কলকাতা: ট্যাব কেলেঙ্কারিতে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতারির সংখ্যা ১১। ৯৩টি মামলা রুজু হয়েছে। সাংবাদিক বৈঠকে জানালেন এডিজি দক্ষিণবঙ্গ। এটা আন্তঃরাজ্য প্রতারণা চক্রের কাজ। বললেন সুপ্রতিম সরকার। একইসঙ্গে বলেন, “শিক্ষা দফতরের সঙ্গে রাজ্য পুলিশের তরফে যোগাযোগ করা হয়েছিল। আমরা পরিসংখ্যান চেয়েছিলাম। তাতেই দেখা যাচ্ছে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির ১৬ লক্ষ পড়ুয়ার জন্য ১০ হাজার টাকা করে বরাদ্দ করা হয়েছিল।”
এরপরেই তুলে ধরেন একেবারে নতুন তথ্য। বলেন, “এখনও পর্যন্ত জেলা প্রশাসন সূত্রে, জেলা পুলিশ, শিক্ষা দফতর ও এফআইআর গুলির সূত্র ধরে আমরা জানতে পেরেছি ১৯১১ জন পড়ুয়া প্রতারিত হয়েছে। সেই হিসাবে শতাংশের হিসাব করলে দেখা যাচ্ছে ৯৯.৯৯ শতাংশ পড়ুয়া সঠিকভাবে ট্যাবের টাকা পেয়েছে। প্রতারিত হয়েছে ০.১ এর সামান্য বেশি। তবে শতাংশের হিসাব যাই হোক না কেন, একটি প্রতারণার ঘটনা অভিপ্রেত নয়।”
একইসঙ্গে বঞ্চিত পড়ুয়াদের জন্য আশ্বাসবাণীও শোনা গিয়েছে সুপ্রতিমের গলায়। বলেন, “দুশ্চিন্তার কোনও কারণ নেই। যাঁরা বঞ্চিত হয়েছেন তাঁদের অ্যাকাউন্টে ট্যাবের জন্য বরাদ্দ টাকা পৌঁছে যাবে। সেই প্রক্রিয়াও ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে।” প্রসঙ্গত, একই আশ্বাস এদিন শোনা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়। স্পষ্ট বলছেন, “যাঁরা ট্যাবের টাকা পায়নি তাঁদের শীঘ্রই টাকা দিয়ে দেওয়া হবে।” অন্যদিকে গোটা ঘটনা যে আন্তঃরাজ্য প্রতারণা চক্রের কাজ তাও বারবার শোনা গিয়েছে মমতার গলায়। বলেন, “মহারাষ্ট্র, রাজস্থানেও ওরা হাইজ্যাক করেছে। এই গ্রুপকে কিন্তু আমরাই ধরতে পেরেছি। ইতিমধ্যেই সিট তৈরি হয়েছে।”