BJP Bengal: হাওড়ার বহিষ্কৃত বিজেপি নেতা ‘সমাজ সেবা’ করতে চান, কোনও দল সে সুযোগ দিলে ‘আপত্তি নেই’
Surajit Saha: দলের এই সিদ্ধান্তকে মাথা পেতে নিলেও বৃহস্পতিবারও শুভেন্দুর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিতে শোনা গেল সুরজিৎ সাহাকে।
বৃহস্পতিবার বিজেপির বহিষ্কৃত নেতা সুরজিৎ সাহা বলেন, “প্রায় চার বছর আমি পরিবারকে সময় দিতে পারিনি। আজ খুব খুশি মনেই রয়েছি। একটা জিনিস পরিষ্কার, আমরা সমাজ সেবা করতে করতে রাজনৈতিক দলে এসে গিয়েছি। মূল লক্ষ্য হচ্ছে সমাজ সেবা। সমাজ সেবা করতে করতেই বিজেপি করেছি। আজ বিজেপি বহিষ্কার করেছে। আমাকে নতুন করে সমাজ সেবার জায়গা খুঁজতে হবে। তা কোনও সোশ্যাল অরগানাইজেশনও হতে পারে, আবার কোনও রাজনৈতিক দলেও আমাকে সমাজ সেবার সুযোগ দেয়, তা হলেও চিন্তাভাবনা করব। তবে আগামী দু’দিন আমি শুধু পরিবারের সঙ্গে থাকতে চাই।”
বুধবার একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসে। সেখানে সরাসরি শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাতে শোনা যায় বিজেপির হাওড়া সদর সভাপতি সুরজিৎ সাহা। বিরোধী দলনেতাকে চোর বলতেও ছাড়েননি তিনি। শুধু তাই নয়, শুভেন্দুকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবিও জানান। বিস্ফোরক সেই ভিডিয়ো সামনে আসার কয়েক ঘণ্টা পরই তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
দলের এই সিদ্ধান্তকে মাথা পেতে নিলেও বৃহস্পতিবারও শুভেন্দুর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিতে শোনা গেল সুরজিৎ সাহাকে। সুরজিতের কথায়, “ভারতীয় জনতা পার্টি সাংগঠনিক দল। সেখানে থাকা বা না থাকাটা বড় কথা নয়। কিন্তু মানুষের কাছে একটাই বড় প্রশ্ন, যাদের জন্য সুরজিৎ সাহাকে সাসপেন্ড করা হল, তিনি থাকবেন তো? দলের সিদ্ধান্তকে মাথা পেতে নিচ্ছি। আমার একটাই বক্তব্য, আমি যখন সাসপেন্ড হলাম, শুভেন্দু অধিকারী কেন হবেন না। তিনি ভারতীয় জনতা পার্টির হাওড়া সদর জেলার দিকে আঙুল তুললেন। উনি বললেন, ‘হাওড়া জেলার অনেক নেতার নাকি তৃণমূলের সঙ্গে যোগসাজশ আছে’। উনি তো কথাটা প্রমাণ করতে পারেননি। অথচ দল আমাকে সাসপেন্ড করল। ওনারও তো একই শাস্তি প্রাপ্য।”
এ নিয়ে বৃহস্পতিবারই বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “পার্টির ডিসিপ্লিন অ্যাকশন হয়েছে। দলের শৃঙ্খলা ভাঙলে দল ব্যবস্থা নেবে। মিটে গিয়েছে। পার্টি একটা সিস্টেমে চলে। হাজার হাজার কর্মী আছেন। এক আধজনের সমস্যা হতেই পারে। এর আগেও পার্টি ছেড়ে চলে গিয়েছেন। এটা নিয়ে দল খুব একটা চিন্তা করে না। যারা বুথ স্তরের কর্মী তারাই লড়াই করে দলকে জেতাবে।”
তবে দলের এ সিদ্ধান্তে দিলীপ ঘোষের বক্তব্যের সঙ্গে সহমত নন সায়ন্তন বসু। সায়ন্তনের বক্তব্য, “সুরজিৎ আমাদের দলের অনেক দিনের কার্যকর্তা। নীচুস্তর থেকে কাজ করে জেলা সভাপতি অবধি পৌঁছেছে। এটা অস্বীকার করার কোনও জায়গাই নেই, একজন বহুদিন ধরে পার্টি করার পর দল ছাড়লে বা তাঁকে সরিয়ে দিলে তা তো দলের জন্য ক্ষতিকর।”
আরও পড়ুন: সরকারি বেতন নিয়ে ‘প্রাইভেটে’ চিকিৎসা, অপচয় হচ্ছে স্বাস্থ্যসাথীর টাকাও! বিস্ফোরক স্বাস্থ্যকর্তা