Rakesh Singh: ফের চাপে বিজেপি নেতা রাকেশ সিং? ওয়াটগঞ্জ থানার মামলায় আগাম জামিনের আবেদন খারিজ হাইকোর্টের
Rakesh Singh: সব থেকে বেশি হইচই ফেলে দিয়েছিল মাদকযোগের অভিযোগে রাকেশ সিংয়ের গ্রেফতারি।
কলকাতা: আজাদি কা অমৃত মহোৎসব কর্মসূচি ঘিরে গত মাসে দক্ষিণ কলকাতায় একটি ঝামেলার অভিযোগ ওঠে। ওয়াটগঞ্জে এই ঝামেলা নিয়ে ওয়াটগঞ্জ থানায় দায়ের হয় অভিযোগ। থানায় বিজেপি নেতা রাকেশ সিং-সহ চারজনের নামে অভিযোগ দায়ের হয়। আগাম জামিনের আর্জি নিয়ে সোমবার অভিযুক্তরা আদালতের দ্বারস্থ হন। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্ট সেই জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ রাকেশ সিং-সহ চার বিজেপি নেতার জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয় এদিন। অর্থাৎ পুলিশ চাইলে এবার এই চারজনের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপও করতে পারে।
গত ১৩ অগস্টের ঘটনা। দক্ষিণ কলকাতায় অমৃত মহোৎসব কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে গণ্ডগোলের অভিযোগ ওঠে রাকেশ সিং এবং আরও তিন বিজেপি কর্মীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় মহম্মদ নজিব খান নামে এক ব্যক্তি ওয়াটগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। চারজনের বিরুদ্ধে ৩২৪ ধারা (অস্ত্র নিয়ে হামলা), ৩০৭ ধারা (খুনের চেষ্টা), ৩৪ ধারায় (ইচ্ছাকৃত ভাবে জোটবদ্ধ হয়ে হামলার অভিযোগ) মামলা দায়ের হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। এরপরই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন রাকেশ সিং-সহ বাকি অভিযুক্তরা। আগাম জামিনের আবেদন করেন। কিন্তু ডিভিশন বেঞ্চ সেই আর্জি খারিজ করে দেয়।
এর আগেও একাধিক আইনি জটিলতায় নাম জড়িয়েছে বিজেপি নেতা রাকেশ সিংয়ের। গত ২৪ জানুয়ারি আলিপুর চিড়িয়াখানায় বিজেপির ইউনিয়ন রুম দখলের অভিযোগ ঘিরে তুলকালাম হয়। অভিযোগ ওঠে ২৪ জানুয়ারির আগে পর্যন্ত চিড়িয়াখানার কর্মী ইউনিয়ন ছিল বিজেপির হাতে। সেদিন জোর করে তৃণমূলের লোকেরা সেখানে দলীয় পতাকা টাঙিয়ে দেয় বলে অভিযোগ ওঠে। রাকেশ সিং এরপরই হাইকোর্টে মামলা করেন। পাল্টা কলকাতা হাইকোর্টে রিপোর্ট জমা দেয় ওয়াটগঞ্জ ও আলিপুর থানা। তাতে উল্লেখ করা হয়, রাকেশ সিং চিড়িয়াখানার কর্মী নন। কীভাবে তিনি মামলা করলেন? রিপোর্ট খতিয়ে দেখার কথা জানায় আদালত।
তবে সব থেকে বেশি হইচই ফেলে দিয়েছিল মাদকযোগের অভিযোগে রাকেশ সিংয়ের গ্রেফতারি। মাদককাণ্ডে গত বছরের শুরুতে গ্রেফতার হন বিজেপি নেত্রী পামেলা গোস্বামী। পামেলার গাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল কোকেন। গ্রেফতারির পর বারবার পামেলা তদন্তকারী ও আদালতের সামনে রাকেশ সিংয়ের নাম নেন। পামেলার অভিযোগের ভিত্তিতে রাকেশ সিংকে পূর্ব বর্ধমানের গলসি থেকে গ্রেফতারও করা হয়। দীর্ঘ কয়েক মাস জেলে থাকার পর জামিনে মুক্ত হন তিনি।