Jyotipriya Mallick and Nandini: ‘দার্জিলিংয়ে আমার স্ত্রীর সঙ্গে বালুদা তখন আমি বিছানায় শুয়ে’, নন্দিনীর স্বামী চাইলেন ‘স্বেচ্ছামৃত্যু’

Jyotipriya Mallick and Nandini: তিনি বলেছেন,"বালুদার সঙ্গে দার্জিলিং ঘুরে এসেছিল। বালুদা বলতে অজ্ঞান। তার জন্য মুড়ি মেখে নিয়ে যচ্ছে,রান্না করে নিয়ে যাচ্ছে। ফল পাকড় নিয়ে যাচ্ছে।" জয়ব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, "বারবার আমার স্ত্রী বলেছে বালুদা জগিং করে, কত ইয়াং, খালি ওনার প্রশংসা।"

Jyotipriya Mallick and Nandini: 'দার্জিলিংয়ে আমার স্ত্রীর সঙ্গে বালুদা তখন আমি বিছানায় শুয়ে’, নন্দিনীর স্বামী চাইলেন 'স্বেচ্ছামৃত্যু'
ফাইল চিত্রImage Credit source: Facebook
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 23, 2023 | 2:07 PM

কলকাতা: বিস্ফোরক বিধান নগর পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর নন্দিনী বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বামী জয়ব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হওয়া জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ তুলেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, ওই ব্যক্তির দাবি জ্যোতিপ্রিয়র জন্য স্ত্রী নন্দিনী তাঁর উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে। এই নির্যাতন থেকে মুক্তি পেতে করজোড়ে তিনি নিজের স্বেচ্ছামৃত্যুও চেয়েছেন। বলেছেন, “আমি আর বেঁচে থাকতে চাই না।”

জয়ব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, ২০১৭ সালে তাঁর হার্ট অ্যাটাক হয়। তারপর থেকেই তিনি কল্যাণীতে থাকা শুরু করেন। ওই ব্যক্তির দাবি, তাঁর অনুপস্থিতিতেই রাজ্যের মন্ত্রীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে তাঁর স্ত্রীর।

একটি ভিডিয়োয় নন্দিনী বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বামী বলেছেন, আমাদের ১৯৯৪ সালে বিয়ে হয়। ২০১৭ তে বাগুইআটি থাকাকালীন আমার হার্ট অ্যাটাক হয়। এরপর থেকে চিকিৎসার কারণে আমি কল্যাণীতে থাকা শুরু করি। তবে এখানে স্ত্রী যেহেতু একা থাকতেন, তাই আমি মাঝে মধ্যে আসতাম।” জয়ব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছে, “২০১৭ সালে শুনলাম বালুদার সঙ্গে নন্দিনী তৃণমূল যোগদান করেছে। তারপর থেকে আসা যাওয়ার হিসাব নেই। রাত ১১টা সাড়ে এগারোটা কোনও সময় জ্ঞান নেই। সব সময় ফোনে ব্যস্ত।ওর সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পেতাম না”

তিনি বলেছেন, “লকডাউনের পরেও এসেছি। ২০২১ এ কাউন্সিলরের টিকিট পায়। এরপর থেকেই হাবভাব বদলে যায়। আমায় সোজা বলল এখানে না আসতে। এরমধ্যে আমি শুনতে পেলাম, বালুদার সঙ্গে দার্জিলিং ঘুরে এসেছিল। বালুদা বলতে অজ্ঞান। তার জন্য মুড়ি মেখে নিয়ে যচ্ছে, রান্না করে নিয়ে যাচ্ছে। ফল পাকড় নিয়ে যাচ্ছে।”

তৃণমূল কাউন্সিলরের স্বামীর অভিযোগ, “সেই সময় আমাদের বিবাহ বিচ্ছেদ মামলা হয়নি।” কীভাবে জ্যোতিপ্রিয়র সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে? এই উত্তর দিতে গিয়ে ওই ব্যক্তি বলেছেন, “মতিঝিলে থাকাকালীন ববি বলে একজন থাকত। সে পুরসভায় ব্লিচিং সাপ্লাই করত। উনি প্রথম বালুদার সঙ্গে পরিচয় করিয়েছিল। বারবার ববি বলত বালুদা ডাকছে। আমি পছন্দ করিনি।” তিনি বলেছেন, “বারবার আমার স্ত্রী বলেছে বালুদা জগিং করে, কত ইয়াং, খালি ওনার প্রশংসা।”

জয়ব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কাউন্সিলর হওয়ার পর ও ফ্ল্যাট কেনে। আমি জানতাম ও না। আমি ভাবলাম এত টাকা কোথা থেকে পেল? নিশ্চয় বালুদা কিনে দিয়েছে। এমনকী ওর আত্মীয়রাও জানতেন না কোথায় ওর ফ্ল্যাট রয়েছে।” তাঁর দাবি, “গত সেপ্টেম্বর আমি অনেক খুঁজে যাই ওর ফ্ল্যাটে। তারপর আমার কোনও কথাই শুনল না। এরপর শুনি আমার নামে অভিযোগ দায়ের হয়েছে থাকায়।”

এই বিষয়ে বিধান নগর পৌরনিগমের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নন্দিনী বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত বিষয়, জয়ব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আমার বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছে। বাগুইআটি থানায় অভিযোগ দায়ের করা আছে। এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়ার জন্য Tv9 বাংলা যোগাযোগ করেছিল বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে। তিনি কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি। মন্ত্রী সুজিত বসুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানিয়েছেন, তিনি ওই এলাকার নন, তাই তিনি কিছু জানেন না। অপরদিকে, জ্যোতিপ্রিয়র মেয়ে প্রিয়দর্শিনী মল্লিকের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়েছিল তবে প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

বিধায়ক তাপস রায় বলেছেন যে, রাজনৈতিকভাবে লড়তে না পেরে এই রকম ব্যক্তিগত আক্রমণ করা হচ্ছে। এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিতেও তাঁর রুচিতে বাধে।