Adenovirus: অ্যাডিনো সহ শ্বাসকষ্টজনিত শিশুরোগ মোকাবিলায় টাস্ক ফোর্সের ৭ দাওয়াই

শিশুদের শ্বাসকষ্টজনিত রোগের মোকাবিলায় ৭ দাওয়াই দিল টাস্ক ফোর্স। বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষদের সঙ্গে মঙ্গলবার বৈঠকে বসবেন স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকেরা।

Adenovirus: অ্যাডিনো সহ শ্বাসকষ্টজনিত শিশুরোগ মোকাবিলায় টাস্ক ফোর্সের ৭ দাওয়াই
স্বাস্থ্য ভবন
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 13, 2023 | 9:02 PM

কলকাতা: অ্যাডিনো-জ্বরে কাবু দক্ষিণবঙ্গ। ক্রমশ উত্তরেও এর প্রভাব বাড়ছে। বিশেষত, শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হচ্ছে একের পর এক শিশু। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ইতিমধ্যে টাস্ক ফোর্স গঠন করেছে নবান্ন। এবার শিশুদের শ্বাসকষ্টজনিত রোগের মোকাবিলায় ৭ দাওয়াই দিল টাস্ক ফোর্স। যার মধ্যে অন্যতম হল, অ্যাডিনো-সহ শ্বাসকষ্টজনিত রোগ (ARI) রোধে বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, পরিস্থিতির মোকাবিলায় বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষদের সঙ্গে মঙ্গলবার বৈঠকে বসবেন স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকেরা।

জানা গিয়েছে, অ্যাডিনো মোকাবিলায় রাজ্য সরকার গঠিত টাস্ক ফোর্সের প্রতিনিধিরা সোমবার মুখ্য সচিবের নেতৃত্বে এক বৈঠকে বসেন। এটিই ছিল টাস্ক ফোর্সের প্রথম বৈঠক। সেই বৈঠক থেকেই শিশুদের অ্যাডিনো-সহ শ্বাসকষ্টজনিত রোগ মোকাবিলায় বিশেষ ৭টি পদক্ষেপ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কী কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, দেখে নেওয়া যাক একনজরে…

টাস্ক ফোর্সের ৭ দাওয়াই ১) অ্যাডিনো-সহ ARI রোধে বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে। ২) জনসসচেতনতা বাড়া ইর কাজে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (IMA), ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অফ পেডিয়াট্রিসিয়ানস (IAP)-দের যুক্ত করতে হবে। ৩) প্রাথমিক স্তরে জনসচেতনতা প্রচারে এবং শ্বাসকষ্টজনিত অসুখে আক্রান্ত শিশুদের চিহ্নিতকরণের জন্য অঙ্গন‌ওয়াড়ি কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে কাজে লাগাতে হবে। ৪) সরকারি পোর্টাল থেকে সামাজিক মাধ্যমগুলির মাধ্যমে জনসচেতনতার প্রচার করতে হবে ৫) গোড়াতেই রোগ নির্ণয় করতে আশা কর্মীদের বাড়ি-বাড়ি পরিদর্শন করতে হবে। ৬) বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নজরদারিতে প্রোটোকল মেনে চিকিৎসা করতে হবে। ৭) পরিস্থিতির মোকাবিলায় বেসরকারি হাসপাতালগুলির সঙ্গে মঙ্গলবার বৈঠক স্বাস্থ্য কমিশনের

প্রসঙ্গত, গত আড়াই মাসে ARI উপসর্গ নিয়ে ১২,৩৪৩ জন শিশু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। এর মধ্যে অ্যাডিনোয় মৃত্যু হয়েছে ১৯ শিশুর। এছাড়া কো-মর্বিডিটির কারণে ১৩টি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে, দৈনিক নতুন রোগী ভর্তির সংখ্যা ৮০০ থেকে কমে ৬০০ হয়েছে।