কলকাতা: ধৃত আনসারুল্লা বাংলা টিমের সদস্য শাদ রাডি ওরফে শাব শেখের হরিহরপাড়া এবং কান্দি দুই বিধানসভায় ভোটার কার্ড ছিল। তা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পরেই বিষয়টি নিয়ে মুর্শিদাবাদের জেলা নির্বাচন আধিকারিক তথা জেলা শাসকের থেকে রিপোর্ট চেয়েছে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক বা সিইও দফতর। যা ইতিমধ্যেই এসেছে। সেই রির্পোট খতিয়ে দেখছেন দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকরা।
শুধুমাত্র মুর্শিদাবাদ নয়। এই ধরনের কোনও ঘটনা প্রকাশ্যে এলেই বিষয়টি নিয়ে জানতে চাওয়া হচ্ছে সংশ্লিষ্ট জেলা গুলো থেকে। সম্প্রতি রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জঙ্গি গ্রেফতার। তার সঙ্গে পাসপোর্ট, আধার সব কিছুতেই জালিয়াতির অভিযোগে সামনে আসছে। শাব শেখের ক্ষেত্রে বিদেশ মন্ত্রক বা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক থেকে কোনও নির্দিষ্ট নির্দেশ আসেনি। তবে বিভিন্ন সময়ে কোনও ভোটারকে তালিকা থেকে বাদ দেওয়া বা সেই ভোটার খুঁটিনাটি তথ্য সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয় বিদেশ মন্ত্রক বা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে। সেই অনুসারে পদক্ষেপ করা হয়।
এখনও ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ চলছে। এহেন আবহে ভোটার তালিকা নিয়ে কমিশনের গাইড লাইনকে আরও সুনির্দিষ্ট ভাবে মান্যতা দেওয়ার জন্য জেলাগুলিকে বলা হয়েছে বলে বিভিন্ন জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর। তালিকায় নাম তুলতে চাওয়া কোনও ভোটারকে নিয়ে সন্দেহ হলে সেটা নিয়ে বারবার খোঁজ খবর নিতে হবে, সে নির্দেশও পেয়েছেন বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর। তবে এ কথাও বলছেন, কমিশনের বিভিন্ন আধিকারিকরা ভোটার তালিকায় নাম তোলার জন্য প্রয়োজনীয় নথি (যদি তা ভুয়োও হয়, তা-ও সব সময় দেখে বোঝার উপায় থাকে না) দিলে তালিকায় নাম উঠে যায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির।
শাব শেখের দুটি বিধানসভায় নাম থাকার পরে ভোটার তালিকা পুনরায় মূল্যায়ন দাবি করেছিল বিজেপি। যদিও কমিশন বা সিইও দফতরে এই ধরনের কোনও দাবিপত্র বা অভিযোগ জমা দেওয়া হয়নি পদ্ম শিবিরের তরফে। যদিও ভোটার তালিকার ক্ষেত্রে যাবতীয় ঘটনার দায় বিডিও এবং জেলাশাসকের বলে সরব হয়েছিলেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।