Tarak Singh: মেয়রের তত্ত্ব খারিজ মেয়র পারিষদের, জমা জল নামা নিয়ে কী বললেন?
Tarak Singh Vs Firhad Hakim: মেয়র পারিষদ তারক সিং বলেন, "কে কী বলছে আমি বলব না। তবে এই ধরনের মন্তব্যের আগে টেকনিক্যাল বিষয়গুলো জানতে হবে। রাত দশটার মধ্যে জল নেমে যাবে এমন আশ্বস্তবাণী আমিও দিইনি। কারণ বাস্তব দিকটি দেখতে হবে। বেরিয়ে যাবে, বললেই জল বেরিয়ে যায় না। প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া রয়েছে।"

কলকাতা: মঙ্গলবার কলকাতা-সহ শহরতলিতে যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, তা সাম্প্রতিক অতীতে শেষ কবে শহরবাসী দেখেছেন, তা ঠাওর করা দায়। জলমগ্ন হয়ে পড়ে বিস্তীর্ণ এলাকা। কোথাও কোমর সমান, কোথাও বুক সমান! শহরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় কমপক্ষে ৯ জনের। তবে রাত পোহাতে শহরের একাধিক জায়গা থেকে জল নেমে গিয়েছে। বুধবার সকালেও জল জমে কলেজ স্ট্রিট, ঠনঠনিয়া কালীবাড়ি, দক্ষিণ কলকাতার একাধিক জায়গায়। তবে মেয়র ফিরহাদ হাকিম দাবি করেছেন, রাত ১০টার মধ্যে জল নেমে গিয়েছে। সেই তত্ত্বকে খারিজ করেছেন তাঁরই নিকাশি বিভাগের মেয়র পরিষদ সদস্য তারক সিং।
মেয়র পারিষদ তারক সিং বলেন, “কে কী বলছে আমি বলব না। তবে এই ধরনের মন্তব্যের আগে টেকনিক্যাল বিষয়গুলো জানতে হবে। রাত দশটার মধ্যে জল নেমে যাবে এমন আশ্বস্তবাণী আমিও দিইনি। কারণ বাস্তব দিকটি দেখতে হবে। বেরিয়ে যাবে, বললেই জল বেরিয়ে যায় না। প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া রয়েছে।”
উল্লেখ্য, কলকাতার মেয়র মঙ্গলবার বিপর্যস্ত এলাকাতে দাঁড়িয়েই দাবি করেছিলেন, “বৃষ্টি না হলে রাত দশটার মধ্যে শহর থেকে সব জল বেরিয়ে যাবে।” জমা জলে বেরিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন খোদ মেয়র। তারপরই শহরবাসীকে আশ্বস্ত করেন। কিন্তু তারপরেও আজ শহরের বিভিন্ন অংশে কোথাও কোমর সমান জল। যেটা নিয়ে বলতে গিয়েই এই ব্যাখ্যা দেন তারক সিং। ভয়ঙ্কর অবস্থা বালিগঞ্জ এবং গড়িয়াহাটে। ঠনঠনিয়া কালীবাড়ি, কলেজ স্ট্রিটে জল জমে রয়েছে। এদিকে, বুধবারও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে কলকাতা লাগোয়া দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। কলকাতাতেও জারি করা হয়েছে হলুদ সতর্কতা! এদিনও বৃষ্টি হলে পরিস্থিতি যে আরও উদ্বেগজনক হবে, তা বলাই বাহুল্য।
