State Election Commissioner: রাজ্য নির্বাচন কমিশনার পদে রাজীব সিনহাকে চায় নবান্ন, ৫ দিনে পেরিয়েও মেলেনি রাজ্যপালের সই: সূত্র
State Election Commission: সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, ১৮ মে রাজীব সিনহার বিষয়ে প্রস্তাব রাজভবনে পাঠানোর পর এখনও পর্যন্ত সেই প্রস্তাবে সম্মতি মেলেনি। কেন রাজীব সিনহার নাম প্রস্তাব করা হয়েছে, সেই বিষয়টিও জানতে চাইছেন রাজ্যপাল। সূত্র মারফত তেমনই জানা যাচ্ছে।
কলকাতা: আবার কি রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতের বাতাবরণ তৈরি হচ্ছে? এবার বিতর্ক রাজ্য নির্বাচন কমিশনার (State Election Commissioner) নিয়োগ নিয়ে। জানা যাচ্ছে, রাজ্য নির্বাচন কমিশনার হিসেবে গত ১৮ মে রাজীব সিনহার (Rajib Sinha) নাম প্রস্তাব করেছিল রাজ্য সরকার। উল্লেখ্য, রাজ্যের মুখ্যসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালনের পূর্ব অভিজ্ঞতা রয়েছে রাজীব সিনহার। তারপর থেকে পাঁচ দিন কেটে গিয়েছে। কিন্তু সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, ১৮ মে রাজীব সিনহার বিষয়ে প্রস্তাব রাজভবনে পাঠানোর পর এখনও পর্যন্ত সেই প্রস্তাবে সম্মতি মেলেনি। কেন রাজীব সিনহার নাম প্রস্তাব করা হয়েছে, সেই বিষয়টিও জানতে চাইছেন রাজ্যপাল। সূত্র মারফত তেমনই জানা যাচ্ছে। সূত্রের খবর, এই বিষয়ে নবান্নের থেকে আরও তথ্য জানতে চাইছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
উল্লেখ্য, রাজ্যের বর্তমান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিযুক্ত রয়েছেন সৌরভ দাস। তবে তাঁর কার্যকালের মেয়াদ ফুরিয়ে এসেছে। আগামী ২৯ মে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার হিসেবে সৌরভ দাসের কার্যকালের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। কিন্তু এদিকে নবান্ন থেকে রাজভবনে ফাইল পাঠানোর পাঁচ দিন পেরিয়ে যাওয়ার পরেও সেই ফাইলে এখনও পর্যন্ত সই হয়নি বলেই জানা যাচ্ছে। ২৯ মে বর্তমান নির্বাচন কমিশনারের কার্যকালের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে ফাইলে সই কি মিলবে রাজ্যপালের থেকে? এমন প্রশ্ন ইতিমধ্য়েই ঘুরপাক খেতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে।
রাজ্য সরকার চাইছে, আপাতত রাজ্য নির্বাচন কমিশনার হিসেবে রাজীব সিনহাকে নিযুক্ত করতে। কারণ, সৌরভ দাসের কার্যকালের মেয়াদ আগেই শেষ হয়ে গিয়েছিল। ৩১ মার্চ তাঁর কার্যকালের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর দুই মাসের জন্য তা বাড়ানো হয়েছিল। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী, সৌরভ দাসের কার্যকালের মেয়াদ আর বাড়ানো সম্ভব নয়। এমন অবস্থায় তাই রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব রাজীব সিনহাকে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার হিসেবে চাইছে রাজ্য সরকার। এক্ষেত্রে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ মতে করছে, ৩১ তারিখের মধ্যে যদি সই না হয়, তাহলে নতুন করে সংঘাতের বাতাবরণ তৈরি হতে পারে।