Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Sovan-Baishakhi: ‘আমি যতদিন বেঁচে থাকব ততদিন বৈশাখী সিঁদুর-মঙ্গলসূত্র পরবে’, রত্নার কটাক্ষের জবাব শোভনের

শোভন চট্টোপাধ্যায় এদিনের ফেসবুক লাইভের ক্যাপশনও দিয়েছেন ইঙ্গিতপূর্ণ, 'আমার সুরক্ষাকবচ।'

Sovan-Baishakhi: 'আমি যতদিন বেঁচে থাকব ততদিন বৈশাখী সিঁদুর-মঙ্গলসূত্র পরবে', রত্নার কটাক্ষের জবাব শোভনের
শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল ছবি।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 31, 2023 | 8:27 PM

কলকাতা: বৈশাখীকে সিঁদুর, মঙ্গলসূত্র পরার অনুরোধ বা উপদেশ যদি কেউ দিয়ে থাকে তাঁর নাম শোভন চট্টোপাধ্যায়। মঙ্গলবার বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফেসবুক থেকে লাইভ করে এমনটাই জানালেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা কলকাতার প্রাক্তন মহানাগরিক শোভন চট্টোপাধ্যায়। বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিঁদুর পরা নিয়ে রত্না চট্টোপাধ্যায়ের কটাক্ষের জবাব দিয়ে শোভন চট্টোপাধ্যায় আরও বলেন, “আমি বৈশাখীকে সিঁদুর, মঙ্গলসূত্র পরতে বলেছি। আশা করব, আমি যতদিন বেঁচে থাকব, ততদিন সে সিঁদুর, মঙ্গলসূত্র পরবে। শ্রীবৃদ্ধি ঘটাতে সিঁদুর, মঙ্গলসূত্র তাঁর সঙ্গে যেন সবসময় থাকে।”

শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভালবাসার কথা বর্তমানে সর্বজনবিদিত। গত বছর দুর্গাপুজোর দশমীতে প্রকাশ্যে সিঁদুরখেলার শেষে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে দিতেও দেখা গিয়েছিল শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। পরে সেকথা অস্বীকারও করেননি তিনি। এবার আরও একধাপ এগিয়ে ফেসবুক লাইভ করে স্পষ্টত জানালেন, তিনিই বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে সিঁদুর, মঙ্গলসূত্র পরতে বলেছেন। অর্থাৎ তাঁর নামেই যে বৈশাখী সিঁদুর, মঙ্গলসূত্র পরছেন, তা স্পষ্ট করে দেন ‘প্রেমিক’ শোভন। তিনি তাঁর এদিনের ফেসবুক লাইভের ক্যাপশনও দিয়েছেন ইঙ্গিতপূর্ণ, ‘আমার সুরক্ষাকবচ।’

অন্যদিকে, রত্না চট্টোপাধ্যায়ের জন্য যে তিনি মৃত, তাও এদিন স্পষ্ট করে দেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। তিনি কটাক্ষের সুরে সরাসরি রত্না চট্টোপাধ্য়ায়কে বলেন, “আপনাকে সিঁদুর পরতে কে বারণ করেছে! দেখেছি, সধবার মৃত্যু হলে বা কেউ বিধবা হলে সবাই এসে তাঁর মাথায় সিঁদুর লেপে দেয়। আপনিও সেভাবে সিঁদুর লেপে ঘুরে বেড়ান না, কোনও আপত্তি নেই।” রত্না চট্টোপাধ্যায়ের নামের পাশ থেকে শীঘ্রই চট্টোপাধ্যায় পদবি সরে যাবে এবং তিনি তাঁর পৈতৃক পদবি দাসে ফিরে আসবেন বলেও জানিয়েছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। এপ্রসঙ্গে সরাসরি রত্না চট্টোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “আপনি যাঁকে দুশ্চরিত্র, কুলাঙ্গার বলেছেন, মিথ্যা অপবাদ দিয়েছেন তাঁকে কী ভাবে ৫ বছর ধরে বিভিন্ন জায়গায় নিজের স্বামী বলে দাবি করছেন?”

বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর স্বামীকে কেড়ে নিয়েছেন অভিযোগ তুলে তাঁকে ছেলে-ধরা বলে মন্তব্য করেছেন রত্না চট্টোপাধ্যায়। এদিন ফেসবুক লাইভ করে তার কড়া জবাব দেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। তিনি রত্না চট্টোপাধ্যায়কে পাল্টা ‘ছেলে-ধরা’ কটাক্ষ করে বলেন, “আমি ২২ বছর সংসার করার পর ৫ বছর আগে আমার মনে হয়েছে যে এক ছেলে-ধরা মহিলার সঙ্গে আবদ্ধ হয়েছি। সেদিনই আমি অভিযোগ এনে বিবাহ-বিচ্ছেদ মামলা করেছি।” বৈশাখীর যে শিক্ষাগত যোগ্যতা, পারিবারিক অবস্থা, কর্মজীবন, তার ধারে-কাছে রত্না চট্টোপাধ্যায় পৌঁছতে পারবেন না বলেও তোপ দেগেছেন শোভন। তাঁর কথায়, “হিংসা করছেন কেন? নিজেকে শোধরান।”

বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর মেয়ে মহুলকে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের পিতৃপরিচয়ে বড় করতে চেয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন রত্না চট্টোপাধ্যায়। এদিন তারও তীব্র প্রতিবাদ জানান শোভন। বৈশাখীর সন্তানকে তাঁর সন্তান দাবি জানিয়ে এদিন শোভন চট্টোপাধ্যায় পুনরায় বলেন, “আমার তিন সন্তান- সপ্তর্ষি, সুহানি এবং ইরিনা (মহুল)। এটা নিয়ে কোথাও কোনদিন কোনও বিতর্ক তৈরি করার জায়গা রাখিনি, আর রাখবও না। এটায় আমি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। মহুল সেভাবেই মানুষ হবে। বৈশাখী কোথাও এই দাবি করেনি।” তবে তাঁদের সমালোচনা না করার দাবি জানিয়ে শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “অনুগ্রহ করে মানুষের সমালোচনা করতে সীমারেখা অতিক্রম করবেন না।”

এদিন ফের রত্না চট্টোপাধ্যায়কে তাঁর বাড়ি ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে নোংরা বলা প্রসঙ্গে শোভন পাল্টা বলেন, “নোংরা কাকে বলছেন?যে বাড়িতে বসে ওই কথা বলছেন, আপনি আইনের কথা বলেন, সেই বাড়িটা তো বৈশাখীর অধিকার। টাকা দিয়ে আমার থেকে বৈশাখী বাড়িটা কিনেছেন। ওই বাড়িটা ছেড়ে দিন। বাড়িটা কলুষিত করবেন না। আমার জীবন থেকেও বিদায় দিন। আমাকে মুক্তি দিন।”