মমতার দফতর নিয়েই শুধু প্রশ্ন থাকবে? বিধানসভা অধিবেশনের জন্য কোন অস্ত্র সাজাচ্ছে শাসক দল
প্রচার চললেও সংখ্যালঘুদের উন্নয়ন সেভাবে হয়নি বলে বারবার তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন বিরোধীরা। সেই সব বিষয়ে জবাব দিতেই এভাবে সংখ্যালঘু উন্নয়নের প্রশ্নের উপর জোর দিচ্ছে রাজ্যের শাসক দল।
কলকাতা: সামনেই বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশন। গত কয়েক মাস ধরে যেভাবে আন্দোলনে উত্তাল হয়েছে রাজ্য, তাতে অধিবেশনও যে উত্তাল হবে, তেমনটাই মনে করছেন অনেকে। বিধানসভায় কোন দফতরের প্রশ্ন বেশি করে জমা দেবেন দলের বিধায়করা, সেই পরিকল্পনাও করা হয়ে গিয়েছে বলে সূত্রের খবর। জানা যাচ্ছে, ত্রিফলা অস্ত্র সাজিয়ে ফেলেছে রাজ্যের শাসক দল।
তৃণমূল নেতৃত্ব চাইছে, স্বাস্থ্য, সংখ্যালঘু উন্নয়ন, ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর নিয়েই বিধায়করা বেশি প্রশ্ন করবেন বলে জানা যাচ্ছে। এই তিন দফতরের উন্নয়ন ও সংস্কারমূলক কাজকে সামনে রেখেই প্রশ্নপর্ব সাজানোর পরিকল্পনা নিয়েছে শাসক দলের পরিষদীয় দফতর।
তাৎপর্যপূর্ণভাবে এই তিনটি দফতর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেখেন। অন্য দফতরের থেকে অনেক বেশি করে এই তিন দফতরের প্রশ্ন জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তৃণমূলের বিধায়কদের।
গত তিন মাস ধরে আর জি কর সহ রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের বিভিন্ন দুর্নীতি, অনিয়ম নিয়ে তৃণমূলকে নিশানা করেছে বিরোধীরা। তার জবাব দিতেই কি স্বাস্থ্য নিয়ে বেশি প্রশ্ন চায় তৃণমূল? চর্চা চলছে রাজনীতির কারবারিদের মধ্যে।
একইসঙ্গে, প্রচার চললেও সংখ্যালঘুদের উন্নয়ন সেভাবে হয়নি বলে বারবার তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন বিরোধীরা। সেই সব বিষয়ে জবাব দিতেই এভাবে সংখ্যালঘু উন্নয়নের প্রশ্নের উপর জোর দিচ্ছে রাজ্যের শাসক দল।
এই তিন দফতর সংক্রান্ত অস্বস্তিকর প্রশ্ন এলে তো বিধানসভায় বিড়ম্বনায় পড়তে হবে সরকারকে। সে ক্ষেত্রে কী হবে? সূত্রের খবর, প্রশ্ন জমা পড়লেই তা অধিবেশনের প্রশ্নোত্তর পর্বে ঠাঁই পাবে এমন নয়। কারণ, তার আগে তা শাসকদলের মুখ্য সচেতক, পরিষদীয় মন্ত্রী প্রশ্ন দেখে নেন। স্ক্রিনিং হয় প্রশ্ন। প্রয়োজনে প্রশ্নে চোখ বুলিয়ে নেন স্পিকারও। ফলে এত গুলো ধাপ এড়িয়ে অস্বস্তিকর প্রশ্ন আসবে না বলেই মত পর্যবেক্ষকদের। আগামী ২৫ নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশন।