Abhishek Banerjee: ‘শেখ শাহজাহান কী করেছে?’, সন্দেশখালির ঘটনায় মুখ খুললেন অভিষেক
Sandeshkhali: তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, 'শেখ শাহজাহান কী করেছে? যেদিন ঘটনা ঘটেছে, শেখ শাহজাহান ছিল বলে তো আমার জানা নেই। কিছু লোকের বিক্ষোভ আমি দেখতে পেয়েছি। আমি জানি না। তবে যে ঘটনা ঘটেছে, তা অনভিপ্রেত। এটা না ঘটলেই ভাল হত। যে ঘটনা সেদিন তাঁর বাড়ির বাইরে ঘটেছে, সেটা তো তদন্ত ছাড়া বলা যাবে না।'
কলকাতা: সন্দেশখালিতে ইডির উপর হামলার ঘটনায় হইচই পড়ে গিয়েছে গোটা রাজ্যে। আর যাঁকে কেন্দ্র করে এত কিছু, সেই শেখ শাহজাহান এখনও বেপাত্তা। সম্প্রতি, রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও বলেছেন, শাহজাহান যা করেছে তা অন্যায় করেছে। তবে আজ সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে মুখ খুলে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, ‘শেখ শাহজাহান কী করেছে? যেদিন ঘটনা ঘটেছে, শেখ শাহজাহান ছিল বলে তো আমার জানা নেই। কিছু লোকের বিক্ষোভ আমি দেখতে পেয়েছি। আমি জানি না। তবে যে ঘটনা ঘটেছে, তা অনভিপ্রেত। এটা না ঘটলেই ভাল হত। যে ঘটনা সেদিন তাঁর বাড়ির বাইরে ঘটেছে, সেটা তো তদন্ত ছাড়া বলা যাবে না।’
এরপর অভিষেকের আরও সংযোজন, ‘বিষয়টি তো বিচারাধীন। ইডিও মামলা করেছে। সিট গঠন করে তদন্তও হচ্ছে। যতক্ষণ না তদন্তে কোনওরকম ফয়সলা হচ্ছে, আমি কীভাবে বলতে পারি কে করেছে! আমি তো গণৎকার নই।’
যদিও অভিষেক এ কথাও বার বার বুঝিয়ে দিয়েছেন, যে ঘটনা ঘটেছে, তা কখনোই কাম্য নয়। সন্দেশখালির ঘটনাকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’, ‘অনভিপ্রেত’ বলেই ব্যাখ্যা করছেন তিনি। বলছেন, ‘না হলেই ভাল হত।’ কিন্তু একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় এজেন্সির কাজের ধরন নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে তাঁর। এজেন্সি কোথায় হানা দিতে যাচ্ছে, সেই বিষয়ে স্থানীয় পুলিশকে খবর কেন দেওয়া হয়নি, সেটা নিয়েও এদিন প্রশ্ন তোলেন তিনি। অভিষেক বললেন, ‘আমি কোনও ঘটনা সমর্থন করছি না। যেটা হয়েছে অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। অনভিপ্রেত। না হলেই ভাল হত। কিন্তু কলকাতা থেকে তিন ঘণ্টার রাস্তা। সেখানে এজেন্সি আটটায় পৌঁছানোর পরপরই, সংবাদমাধ্যম আটটা বেজে এক মিনিটে পৌঁছে যাচ্ছে। তাহলে আপনি রেড করতে যাচ্ছেন, খবর সংবাদমাধ্যমকে দিয়ে যাচ্ছেন, কিন্তু পুলিশ প্রশাসনকে দিচ্ছেন না। তাহলে আপনার উদ্দেশ্য কী?’
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের সোজাসাপ্টা বক্তব্য, ‘যে ঘটনা ঘটেছে, সেটা না হলেই ভাল হত। ইডির প্রত্যেক জায়গায় যাওয়ার অধিকার আছে। রেইড করার অধিকার আছে। কিন্তু আমরা প্রশ্নটা তুলছি, তাদের ভূমিকায়। তারা নিরপেক্ষভাবে কাজ করছে না। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে, যাদের টিভির পর্দায় নির্লজ্জের মতো টাকা নিতে দেখা গিয়েছে, তাদের ইডি ডাকবে না। কারণ তারা বিজেপির ছত্রছায়ায় আছে। আর যারা বিজেপির বিরুদ্ধে মাথা উঁচু করে লড়াই করছে, তাদের বিরুদ্ধে ইডি-সিবিআই লেলিয়ে দেওয়া হচ্ছে।’