AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Trains to Digha: কোনও ট্রেন ৪ ঘণ্টা লেট, কোনও ট্রেন ৫ ঘণ্টা! দিঘা যেতে গিয়ে মাথায় হাত পর্যটকদের

Trains to Digha: হাওড়া দিঘা কাণ্ডারি এক্সপ্রেস হাওড়া থেকে ২ টো ২৫ মিনিটে ছেড়ে সন্ধে ৫টা ৫০ মিনিটে দিঘায় পৌঁছনোর কথা। এই রেকই আবার সন্ধ্যা ৬টা ২৫ মিনিটে দিঘা থেকে ছেড়ে হাওড়ার পথে ছোটে। হাওড়ায় ঢোকার কথা ৯টা ৪৫ মিনিটে। কিন্তু, একদিন আগে দেখা যায় দিঘা থেকে হাওড়ামুখী ট্রেন যখন ছাড়ে তখন সময় রাত ১১টা ১৫ মিনিট।

Trains to Digha: কোনও ট্রেন ৪ ঘণ্টা লেট, কোনও ট্রেন ৫ ঘণ্টা! দিঘা যেতে গিয়ে মাথায় হাত পর্যটকদের
যাত্রীদের মধ্যে বাড়ছে ক্ষোভ Image Credit: TV-9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Jun 20, 2024 | 8:11 PM
Share

হাওড়া: রেল মন্ত্রকের গলায় প্রায়শই শোনা যাচ্ছে উন্নত পরিষেবার কথা। গত কয়েক মাসে তো গুচ্ছ গুচ্ছ ট্রেন বাতিল থেকেছে হাওড়া, শিয়ালদহতে। কখনও ওভারহেডের কাজ, কখনও সিগন্যালিংয়ের কাজ, নানা কারণে বাতিল থেকে অগুনতি লোকাল ট্রেন। বাতিলের পাশাপাশি অনেক সময়েই ঘুরপথে চলেছে দূরপাল্লার ট্রেনগুলি। এদিকে ইতিমধ্যেই দেশে যাত্রা শুরু হয়েছে বন্দে ভারতের মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ট্রেন। কিন্তু, তারপরেও প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে যাত্রী পরিষেবা নিয়ে। হাওড়া থেকে দেরিতে ছাড়ছে একাদিক দূরপাল্লার ট্রেন। যাত্রীদের অভিযোগ, দিঘাগামী একাধিক ট্রেনও অনেক দেরিতে ছাড়তে। তাতেই ক্ষোভ বাড়ছে পর্যটকদের মধ্যে। 

প্রতিদিন সকাল ৬টা ৩৫ মিনিটে হাওড়া থেকে দিঘাগামী আপ তাম্রলিপ্ত এক্সপ্রেস ছাড়ার কথা। দিঘা প্রবেশ করার কথা সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে। আবার হাওড়াগামী ডাউন ট্রেনের দিঘার সময় ১০টা বেজে ৩৫ মিনিট। হাওড়া ঢুকছে ১টা ৫৫মিনিটে। পরবর্তীতে ওই একই ট্রেন আবার দুপুর ২টো ১৫ মিনিটে দিঘা রওনা হচ্ছে কাণ্ডারি এক্সপ্রেস হয়ে। দিঘায় ঢোকার সময় বিকেল ৫টা ৩৭ মিনিটে। যাত্রীদের অভিযোগ, যা এখন প্রায় প্রতিদিন ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা দেরিতে চলছে। ফলে ক্ষোভ বাড়ছে। যদিও রেলের পক্ষে এই বিলম্বের কোনও কারণ এখনো দর্শানো হয়নি। জেলার বড় স্টেশন মেচেদার কাছে বন্দে ভারত পাস করানোর ক্ষেত্রে অনেক সময় দেরি হচ্ছে, বা লাইন মেরামতির কাজের কারণেও দেরি হতে পারে বলে মনে করছেন যাত্রীরা। তবে আসল কারণ নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা। 

হাওড়া দিঘা কাণ্ডারি এক্সপ্রেস হাওড়া থেকে ২ টো ২৫ মিনিটে ছেড়ে সন্ধে ৫টা ৫০ মিনিটে দিঘায় পৌঁছনোর কথা। এই রেকই আবার সন্ধ্যা ৬টা ২৫ মিনিটে দিঘা থেকে ছেড়ে হাওড়ার পথে ছোটে। হাওড়ায় ঢোকার কথা ৯টা ৪৫ মিনিটে। কিন্তু, একদিন আগে দেখা যায় দিঘা থেকে হাওড়ামুখী ট্রেন যখন ছাড়ে তখন সময় রাত ১১টা ১৫ মিনিট। তার উপর গোদের উপর বিষফোড়া। ট্রেন থামিয়ে দেওয়া হল সাঁতরাগাছিতেই। সাড়ে ৪ ঘণ্টা দেরিতে চলা ট্রেন রাত আড়াইটের সময় সাঁতরাগাছি স্টেশনে ঢোকে। পরিবারের বয়স্ক বা বাচ্চাদের নিয়ে দিঘা ঘুরতে যাওয়া যাত্রীরা এই রাতে কী ভাবে বাড়ি ফিরবেন? ওঠে প্রশ্ন। রেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিতেও দেখা গিয়েছে যাত্রীদের। 

একই দশা, বারবিল-হাওড়া জনশতাব্দী এক্সপ্রেসের। রাত ৮টা ৫৫ মিনিটে হাওড়া পৌঁছানোয় কথা। ৬ ঘণ্টার দেরিতে চলে রাত ২টোর পর সাঁতরাগাছিতেই থামিয়ে দেওয়া হয় সেই ট্রেন। ফলে বাধ্য হয়ে পরিবার নিয়ে স্টেশনেই রাত কাটাচ্ছেন অনেকেই।