Humayun Kabir: ‘রেজাল্টের দিন বিকেল ৪টের সময় জবাব দেব’, ফাইনাল চোতা খেয়ে হুমায়ুনের হুঙ্কার
Humayun Kabir: যদিও এত বিতর্ক এত চাপানউতোর সবকিছুরই উত্তর তিনি দেবেন। তবে এখনই নয়। অপেক্ষা করতে হবে ছাব্বিশের ভোটের রেজাল্টের জন্য। প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিককালে কাশেম সিদ্দিকী থেকে তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ ‘পলিটিক্স’ নিয়ে নানা বিতর্কিত মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছিল হুমায়ুনকে।

কলকাতা: একবার নয়, আগে দু’বার এসেছে শোকজ নোটিস। এবার এক্কেবারে ‘লাস্ট ওয়ার্নিং’। ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে চিঠি। সূত্র বলছে, এরপরেও কথা না শুনলে হুমায়ুন কবীরের বিধায়ক পদ নিয়েও পদক্ষেপ করা হতে পারে। শুক্রবার বিধানসভায় হুমায়ুন কবীরকে নিজের ঘরের ডেকে পাঠান শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তারপর তাঁকে দলের নির্দেশের কথা জানিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু, এত কিছুর পরেও বেশ নির্লিপ্তই দেখা গেল ভরতপুরের বিধায়ককে। হাসিমুখেই বের হলেন বিধানসভা থেকে। সাংবাদিকরা ছেঁকে ধরতেই বিতর্কিত হুমায়ুনের সাফ কথা, ‘এখন আমি কিচ্ছু বলব না। নো কমেন্টস। যখন সময় আসবে তখন জানতে পারবেন।’ কিন্তু বলব না বলব না করেও বলে দিলেন অনেক কথাই। দলের মধ্যে চলা কোন্দল নিয়ে বেশ কিছু ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্যও করতে দেখা গেল। অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চলবেই, এখনই চুপ করছেন না তিনি। তাও জানালেন অকপটে।
‘কলকাঠি নাড়ছে’
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বারবার জেলার স্তরের সাংগঠনিক বিন্যাস নিয়ে সরব হতে দেখা যায় তাঁকে। সরব হন ব্লক সভাপতিদের নিয়েও। পিছন থেকে কলকাঠি নাড়ছে জেলার নেতারাই? হুমায়ুনের সাফ কথা, ‘তা ছাড়া আবার কী’। তিনি বলেন, “আমি রাজ্য নেতৃত্বের প্রতি পূর্ণ আস্থা রেখে বলছি আমার জেলার রাজনীতি যেভাবে চলছে, যেভাবে নেতা বাছা হচ্ছে, যেভাবে নেতৃত্বরা কথার খেলাপ করছেন তা তেইশের পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে থেকে সর্বোচ্চ নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে। আমাকে অন্য জায়গায় নেত্রী ভোটে লড়তে পাঠিয়েছিলেন। সেখানেও সবথেকে বেশি মার্জিনে সবথেকে বেশি ভোটে আমি নির্বাচিত হয়েছে। সেখানকার ব্লক সভাপতিরাও পদে পদে আমাকে অসম্মান করে। এই অন্যায়ের বিরোধিতা আমি করেছি, করব। এর জন্য যা সিদ্ধান্ত নেবে আমি মেনে নেব।”
২০০-র নিচে নেমে যাবে তৃণমূল?
যদিও এত বিতর্ক এত চাপানউতোর সবকিছুরই উত্তর তিনি দেবেন। তবে এখনই নয়। অপেক্ষা করতে হবে ছাব্বিশের ভোটের রেজাল্টের জন্য। প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিককালে কাশেম সিদ্দিকী থেকে তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ ‘পলিটিক্স’ নিয়ে নানা বিতর্কিত মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছিল হুমায়ুনকে। দলের একাধিক পদক্ষেপে বাংলার সংখ্যালঘুরা তৃণমূলের উপর আস্থা হারাচ্ছেন বলেও মত হুমায়ুনের। তাঁর দাবি এই অবস্থা চললে ২০২৬ সালে তৃণমূলের আসন ২০০-র নিচে নেমে যাবে। এদিন এ নিয়ে প্রশ্ন করতেই তিনি বলেন, “আমি কী বলছি, দলনেত্রী কী বলছেন, সেনাপতি কী বলছেন তা ২০২৬ সালের নির্বাচনের রেজাল্টের দিনে বিকাল চারটের সময় জবাব দেব।” এরপরই তাঁর সংযোজন, “আমি বলেছি ১৯৫ থেকে ১৯৮ হবে, আর কেউ বলছেন ২৫০ হবে। ২০২৬ সালের ইলেকশনের নোটিফিকেশন দেওয়া থেকে ভোটের কাউন্টিং শেষে রেজাল্ট বের হওয়ার পর কোনটা ঠিক তার উত্তর দেব।”
