Maidul Islam Middya: নবান্ন অভিযানে বেরিয়ে ঘরে ফেরেনি মইদুল! ‘শহিদ স্মরণে’ এবার পঞ্চায়েত-পুরসভামুখী DYFI
DYFI: পুলিশের লাঠির আঘাতে বছর একত্রিশের যুবকের মৃত্যু হয় বলে দাবি করেছিল ডিওয়াইএফআই নেতৃত্ব। যদিও পুলিশ জানিয়েছিল, ময়নাতদন্ত রিপোর্টে হাঁটুতে আঘাত ছিল।
প্রদীপ্তকান্তি ঘোষ: দু’সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যে ১০৮টি পুরসভার নির্বাচন (West Bengal Municipal Elections 2022)। আবার ২০২৩ সালে রয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার জন্য বাড়াতে হবে আন্দোলনের তীব্রতা। তাই ‘শহীদ’ মইদুল ইসলাম মিদ্যার ((DYFI Worker Maidul Islam)) মৃত্যুর বর্ষপূর্তিকে সামনে রেখে পঞ্চায়েত ও পুরসভা অভিযানের সিদ্ধান্ত নিল সিপিআইএমের (CPIM) যুব সংগঠন। আগামী ১০ থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের সমস্ত পঞ্চায়েত ও পুরসভায় অভিযানের ডাক দিয়েছে সংগঠনের নেতৃত্ব। কর্মসূচির পোশাকি নাম ‘সব বেকারের কাজ চেয়েছিল মইদুল। শহীদ স্মরণে লড়ছি।’ কেন কেন্দ্রীয় ভাবে নয়? পঞ্চায়েত, পুরসভা ভিত্তিক কর্মসূচি কেন? ডিওয়াইএফআইয়ের (DYFI) রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য কলতান দাশগুপ্তের মতে, “পাড়ায় পাড়ায় কর্মসূচি হলে অনেক বেশি কর্মী সমর্থককে যুক্ত করা যায়। আন্দোলনকে আরও বেশি তৃণমূল স্তরে পৌঁছে দেওয়া যায়। যা রাজ্যের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে অনস্বীকার্য।” কিছুদিন আগেই দলের মুখপত্রের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচিতে সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র বারবার বলেছিলেন, আন্দোলনকে ধারালো করতে হবে। সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় কৃষি আইন প্রত্যাহারের সাফল্যে কৃষক আন্দোলনকে সামনে রেখেছিলেন সূর্যকান্ত।
‘আমি আর বাঁচব নি’ ছটফট করতে করতে মইদুলের বলা শেষ কথাটাই বেঁচে গেল চিরতরে…#TV9News | #TV9Bangla pic.twitter.com/Wj953PNSJr
— TV9 Bangla (@Tv9_Bangla) February 15, 2021
সূর্যকান্ত মিশ্রের মতে, ওনারা (কৃষকরা) যদি পারেন, তাহলে পঞ্চায়েত, পুরসভা বা ব্লকে ছোট ছোট দাবি আদায় কেন করা যাবে না? দলের রাজ্য সম্পাদকের পঞ্চায়েত বা পুরসভা স্তরের আন্দোলনের ধার বাড়ানোর বার্তার সঙ্গে যোগসূত্র রয়েছে ডিওয়াইএফআইয়ের কর্মসূচির? এ নিয়ে অবশ্য মুখে কুলুপ সংগঠনের নেতৃত্বের। তাদের মতে, মানুষের জন্য দাবি আদায়ে কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। তবে কয়েকদিন আগে হাওড়া জেলা সিপিআইএমের সম্মেলনে পলিটব্যুরো প্রতিনিধি হিসাবে উপস্থিত হয়ে হান্নান মোল্লা বলেছিলেন, “রাজ্যে দল এখন কর্মসূচির ভিত্তিতে চলছে। আন্দোলনে নেই।”
আন্দোলনে না থাকলে মানুষের আস্থা অর্জন করা যায় না বলেও মত প্রকাশ করেছিলেন দিল্লির কৃষক আন্দোলনের অন্যতম নেতা। ফলে হান্নান মোল্লার বার্তাও কি সিপিআইএমের যুব সংগঠনের টানা ছ’দিনের কর্মসূচি নেওয়ার পিছনে অন্যতম কারণ, তা নিয়েও চর্চা শুরু হয়েছে। এ ক্ষেত্রেও মুখ খুলতে নারাজ দলীয় নেতৃত্ব। ২০২১ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি সংগঠনের নবান্ন অভিযানের কর্মসূচিতে যোগ দিতে এসেছিলেন বাঁকুড়ার কোতুলপুরের চোরকোলা গ্রামের মইদুল।
পুলিশের লাঠির আঘাতে বছর একত্রিশের যুবকের মৃত্যু হয় বলে দাবি করেছিল ডিওয়াইএফআই নেতৃত্ব। যদিও পুলিশ জানিয়েছিল, ময়নাতদন্ত রিপোর্টে হাঁটুতে আঘাত ছিল। যার কারণে মৃত্যু হয়নি। অনেক আগেই ফুসফুস, কিডনির মতো অঙ্গপ্রত্যঙ্গ অসুস্থতার কারণে বিকল হয়েছিল এই তরুণ তুর্কির। নবান্ন অভিযানের দিনচারেক পরে অর্থাৎ ১৫ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ কলকাতার একটি নার্সিংহোমে মৃত্যু হয় পেশায় অটোচালক বাঁকুড়ার গোপীনাথপুরের ডিওয়াইএফআইয়ের ইউনিট সম্পাদকের।
এবার সেই মইদুলের মৃত্যুর সপ্তাহকে সামনে রেখে বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে আন্দোলনকে ধারালো করে রাজ্য সরকারকে বিব্রত করতে চায় সিপিএমের যুব সংগঠন। আর সেক্ষেত্রে ফেব্রুয়ারি মাসের পুরসভার ভোটের প্রচারের সঙ্গে এখন থেকেই আগামী বছরের পঞ্চায়েত নিয়ে ঝাঁপাতে চাইছে সিপিআইএম। সাযুজ্য রেখেই পঞ্চায়েত ও পুরসভা চলো কর্মসূচি নিল দলের যুব সংগঠন। এই মুহূর্তে বিজেপি তেমন কোনও আন্দোলনে নেই। ফলে রাজ্যে তৃণমূল বিরোধিতার রাশ নিতেই এই ধরনের আন্দোলন কর্মসূচি বলেও মত রাজনীতি কারবারিদের অনেকের।
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা