Kunal Ghosh: পুজোর সময় কি বাঙালিরা অন্য রাজ্যে ঘুরতে গিয়ে সুরক্ষিত? কুণাল বললেন…
Kunal Ghosh: বস্তুত, বেশ কয়েকদিন ধরে বিজেপি শাসিত রাজ্যে বাঙালিদের হেনস্থার অভিযোগ উঠছে। মহারাষ্ট্র, দিল্লি, রাজস্থান, হরিয়ানা, ওড়িশা-সহ একাধিক জায়গায় বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের দাবি সেখানকার পুলিশ বাংলাদেশি সন্দেহে আটক করে রাখছে।

কলকাতা: সেপ্টেম্বরে পুজো। ধীরে ধীরে তোড়জোড় শুরু করছে বাঙালি। দুর্গাপুজোর ছুটিতে বাইরের রাজ্য থেকে অনেকেই আসেন কলকাতায়। আবার কলকাতা ছেড়ে অনেকেই ঘুরতে যান দু’একদিনের জন্য বাইরে। কিন্তু এবার পুজোর সময় বাইরের রাজ্যে ঘুরতে গেলে বাঙালি সুরক্ষিত থাকবে? এই প্রশ্নই করা হয়েছিল তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষকে। তিনি বললেন, বিষয়টা স্পর্শকাতর…।
বস্তুত, বেশ কয়েকদিন ধরে বিজেপি শাসিত রাজ্যে বাঙালিদের হেনস্থার অভিযোগ উঠছে। মহারাষ্ট্র, দিল্লি, রাজস্থান, হরিয়ানা, ওড়িশা-সহ একাধিক জায়গায় বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের দাবি সেখানকার পুলিশ বাংলাদেশি সন্দেহে আটক করে রাখছে। তারপর তাঁদের উপর নির্যাতন চালানো হচ্ছে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই পথে নেমেছে তৃণমূল। বাঙালি নিপীড়ন ইস্যুকে কেন্দ্র করে ভাষা আন্দোলনেরও ডাক দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিন্দায় সরব হয়েছে শাসকদল।
এই ইস্যুতেই এবার মুখ খুলেছেন কুণাল ঘোষ। তিনি প্রথমে বলেন, “গুরুগ্রামের ছবি। বাংলাভাষীদের উপর অকথ্য অত্যাচার। অমানবিক ছবি। বিজেপি বাংলা এবং বাঙালির উপর রাগে অমানবিক-কাণ্ড করছে। মতুয়াদের আটক করছেন কেন ? আমরা অনুপ্রবেশের বিরোধী নই। সীমান্ত দেখার দায়িত্ব অমিত শাহর। যেভাবে বাঙালিদের উপর অত্যাচার করছে, এর বিরুদ্ধে সর্বাত্মক আন্দোলন হবে।” এরপর সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, “তবে কি পুজোর সময় ভিন রাজ্যে যাওয়া কি সুরক্ষিত?” উত্তরে কুণাল বলেন, “বিষয়টা স্পর্শকাতর। যান বা যাবেন না। কোনওটাই বলব না। কিন্তু বলব মরিয়া হয়ে বিজেপি নেমেছে। সুতরাং সাবধানে…।”

