Municipal Board: পুরবোর্ডের মাথায় বসবে কে? জেলায় জেলায় দিনভর চলল নাটক!

TMC Infights: পুরবোর্ড গঠন থেকে শুরু চেয়ারম্যান মনোনয়নকে কেন্দ্র করে বুধবার দিনভর জেলায় জেলায় নাটক চলছে। বিজেপির ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন তৃণমূল চেয়ারম্যান। এমন ঘটনাও দেখা গেল বুধবার।

Municipal Board: পুরবোর্ডের মাথায় বসবে কে? জেলায় জেলায় দিনভর চলল নাটক!
কালনা পুরভবনের দোতলা থেকে ঝাপ দেওয়ার চেষ্টার ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 16, 2022 | 9:41 PM

কলকাতা : পুরবোর্ড গঠন (Municipal Board) থেকে শুরু চেয়ারম্যান মনোনয়নকে কেন্দ্র করে বুধবার দিনভর জেলায় জেলায় নাটক চলছে। বিজেপির ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন তৃণমূল চেয়ারম্যান। এমন ঘটনাও দেখা গেল বুধবার। ঘটনাটি ঘটেছে খড়ার পুরসভা এলাকায়। এমন বেনজির ঘটনায় দলের গোষ্ঠীকোন্দল ফের একবার বেআব্রু। ঘটনাকে কেন্দ্র করে কড়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। দলের নেতৃত্বের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, খড়ার পুরবোর্ডকে কোনওভাবেই মান্যতা নয়। বহিষ্কার করে দেওয়া হয়েছে দলের বিক্ষুব্ধ কাউন্সিলরদের। পুরবোর্ডের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে চলেছে তৃণমূল, স্পষ্ট করে দিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম।

ঘটনার পরই নির্বাচিত চেয়ারম্যান অদ্যুৎ মণ্ডলকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বহিষ্কার করে দিয়েছে জেলা নেতৃত্ব। এদিন সকাল থেকেই খড়ার পুরসভা ভবনের সামনে অশান্তি চলছিল চেয়ারম্যান বাছাইকে কেন্দ্র করে। তার জেরেই ভোটাভুটির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রার্থী ছিলেন তৃণমূলের সন্ন্যাসী দোলুই এবং অন্যদিকে অদ্যূত মণ্ডল। এর আগে দলের তরফে খড়ার পুরসভার চেয়ারম্যান হিসেবে সন্ন্যাসী দোলুইয়ের নাম ঘোষণা করেছিল। কিন্তু তৃণমূল কর্মী ও সমর্থকদের একাংশ মানতে নারাজ সন্ন্যাসীকে। তাঁদের দাবি চেয়ারম্যান করতে হবে অদ্যুৎকেই। ভোটাভুটি হল। ৬-৪ ভোটে জিতে চেয়ারম্যানও হলেন অদ্যুৎ মণ্ডল। বিজেপির দুই কাউন্সিলরের ভোটও অদ্যুতের দিকেই গেল। ঘটনার পরই অদ্যুৎ মণ্ডলকে দল থেকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেয় দল।

শুধু খড়ার পুরসভাই নয়, এই নাটক চলল দিনভর একের পর এক জেলায়। দলের মনোনীত চেয়ারম্যান পছন্দ নয়। আর তাই, পুরসভা ভবনের দোতলা থেকে ঝাঁপ দেওয়ার চেষ্টা করলেন শাসক দলের কাউন্সিলর। যদিও তাঁকে সময় মতো আটকে দেন সেখানে উপস্থিত রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। কিন্তু দলের কড়া বার্তা, নেতৃত্ব যাকে ঠিক করবে, তাঁকেই মেনে নিতে হবে। কালনা পুরসভার পুরবোর্ডের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান ঘিরেও নাটকের শেষ নেই। কালনায় চেয়ারম্যান পদে আনন্দ দত্ত ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে তপন পোড়েলের নাম ঘোষণা করেছিল দল। তারপরই পুরসভা ভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসেন তৃণমূলের এক গোষ্ঠী। এরপরই ভোটাভুটিতে যান নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা। যদিও পরবর্তী সময়ে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ভোটাভুটি বাতিল হয়ে যায়। চেয়ারম্যান নিয়ে আগের যা সিদ্ধান্ত ছিল তাই বহাল থাকে।

একই ছবি দেখা গিয়েছে বনগাঁতেও। সেখানে আবার অভিযোগ, টাকা দিলেই চেয়ারম্যান ভাইস চেয়ারম্যানের পদ কিনে নেওয়া যায় । বনগাঁ তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন ভাইস-চেয়ারম্যান কৃষ্ণা রায় এমনটাই অভিযোগ করেছেন। তাঁর অভিযোগ, দল আমাদের বার বার টিকিট দিয়েছে। আমরা মানুষের ভোটে জিতে এসে প্রমাণ দিয়েছি। কিন্তু পয়সা নেই, টাকা নেই, তাই আমরা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানের পদ কিনে নিতে পারিনি।”

প্রসঙ্গত এবারে বনগাঁ পুরসভা নির্বাচনের পর গোপাল শেঠ চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হন । অন্যদিকে জোসনা আঢ্য বনগাঁর প্রাক্তন চেয়ারম্যান তিনিও আজ ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হন। পদ পাননি দীর্ঘদিন ধরে ভাইস-চেয়ারম্যানের পদ সামলে আসা কৃষ্ণা রায়। তিনি আজ ভাইস-চেয়ারম্যান পদে নিযুক্ত না হওয়ার পর ক্ষোভে দলের বিরুদ্ধে এ কথা বলেন। যদিও এ প্রসঙ্গে চেয়ারম্যান তথা বনগাঁ সংসদীয় সভাপতি গোপাল শেঠ জানিয়েছেন তিনি আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ করেননি যদি অভিযোগ করেন বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

আরও পড়ুন : CPIM Candidates: উপনির্বাচনে প্রার্থীতে ‘সাবধানী’ বাম! পোড় খাওয়া রাজনীতিকের সঙ্গে কর্পোরেটের মিশেল