Dilip Ghosh: ‘উত্তর প্রদেশের সরকার দায়িত্বশীল, দুর্ঘটনা ঘটেছে, তা সামলানোর ক্ষমতা আছে’, মন্তব্য দিলীপের
Lakhimpur Violence : দিলীপ ঘোষ বলেন, সরকার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য এগুলি করে থাকে। উত্তর প্রদেশে দায়িত্বশীল সরকার রয়েছে। সেখানে একটি দুর্ঘটনা ঘটে গিয়েছে, তা সামলানোর ক্ষমতা তাঁদের আছে।
কলকাতা : লখিমপুরের ঘটনা সামাল দেওয়ার ক্ষমতা উত্তর প্রদেশের সরকারের আছে। আইন শৃঙ্খল পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে না চলে যায়, তার জন্যই বিরোধী দলের নেতাদের সেখানে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। এমনটাই মনে করছেন দিলীপ ঘোষ।
গতকাল লখিমপুর যাওয়ার পথে বাধা দেওয়া হয়েছিল বিরোধী দলের নেতাদের। অখিলেশ যাদব, প্রিয়ঙ্কা গান্ধী, তৃণমূলের প্রতিনিধি দল… কাউকেই লখিমপুরের ধারেকাছে ঘেঁষতে দেওয়া হয়নি। সেই প্রসঙ্গে আজ দিলীপ ঘোষ বলেন,বসিরহাটে কার্তিক ঘোষ মারা গিয়েছিলেন দাঙ্গাতে। তিনি আমাদের দলীয় কর্মী ছিলেন। রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, লকেট চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে আমাদের অনেক নেতা – নেত্রীকে আটকে দেওয়া হয়েছিল। সরকার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য এগুলি করে থাকে। উত্তর প্রদেশে দায়িত্বশীল সরকার রয়েছে। সেখানে একটি দুর্ঘটনা ঘটে গিয়েছে, তা সামলানোর ক্ষমতা তাঁদের আছে।”
উল্লেখ্য, লখিমপুর পৌঁছনর আগেই সীতাপুরে প্রিয়াঙ্কাকে আটকে দিয়েছিল পুলিশ। তখন তিনি আটকের নির্দেশনামা দেখার দাবি জানান। বচসায় জড়িয়ে পড়েন পুলিশের সঙ্গে। কিন্তু তাতে কাজ হয়নি। আটক করা হয় প্রিয়ঙ্কাকে। আটক হন সপা প্রধান অখিলেশ যাদবও।
বঙ্গ বিজেপি আর দিলীপ ঘোষ। রাজনীতির পরিভাষায় এই দু’টি শব্দ সমার্থক বললে খুব একটা ভুল বলা হবে না। বাংলায় বিজেপিকে আজ শূন্য থেকে এই জায়গায় এনে যিনি দাঁড় করিয়েছেন, তিনি দিলীপ ঘোষই। কিন্তু এখন তাঁর দায়িত্ব বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এখন আর তিনি বঙ্গ বিজেপির সভাপতি নন। এখন তিনি বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি। অর্থাৎ, সাংগঠনিক দিক থেকে জে পি নাড্ডার পরেই যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের মধ্যে একজন দিলীপ বাবু। তাঁর কাঁধে এখন গোটা দেশের দায়িত্ব। তাহলে কি পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে আর দেখা যাবে না দিলীপ ঘোষকে? অনুগামীদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে এই প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছিল।
সেই নিয়েই আজ মুখ খুললেন দিলীপ ঘোষ। বেশ বলিষ্ঠ গলায় জানিয়ে দিলেন,”পশ্চিমবঙ্গই আমার কর্মক্ষেত্র থাকবে।” একইসঙ্গে সিপিএম এবং কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “সিপিএম-কংগ্রেস তৃণমূলের হাত শক্ত করেছে। নিজের নাক কেটে অন্যের যাত্রা ভঙ্গ করেছে। মুসলিমদের বাড়ি-শোচলয় কেউ বানিয়ে দেয়নি, মোদী দিয়েছেন। তাই তাঁরা মোদীকে ভোট দিয়েছেন। অসমেও বিজেপি জিতছে।”
একইসঙ্গে রাজ্য়ের সংখ্য়ালঘুদের প্রসঙ্গ চেনে দিলীপ ঘোষ বলেন, “এখানে মুসলিমদের ভয় দেখানো হয়েছে। মুসলিমরা শিক্ষার দিক থেকে পিছিয়ে। তারা মৌলবিদের কথা শুনছে। দিদি চায় মুসলিমরা গরিব অশিক্ষিত থাকুন। তাহলে তাঁক ভোট ব্যাঙ্ক ভরে থাকবে। বঙ্গে তালিবান রাজ চলছে। পিটিয়ে মেরে দিচ্ছে। আমাদের এখানে রোজ মেরে ঝুলিয়ে দিচ্ছে। কাল মালদার কাস্টডিতে একজনকে পিটিয়ে মারা হয়েছে। তারাই উত্তর প্রদেশে যাচ্ছেন। ত্রিপুরায় গিয়ে খোকাবাবু থানার ওসিকে চমকাছেন।”
আরও পড়ুন : Priyanka Gandhi Vadra: পরিষ্কার থাকতে ভালোবাসেন, ঝাঁটা হাতে গেস্ট হাউসের ঘর সাফ করলেন প্রিয়াঙ্কা