West Bengal Politics: ঘুরে ফিরে সেই ‘দলবদলু’ নেতাই পিএসি চেয়ারম্যান! এবার সুমন কাঞ্জিলাল
PAC Chairman: বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান করা হল আলিপুরদুয়ারের বিধায়ককে। একুশের বিধানসভা ভোটে তিনি বিজেপির টিকিটে জিতেছিলেন। কিন্তু পাঁচ বছরের টার্ম ফুরনোর আগেই বিজেপির সঙ্গ সখ্যতা ত্যাগ করে তৃণমূলে নাম লেখান। এখন সুমন কাঞ্জিলাল হলেন এমন এক বিধায়ক, যিনি শুধুমাত্র বিধানসভার খাতায়-কলমেই বিজেপির লোক।
কলকাতা: মুকুল রায়। তারপর কৃষ্ণ কল্যাণী। আর এবার সুমন কাঞ্জিলাল। ফের একবার ‘দলবদলু’ নেতাকেই বিধানসভার পিএসি চেয়ারম্যান করা হল। মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান করা হল আলিপুরদুয়ারের বিধায়ককে। একুশের বিধানসভা ভোটে তিনি বিজেপির টিকিটে জিতেছিলেন। কিন্তু পাঁচ বছরের টার্ম ফুরনোর আগেই বিজেপির সঙ্গ সখ্যতা ত্যাগ করে তৃণমূলে নাম লেখান। এখন সুমন কাঞ্জিলাল হলেন এমন এক বিধায়ক, যিনি শুধুমাত্র বিধানসভার খাতায়-কলমেই বিজেপির লোক। কিন্তু বিধানসভার বাইরে তিনি পুরোদস্তুর তৃণমূল নেতা। এবার সেই সুমন কাঞ্জিলালকেই বিধানসভার পিএসি চেয়ারম্যান পদে বসানো হল।
বিতর্ক শুরু হয়েছিল সেই মুকুল রায় পিএসি চেয়ারম্যান থাকাকালীন সময় থেকে। বিজেপি শিবির থেকে বার বার মুকুলকে ওই পদ থেকে সরানোর দাবি তোলা হয়েছিল। মুকুলের দলত্যাগ সংক্রান্ত মামলা ঘিরে ব্যাপক হইচই পড়ে গিয়েছিল। যদিও দুই দফায় শুনানির পর বিধানসভার স্পিকার সেই সময় জানিয়ে দিয়েছিলেন, মুকুল বিজেপিতেই আছেন। দল বদলাননি। এখন অবশ্য মুকুল রায় সক্রিয় রাজনীতি থেকে বহুক্রোশ দূরে। মুকুল পরবর্তী জমানায় পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছিল রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীকে।
তাঁর বিরুদ্ধেও সেই একই অভিযোগ রয়েছে বিজেপির পরিষদীয় দলের। তিনিও শুধু খাতায় কলমেই বিজেপির বিধায়ক ছিলেন, বিধানসভার বাইরে তৃণমূলের নেতা। সেই ‘দলবদলু’ কৃষ্ণ কল্যাণীকে এবার লোকসভার টিকিট দিয়েছে তৃণমূল। রায়গঞ্জ থেকে ভোটে লড়ছেন তিনি। লোকসভা ভোটের প্রার্থী হওয়ার পর সম্প্রতি বিধানসভায় নিজের ইস্তফাপত্রও জমা দিয়েছেন। ফলে রায়গঞ্জ বিধায়কশূন্য হওয়ার পাশাপাশি, বিধানসভার পিএসি চেয়ারম্যানের পদও ফাঁকা হয়ে যায়। এবার সেই ফাঁকা আসনে বসানো হল আরও এক ‘দলবদলু’ নেতা, আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলালকে।
উল্লেখ্য, বিধানসভায় একটি দীর্ঘ সময় ধরে প্রচলিত রীতি ছিল বিরোধী দলের থেকে কোনও বিধায়ককেই পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান পদে বসানো। আবার এই রেওয়াজও রয়েছে, পূর্বসূরি যে দলের, সেই দল থেকেই নতুন সদস্যকে বেছে নিতে হবে। এটাই দীর্ঘ দিনে প্রথা ছিল বিধানসভায়। কিন্তু বিগত কয়েক বছরে সেই প্রথা যেন কিছুটা ওলট-পালট হয়ে গিয়েছে। মুকুলের পর কৃষ্ণ কল্যাণী, আর এবার সুমন কাঞ্জিলাল। কেন বার বার পিএসি চেয়ারম্যান পদে ‘দলবদলু’ ঘিরে বিতর্ক তৈরি হচ্ছে?
এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি হল পরিষদীয় ক্ষেত্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। এই পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির মাধ্যমে রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি কাজকর্মের হিসেব নিকেশ রাখা। অতীতে বিজেপির তরফে কোনও কোনও নেতাকে দাবি করতে দেখা গিয়েছে, সরকার পক্ষ চায় না এই গুরুত্বপূর্ণ পদ এমন কারও হাতে থাকুক, যেখান থেকে সত্য তথ্য বেরিয়ে আসে। যদিও সরকার পক্ষও এক্ষেত্রে দ্বিতীয় রেওয়াজের কথা বলতেই পারে। অর্থাৎ, পূর্বসূরি যে দলের, সেই দল থেকেই বেছে নেওয়া হচ্ছে।