Kunal on Suvendu: ‘শুভেন্দু আরএসি বিধায়ক, এখনও কনফার্ম হননি’, খোঁচা কুণালের
Suvendu Adhikari: কুণাল ঘোষ বলেন, "শুধুমাত্র সুরক্ষা কবচের জন্য, আদালত ও এজেন্সির রক্ষা কবচ নিয়ে ধরাকে সরা জ্ঞান করছেন শুভেন্দু। একদিন সময় আসবে যখন এর বদল হবে।"
কলকাতা: বুধবার ঝাড়গ্রামের সরডিহাতে বিজেপির সম্মেলন ছিল। সেখান থেকে চাঞ্চল্যকর দাবি করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর বক্তব্য ছিল, ২০১৮ সালের ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ভোটে পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রামে প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে তৃণমূল জয় পায়। শুভেন্দুর এই মন্তব্যের পাল্টা এবার কটাক্ষ ছুড়লেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। শুভেন্দু ‘আরএসি বিধায়ক’ (RAC MLA) বলেও কটাক্ষ করেন তিনি। কুণাল বলেন, “শুভেন্দু নন্দীগ্রামের আরএসি বিধায়ক। এখনও তো মামলা চলছে।” বুধবার সরডিহায় শুভেন্দু বলেন, ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটে ঝাড়গ্রাম ও পুরুলিয়ায় তৃণমূল আসলে পরাজিত হয়েছিল। এদিন কুণাল ঘোষ বলেন, “শুভেন্দু যেটা বলতে ভুলে গিয়েছেন, গত লোকসভা নির্বাচনে তমলুক ও কাঁথিতেও তৃণমূলের দুই প্রার্থী হেরে গিয়েছিলেন। পরে শুভেন্দু অধিকারী কোনওক্রমে তাঁর বাবা ও ভাইকে জিতিয়েছেন। এটার থেকে স্পষ্ট তিনি নির্বাচনের ফলাফল কীভাবে উল্টে দিতে পারেন। নন্দীগ্রামেও তার মানে মমতারই জয় হয়েছিল। লোডশেডিং করিয়ে ফল বদল করে দিতে পারেন যিনি, তিনি হচ্ছেন নন্দীগ্রামের আরএসি বিধায়ক। আরএসি, কনফার্ম হয়নি। মামলা চলছে।”
কী বলেছিলেন সরডিহায় শুভেন্দু?
সরডিহায় শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “আগে পঞ্চায়েতে ভোট হতো। ২০১৮ সালে পঞ্চায়েতের নির্বাচন করতে দেওয়া হয়নি। ৩৪ শতাংশ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তৃণমূল জিতেছিল। বহু জায়গায় নমিনেশন করতে দেওয়া হয়নি। ঝাড়গ্রামে সেটা পারেনি। ঝাড়গ্রামে বিজেপি মনোনয়ন দিয়েছে। কারণ এখানকার মানুষ নির্বাচন করেছিলেন। ৭৯ গ্রামপঞ্চায়েতের মধ্যে নির্বাচনে বিজেপি গরিষ্ঠসংখ্যক জিপিতে জেতে। অধিকাংশ পঞ্চায়েত সমিতি এমনকী জেলা পরিষদেও বিজেপির সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল। ডিএম আর এসপিকে দিয়ে পাল্টে দেওয়া হয়। আমি সে সময় তৃণমূলে ছিলাম, তাই বলতে পারলাম। ভোট লুঠ করে গণনাকেন্দ্রে ফলাফল পরিবর্তন করে আপনাদের ভোটের হক অধিকার কেড়ে নিয়ে পদ্মফুলের জেলা পরিষদকে জোড়াফুলের জেলা পরিষদ করা হয়েছিল। তারপরও কিছু জিপিকে পুলিশ পাঠিয়ে, গাঁজার কেস দিয়ে অনেক পঞ্চায়েতে প্রধান উপপ্রধান গায়ের জোরে নিয়েছে।”
কুণালের তোপ
কুণাল ঘোষ বলেন, “শুধুমাত্র সুরক্ষা কবচের জন্য, আদালত ও এজেন্সির রক্ষা কবচ নিয়ে ধরাকে সরা জ্ঞান করছেন শুভেন্দু। একদিন সময় আসবে যখন এর বদল হবে।” একইসঙ্গে কুণাল বলেন, শুভেন্দু অধিকারী বা বিজেপির কারও কোনও অধিকার নেই শ্রীরামকৃষ্ণদেব, বিবেকানন্দ, চৈতন্যদেবের পায়ের কাছে ফুল রাখার। কারণ তাঁরা ধর্মকে মানুষের সেবা হিসাবে দেখতে চেয়েছেন। কুণালের কটাক্ষ, “এই বিজেপি এবং তার এই চার আনার শুভেন্দুর মতো নেতারা সেভাবে দেখে না। শুভেন্দুর মতো বিজেপি নেতারা হিন্দুত্বের নামে কলঙ্ক।” সিবিআই, ইডির হাত থেকে বাঁচতে এরা এই হিন্দুত্বকে ব্যবহার করেন বলে তোপ দাগেন তিনি।