ভ্যাকসিন-আতঙ্ক! বাঙুর হাসপাতালে টিকা নিতেই এলেন না অধিকাংশ স্বাস্থ্যকর্মী
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বেজায় বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। শেষ পর্যন্ত অবশ্য ১০০ জনেরও বেশি প্রাপক হাজির হন টিকা নিতে। তবে হাসপাতাল সূত্রে খবর, টিকা দেওয়া হয়েছে ১০০ জনকেই।
কলকাতা: দেশজুড়ে শনিবার থেকে শুরু হয়েছে কোভিড টিকাকরণ (Covid Vaccine) কর্মসূচি। তবে ভ্যাকসিন প্রদানের প্রথম দিনই অনভিপ্রেত ছবি দেখা গেল রাজ্যের প্রথম কোভিড হাসপাতাল এমআর বাঙুরে (MR Bangur Hospital)। সূত্রের খবর, ভ্যাকসিন প্রাপকদের তালিকায় এদিন যে ১০০ জন স্বাস্থ্যকর্মীর নাম ছিল তাদের মধ্যে বেশিরভাগই টিকা নিতে উপস্থিত হননি। ফলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বেজায় বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। শেষ পর্যন্ত অবশ্য ১০০ জনেরও বেশি প্রাপক হাজির হন টিকা নিতে। তবে হাসপাতাল সূত্রে খবর, টিকা দেওয়া হয়েছে ১০০ জনকেই।
ভ্যাকসিন নিয়ে খোদ চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীদের মধ্যেও যে কিছু ‘কিন্তু’ রয়েছে, এদিনে ঘটনা বস্তুত সেটাই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক থেকে শুরু করে প্রস্তুতকারী সংস্থা, প্রত্যেকেই পইপই করে একে সুরক্ষিত বলে দাবি করেছেন। তাও কোথাও যেন সন্দেহ রয়েই যাচ্ছে।
শনিবার থেকে এমআর বাঙুরেও টিকাকরণ শুরু হয়েছে। তালিকায় ছিলেন ১০০ জন ডাক্তার, নার্স-সহ স্বাস্থ্যকর্মীরা। কিন্তু তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগ প্রাপক এসে হাজির হননি। শেষ পর্যন্ত সকলকে একে একে ফোন করতে শুরু করেন কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগের ফোনের সুইচ ছিল অফ। জরুরি ভিত্তিতে তাঁদের হাসপাতালে এসে করোনা-টিকা নেওয়ার অনুরোধ করা হয়।
আরও পড়ুন: ‘ধৈর্যের পরীক্ষা দিচ্ছি’, সরাসরি বার্তা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের
সূত্রের খবর, এম আর বাঙুর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মরিয়া চেষ্টা করেও যোগাযোগ করতে পারেননি তালিকায় থাকা বেশ কয়েকজনের সঙ্গে। হঠাৎ করেই ফোন কেন বন্ধ রাখলেন তাঁরা, তা ভেবে এখনও কূলকিনারা করতে পারছেন না কর্তৃপক্ষ। একাধিক আধিকারিকের অনুমান, টিকা নিতে ভয়ের কারণেই এমন ঘটনা। পরে যদিও হাসপাতালের অন্যান্য কর্মীরা এগিয়ে আসেন টিকা নিতে। কারণ টিকার ভায়াল খুলে ফেলার তা ফেলে রাখা যায় না। ফলে প্রত্যহ বরাদ্দ ১০০টি টিকা এদিন হাসপাতালের অন্যান্য কর্মীদের দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ‘আমি টিকা নিচ্ছি না’, চরম বিতর্কে পিছু হঠতে হল তৃণমূল বিধায়ককে