Speker Biman Banerjee: ‘যা করেছি, আইন মেনে করেছি, আমি পক্ষপাতদুষ্ট নই’, মুখ খুললেন স্পিকার
Speker Biman Banerjee: বৃহস্পতিবার অধিবেশনের দ্বিতীয়ার্ধে বাংলা ভাষা ও বাঙালিদের হেনস্থার প্রতিবাদে বক্তৃতা রাখছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তার আগে বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালের বলার কথা ছিল। অগ্নিমিত্রা পালের নাম যখন ডাকা হয়েছিল, তিনি তখন অধিবেশন কক্ষে ছিলেন না। তখন মুখ্যমন্ত্রীকে বক্তৃতা রাখতে বলেন স্পিকার।

কলকাতা: বাংলা ভাষা ও বাঙালিদের ওপর অত্যাচারের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর বক্তৃতা ছিল। আর সে সময়ে বিধানসভায় তুলকালামকাণ্ড। বিজেপি বিধায়কদের বিক্ষোভ, কাগজ ছেড়া, স্পিকারের সাসপেনশন, বিধানসভার নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে বিজেপি বিধায়কদের ধস্তাধস্তি, মার্শাল দিয়ে রীতিমতো চ্যাংদোলা করে তাঁর বার করানো- এককথায় বৃহস্পতিবার ধরা পড়ে বিধানসভাকক্ষে নজিরবিহীন ছবি। তা নিয়ে এবার মুখ খুললেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। স্পিকার বলেন, “বৃহস্পতিবারের ঘটনা নিয়ে অনেক গুলো অভিযোগ এসেছে। মার্শালও হাসপাতালে। বিরোধী দলের চিফ হুইপ হাসপতালে। এই ধরনের ঘটনা অনভিপ্রেত।”
স্পিকার জানিয়েছে, এখন তিনি কিছু খতিয়ে দেখেননি। দেখে ঠিক করবেন কী কী বাদ যাবে কার্য বিবরণী থেকে। তাঁর কথায়, “আমি গতকালের ঘটনায় যা করেছি আইন মেনে করেছি। অনেকে বলেন আমি পক্ষপাত দুষ্ট। কিন্তু চেয়ারটা তা নয়।সমালোচনা সকলের হয়।
স্পিকার বলেন, “বিধানসভার আইন মেনে কাজ কর্ম মেনে করলে আমায় কঠোর পদক্ষেপ করতে হয় না। বল প্রয়োগ করলে তাঁকে আটকাতে হয়। আমি পক্ষপাতিত্ব করি না।। বিজেপির বই পড়ার দরকার আছে। ওদের সংযত হওয়ার আছে।বিধানসভায় কোনও দিন মারামারি হয়নি। আমি আইন মেনে যা করার করেছি।”
বৃহস্পতিবার অধিবেশনের দ্বিতীয়ার্ধে বাংলা ভাষা ও বাঙালিদের হেনস্থার প্রতিবাদে বক্তৃতা রাখছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তার আগে বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালের বলার কথা ছিল। অগ্নিমিত্রা পালের নাম যখন ডাকা হয়েছিল, তিনি তখন অধিবেশন কক্ষে ছিলেন না। তখন মুখ্যমন্ত্রীকে বক্তৃতা রাখতে বলেন স্পিকার। কিন্তু এরই মধ্যে চলে আসেন অগ্নিমিত্রা। বিজেপি বিধায়করা চিৎকার করতে থাকেন, যাতে অগ্নিমিত্রাকে বলতে দেওয়া হয়। স্পিকার সে অনুমতি দেন। তবে অগ্নিমিত্রার বলার সময় কমিয়ে দেওয়া হয়। এরপর বলতে ওঠেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি যখন বলতে ওঠেন, তখন শঙ্কর চিৎকার করতে থাকেন কেন শুভেন্দু অধিকারীর সাসপেনশন নিয়ে দুরকমের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন স্পিকার।
স্পিকার শঙ্কর ঘোষকে বারবার সতর্ক করেন। কিন্তু তারপর তাঁকেও সাসপেন্ড করা হয়। কিন্তু তিনি নিজের আসনেই অনড় থাকেন। তাঁকে বিধায়করা ঘিরে রাখেন। তাঁকে সেসময় বিধানসভার নিরাপত্তারক্ষীরা বার করার চেষ্টা করেন, এরপরই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিধানসভা অন্দরের পরিস্থিতি। শেষে মুখ্যমন্ত্রীই ওয়েলে নেমে নিজের দলের বিধায়কদের নিজ নিজ জায়গায় বসার নির্দেশ দেন। এরপর দ্বিতীয়ার্ধে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তখনও অশান্তি চরমে ওঠে। ২ ঘণ্টার মধ্যে ৫ বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল, অশোক দিন্দা, বঙ্কিম হাজরা, মিহির গোস্বামীকে সাসপেন্ড করেন স্পিকার।
