Indian Railway: বারুইপুরে ছিঁড়ে গেল ট্রেনের সিগন্যালিং তার, বিদ্যুৎ দফতরের কাজে ৬২ লক্ষ টাকার ক্ষতি রেলের
Indian Railway: শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় বারুইপুর গুরুত্বপূর্ণ জংশন। ফলে আচমকা এ ঘটনায় প্রচুর ট্রেন মাঝরাস্তাতেই থমকে যায়। প্রভাব পড়ে ডায়মন্ড হারবার, লক্ষ্মীকান্তপুর, সোনারপুর শাখাতেও। সূত্রের খবর, এই ঘটনার জেরে প্রায় ৩৭টি ট্রেন ডামাডোলের মধ্যে পড়ে।

কলকাতা: বড়সড় আর্থিক ক্ষতি হয়ে গেল পূর্ব রেলের। বিদ্যুৎ দফতরের কাজের পরেই এই বিপর্যয় ঘটতেই তা নিয়ে চাপানউতোর শুরু হয়েছে রেলের অন্দরে। বুধবার রাত থেকে রাজ্যের বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা বারুইপুর স্টেশন সংলগ্ন আধুনিক ইন্টারলকিং সিগন্যালিং রুমের সামনে কাজে নামেন। আর সেই কাজ করতে গিয়েই গোলযোগ। ১৬টি সিগন্যালিং তারে সেই মাইক্রোটানেলিং মেশিনের কোপ পড়ে। ছিঁড়ে যায় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তার। যে কারণে গোটা সিগন্যালিং ব্যবস্থার উপরে পড়ে বড়সড় প্রভাব।
এদিকে শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় বারুইপুর গুরুত্বপূর্ণ জংশন। ফলে আচমকা এ ঘটনায় প্রচুর ট্রেন মাঝরাস্তাতেই থমকে যায়। প্রভাব পড়ে ডায়মন্ড হারবার, লক্ষ্মীকান্তপুর, সোনারপুর শাখাতেও। সূত্রের খবর, এই ঘটনার জেরে প্রায় ৩৭টি ট্রেন ডামাডোলের মধ্যে পড়ে। বেশ কিছু ট্রেনকে মাঝপথে থামিয়ে দিতে হয় অথবা ঘন্টাখানেক দেরিতে চলে। বৃহস্পতিবার দিনভর দেখা যায় এই ছবি। ক্ষোভ বেড়েছে যাত্রীদের মধ্যে।
রেলের তরফে গুরুতর অভিযোগ তোলা হয়েছে রাজ্যের বিরুদ্ধে। পূর্ব রেলের তরফে জানানো হয়েছে, বিদ্যুৎ দফতর কোনওরকম অনুমতি না নিয়েই রেলের জমিতে এই মাইক্রোটানেলিং পদ্ধতিতে নিজেদের দফতরের কাজ করতে গিয়েছিল। এখনও পর্যন্ত পুরোপুরি মেরামতিও সম্ভব হয়নি। কাজ চলছে বলে জানা যাচ্ছে। ফলে পড়ব পড়তে পারে শুক্রবারের ট্রেন চলাচলের ক্ষেত্রেও। শুক্রবারও দেরিতে ট্রেন চলাচল করতে পারে বলেই আশঙ্কা পূর্ব রেলের কর্তাদের।
রেল বলছে, এখনও পর্যন্ত প্রায় ৩৭টি ট্রেন সম্পূর্ণ দেরিতে চলেছে। পূর্ব রেলে হিসাব কষে জানিয়েছে, যার জেরে তাদের ৬২ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। ইতিমধ্যেই সে কথা বিদ্যুৎ দফতরকে জানিয়ে দিয়েছে রেল। এখন দেখার শেষ পর্যন্ত জল কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়।
