Abhishek on Kurmi: পাথর মেরে স্মারকলিপি দিতে চান? মন্ত্রীকে ইট ছুড়ছেন, এটা কী ধরনের আন্দোলন?: অভিষেক
Abhishek on Kurmi: শুধু অভিষেক নয় সুর চড়িয়েছেন মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদাও। সাফ বলেছেন কোনও কুড়মি নেতাকে ছেড়ে কথা বলা হবে না। ইতিমধ্যেই শালবনির ঘটনায়, ঝাড়গ্রামের পুলিশ সুপারের কাছ থেকে রিপোর্টও চেয়ে পাঠিয়েছে নবান্ন। এমনটাই খবর সূত্রের।
কলকাতা: “আপনারা বলছেন স্মারকলিপি দিতে চান। পাথর মেরে স্মারকলিপি দিতে চান? আপনাদের বিরুদ্ধে দিলীপ ঘোষ বলছে জামা-কাপড় খুলে নেব, বিজেপির নেতারা বড় ভাষণ দিচ্ছে। তখন আপনাদের কী হয়?” গোপীবল্লভপুরের দলীয় কর্মসূচি থেকে এ ভাষাতেই কুড়মি আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhisekh Banerjee)। সূত্রের খবর, শালবনির এই ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই ডিজি, মুখ্যসচিবের সঙ্গে কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। পাশাপাশি ঝাড়গ্রামের পুলিশ সুপারের কাছ থেকে রিপোর্টও চেয়ে পাঠিয়েছে নবান্ন।
এদিন গোপীবল্লভপুরে অভিষেক বলেন, “সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের উপর ইট ছুড়ছেন। রাজ্যের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদাকে ইট ছুড়ে মারছেন। বাইকে করে যে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা যাচ্ছিলেন তাঁদের গলায় গামছা দিয়ে টেনে ধরেছেন। এ কিসের আন্দোলন? কবে এরকম আন্দোলন হয়েছে? আন্দোলন তো আমরা শিখেছি গান্ধীজির থেকে। ব্রিটিশদের বিতাড়িত করতে অহিংসার পথ বেছে নিয়েছিলেন। আন্দোলন করে, অনশন করে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চুলের মুঠি ধরে সিঙ্গুরের বিডিও অফিস থেকে বের করে দিয়েছিল। তারপরও ২৬ দিন শান্তিপূর্ণ অনশন করে, মানুষের ভরসা অর্জন করে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। আপনারাও আন্দোলন করুন না। শান্তিপূর্ণভাবে করুন। আপনারা বলছেন স্মারকলিপি দিতে চান। পাথর মেরে স্মারকলিপি দিতে চান? আপনাদের বিরুদ্ধে দিলীপ ঘোষ বলছে জামা-কাপড় খুলে নেব, বিজেপির নেতারা বড় ভাষণ দিচ্ছে। তখন আপনাদের কী হয়?”
শুধু অভিষেক নন, সুর চড়িয়েছেন মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদাও। সাফ বলেছেন কোনও কুড়মি নেতাকে ছেড়ে কথা বলা হবে না। অন্যদিকে অভিষেক বলছেন, “আমরা কোনও হিংসার ঘটনাকে সমর্থন করি না। আমি বুথের সভাপতিদের বলছি কোনও প্ররোচনায় পা দেবেন না। যারা আন্দোলনের নামে জল্লাদদের উল্লাস মঞ্চ করে এই ঝাড়গ্রামে যারা অশান্তি ফিরিয়ে আনতে চাইছে, ঝাড়গ্রামের মানুষরা শপথ নিন এদের ক্ষমা করবেন না। এর পিছনে কোন রাজনৈতিক নেতা রয়েছে আমরা সব জানি। আদিবাসী কুড়মি সমাজ বলে যদি ওরা দাবি করে তাহলে ওদের মুখে জয় গরামের স্লোগান হবে, জয় শ্রীরামের স্লোগান হবে কেন?”
এ ঘটনায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “আমরা কোনও ধরনের হিংসাকে সমর্থন করি না সেটা যার উপরেই হোক না কেন। আমার মনে হয় এর একটা সমাধানের রাস্তা খোঁজা উচিত। এইভাবে দিনের পর দিন যদি ঘেরাও আন্দোলন চলতে থাকলে রাজ্য সরকারের উচিত সবপক্ষকে নিয়ে আলোচনার টেবিলে বসা।”