উত্তরাধিকারী ছিলেন লালন। লালনের উত্তরাধিকারী ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। আর এখন শ্রীচৈতন্যদেবের উত্তরাধিকারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি যে পথে চলেন তার সঙ্গে লাখো মানুষ চলেন।"

বনগাঁ: ফের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (CM Mamata Banerjee) মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্যদেবের সঙ্গে তুলনা করা হল। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এর আগে মহাপ্রভুর সঙ্গে একপ্রকার তাঁর তুলনা করেছিলেন। আর এবার মুখ্যমন্ত্রীকে মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্য়দেবের সঙ্গে তুলনা করলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে যদিও মমতাকে কখনও মা সারদা, কখনও বা নেতাজি, কখনও আবার তাঁর দলের নেতা-কর্মীরা মাদার টেরিজার সঙ্গে তুলনা করেছেন। সেই তালিকাতেই সংযোগ হল ঋতব্রতর নাম। সাংসদের দাবি, শ্রীচৈতন্যের নাকি উত্তরাধিকারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মূলত, SIR ও ভিন রাজ্যে বাঙালিদের হেনস্থা ইস্যুতে বনগাঁ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বনগাঁর ‘নীলদর্পণ ভবনের’ সামনে শনিবার বিকেলে একটি প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেই প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন ব্যারাকপুরের সাংসদ পার্থ ভৌমিক, রাজ্যসভা সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়, বনগাঁ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস অন্যান্য তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। এই মঞ্চ থেকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এসআইআর (SIR) নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন পার্থ ভৌমিক। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে কেন বাঙালিদের হেনস্থা করা হচ্ছে সেই নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তাঁরা।
সেই সময় বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্যসভার সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় মমতাকে শ্রীচৈতন্যদেবের উত্তরাধিকারী বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, “শ্রীচৈতন্যদেবের উত্তরাধিকারী ছিলেন লালন। লালনের উত্তরাধিকারী ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। আর এখন শ্রীচৈতন্যদেবের উত্তরাধিকারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি যে পথে চলেন তার সঙ্গে লাখো মানুষ চলেন।”
পরবর্তীতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় ফের বলেন, “আপনি যদি বলেন প্রথম মিছিল কে করেছিলেন? তাহলে আমি বলব শ্রী চৈতন্যদেব। তিনি জাত পাত ধর্মের বাধা ভেঙে দিয়েছিলেন। তিনি যে পথে চলতেন লাখো মানুষ সেই পথে চলতেন। এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে পথে চলেন, লাখো মানুষ সেই পথে চলেব। শ্রীচৈতন্যদেবের উত্তরাধিকারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।” প্রসঙ্গত, ব্রাত্য বসু আগে বলেছিলনে, “চৈতন্যর যদি কোনও সার্থক উত্তরাধিকার এই মুহূর্তে বাংলায় থেকে থাকেন, তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।” আবার বিধায়ক নির্মল মাজিকে বলতে শোনা গিয়েছিল, “পরিসংখ্যানগত সমৃদ্ধির হিসেব নিয়ে দেখা যাচ্ছে সংখ্যাতত্ত্বে যে,সারদা মায়ের মৃত্যুর পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্মের সময়টা হচ্ছে,সেই অঙ্কটা মিলিয়ে দিচ্ছে। তিনিই মা সারদা।”
