CBI and ED on Narada Case: চিঠিতে সন্তুষ্ট নয়, ফের ইডি-সিবিআইকে তলব অধ্যক্ষের
CBI and ED on Narada Case: বুধবার দুপুরেই বিধানসভায় যান ইডি-র প্রতিনিধি। তবে স্পিকারের সঙ্গে না দেখে করে চিঠি দিয়ে চলে যান তিনি। সেই চিঠিতে সন্তুষ্ট নন বিধানসভার অধ্যক্ষ।
কলকাতা: ইডি (ED) ও সিবিআই (CBI) আধিকারিকদের ফের তলব করতে চলেছেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় (Biman Banerjee)। এর আগেও তলব করা হয়েছিল। কিন্তু অধ্যক্ষের সঙ্গে দেখা না করে চিঠি দেয় দুই কেন্দ্রীয় সংস্থা (Central Agency)। সেই চিঠিতে সন্তু্ষ্ট নন অধ্যক্ষ (Speaker)। তাই, বৃহস্পতিবারই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, আগামিকাল শুক্রবার ফের চিঠি পাঠানো হবে ওই দুই সংস্থাকে। চিঠি দিয়ে দেখা করতে বলবেন অধ্যক্ষ। গতকাল, অধ্যক্ষের ডাকার কোনও এক্তিয়ার নেই বলে উল্লেখ করে চিঠি দেয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। দেখা করেননি সিবিআই আধিকারিকেরাও।
সূত্রের খবর, আগামী ৪ অক্টোবর ডাকা হবে ওই দুই সংস্থাকে। নারদ মামলায় জনপ্রতিনিধিদের চার্জশিট দেওয়ার ক্ষেত্রে যে আইন রয়েছে, তা লঙ্ঘন করেছে ইডি ও সিবিআই। এমনটাই দাবি অধ্যক্ষের। অভিযোগ, ইচ্ছাকৃত এই আইন লঙ্ঘন করা হয়েছে। কেন এমন করা হল তা সিবিআই ও ইডির থেকে জানতে চেয়ে দুই পক্ষকে তলব করে বিধানসভা কর্তৃপক্ষ।
এর আগে যে চিঠি দেওয়া হয়েছিল, সেই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বুধবার বিধানসভায় উপস্থিত হওয়ার কথা ছিল দুই সংস্থার প্রতিনিধিদের। যদিও দুই এজেন্সির তরফে এ দিন সশরীরে হাজির হওয়ার কথা বলেছিল বিধানসভা, তবে সেটা মানা হয়নি। বুধবার দুপুরে বিধানসভায় যান ইডি-র এক প্রতিনিধি। তবে স্পিকারের সঙ্গে না দেখা করে চিঠি দিয়ে চলে যান তিনি। সেই চিঠিতে বিধানসভার অধ্যক্ষের তলবের প্রেক্ষিতে ইডি লেখে, ‘আপনাদের ডাকার অধিকার নেই।’ অন্যদিকে সিবিআই-র তরফে বিধানসভায় হাজির হন দুই প্রতিনিধি। তাঁরাও একটি চিঠি বিধানসভার সচিবের কাছে চিঠি দিয়ে বেরিয়ে যান। আরেকটি মেল করেছেন। তবে কোনও তরফেই বিধানসভার স্পিকারের সঙ্গে দেখা করা হয়নি।
স্পিকারের চিঠি ও তলব প্রসঙ্গে তাদের আইনি ব্যাখ্যা দিয়েছে ইডি। আইনগত ভাবে যে তারা কোনও ভুল করেনি, সেই ব্যাখ্যাই চিঠিতে বিস্তারিত দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রায় একই যুক্তি দিয়েছে সিবিআই-ও। এখন এ নিয়ে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় গতকাল বলেছিলেন, ‘আইনের উর্ধ্বে কেউ নয়। এই চ্যাপ্টার ক্লোজ হল না। বিষয়টিকে সিরিয়াসলি দেখা হচ্ছে।’ এরপরই ফের চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রদ মামলায় মন্ত্রী তথা বিধানসভার তিন সদস্য সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম এবং মদন মিত্রের বিরুদ্ধে ইডি চার্জশিট পেশ করেছে। এরপর ইডি-র বিশেষ আদালত তাঁদের নামে সমনও জারি করে। সেই সমন স্পিকারের মাধ্যমে অভিযুক্তদের কাছে পৌঁছতে পাঠানো হয় বিধানসভায়। কিন্তু বিধানসভা কর্তৃপক্ষ তা পাঠাতে অস্বীকার করেন। তা থেকেই বিতর্কের সূত্রপাত। বিধানসভার স্পিকারের যুক্তি, প্রিভেনশন অফ কোরাপশন আইন ১৯ (১) অনুসারে বিধায়কের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করতে গেলে বিধানসভার স্পিকারের অনুমোদন নিতে হবে। কিন্তু সেটা নেওয়া হয়নি।
আরও পড়ুন: Aadhir Chowdhury: ‘দিলীপ তো লাফাঙ্গা, ঝিনুকে দুধ খেতে খেতে রাজনীতিতে এসেছে অভিষেক’