AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

পাকাপাকি ইতিহাসের পাতায় পার্থ? বেহালায় তৃণমূলের বাজি শ্রাবন্তী!

TMC: বস্তুত, পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই বেহালা পশ্চিম কেন্দ্রীয়টি অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছিল। পরিষেবার ক্ষেত্রেও একাধিক সমস্যায় পড়েন সাধারণ মানুষ। এমন অবস্থায় শ্রাবন্তী কি বেহালা পশ্চিম থেকে জোড়া ফুলের প্রার্থী হতে পারেন?

পাকাপাকি ইতিহাসের পাতায় পার্থ? বেহালায় তৃণমূলের বাজি শ্রাবন্তী!
শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় ও পার্থ চট্টোপাধ্যায়Image Credit: Facebook
| Edited By: | Updated on: Jul 27, 2025 | 4:42 PM
Share

কলকাতা: একুশের মঞ্চে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। টলিগঞ্জের একাংশ কলাকুশলীদের সঙ্গে আসন ভাগ করেছিলেন তিনিও। এমনকী সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে শোনাও গিয়েছিল তাঁর নাম। কথা হচ্ছে শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে। আসন্ন বিধানসভা ভোটে কি এবার তৃণমূলের তরফে টিকিট পাবেন তিনি? হলেও বা কোন কেন্দ্র থেকে লড়বেন এই অভিনেত্রী?

বস্তুত, এর আগে কিন্তু শ্রাবন্তীকে দেখা গিয়েছিল গেরুয়া শিবিরের মঞ্চে। এমনকী ভোটেও দাঁড়াতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। বেহালা পশ্চিম থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিপরীতে তাঁকে দাঁড় করায় বিজেপি। তবে ভোটে পরাজিত হয়। এরপর দলের সঙ্গে ক্রমেই দূরত্ব বাড়ে তাঁর। পরবর্তীতে তিনি টুইট করে বিজেপি ছাড়ার ঘোষণা করেন।

এরপর নদী দিয়ে বয়ে গেছে অনেকখানি জল। আরও একটা বিধানসভা ভোট আসতে চলল। এরপর গত একুশে জুলাই ধর্মতলায় ছিল তৃণমূলের শহিদ সমাবেশ। সেইখানে দেখা গেল একাংশ কলাকুশলীদের পাশে রয়েছেন শ্রাবন্তীও। তারপর থেকেই প্রশ্ন উঠছিল এবারের ভোটেও কি প্রার্থী হবেন তিনি? টিভি ৯ বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শ্রাবন্তী বলেন, “মানুষের পাশে থাকাই আসল পুজো। যতটা আমার ক্ষমতা আছে। আর বেহালা পশ্চিম হলে তো কোনও কথাই নেই। বাড়ির পাশে, নিজের ভিটে।”

বস্তুত, পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই বেহালা পশ্চিম কেন্দ্রীয়টি অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছিল। পরিষেবার ক্ষেত্রেও একাধিক সমস্যায় পড়েন সাধারণ মানুষ। এমন অবস্থায় শ্রাবন্তী কি বেহালা পশ্চিম থেকে জোড়া ফুলের প্রার্থী হতে পারেন? অভিনেত্রী বলেন, “ভবিষ্যত কেউ বলতে পারে না। রাজনীতি এত সোজা নয়। কীভাবে মানুষের পাশে থাকতে হয়, কী কী করতে হয় সবটা শিখতে হবে।” এখনও জেল থেকে বেরতে পারেননি পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এবার সেখানেই যদি শ্রাবন্তী দাঁড়ান আদৌ লাভ হবে তৃণমূলের? আর যদি শ্রাবন্তী এই কেন্দ্রে টিকিট পান তাহলে পাকাপাকি ভাবে ইতিহাস পার্থ? এই রকম একাধিক কল্পনা-জল্পনা রয়েছে।

এ প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, “সম্পূর্ণ দলের সিদ্ধান্ত।” আর বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ বলেন, “আমি ওঁর ফ্যান। যদিও সিনেমা দেখার সৌভাগ্য হয়নি। তবে বিজ্ঞাপন দেখেই ফ্যান হয়ে গিয়েছি। এই রকমই তো লোক চাই বিধানসভায়।”