Jiban Krishna Saha: কেন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক এড়িয়ে গ্রামীণ ব্যাঙ্কই এত পছন্দ জীবনের? বিস্ফোরক অভিযোগ আনছে ED
ED on Jiban Krishna Saha: অভিযোগ খতিয়ে দেখার পরেই তারা সন্দেহজনক আর্থিক লেনদেনের সূত্র ও কারণ সম্পর্কে তদন্ত করে। কিন্তু গ্রামীণ ব্যাঙ্কগুলির কাছে পর্যাপ্ত পরিকাঠামো না থাকায় তারা কোনও সন্দেহজনক লেনদেন দেখলে FIU-কে জানাতে পারে না।

কলকাতা: অ্যাকাউন্টে ঢুকবে চাকরি বিক্রির টাকা। তাই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক এড়িয়েছিলেন জীবনকৃষ্ণ। দুর্নীতির জন্য অ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন গ্রামীণ ব্যাঙ্কে। তদন্তে নেমে এমনটাই জানতে পারছে এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট। ইডি সূত্রে খবর, কোনও রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কে সন্দেহজনক লেনদেন হলে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ কেন্দ্রীয় এজেন্সি ফিনান্সিয়াল ইনভেস্টিগেশন ইউনিটকে (FIU) জানায়।
অভিযোগ খতিয়ে দেখার পরেই তারা সন্দেহজনক আর্থিক লেনদেনের সূত্র ও কারণ সম্পর্কে তদন্ত করে। কিন্তু গ্রামীণ ব্যাঙ্কগুলির কাছে পর্যাপ্ত পরিকাঠামো না থাকায় তারা কোনও সন্দেহজনক লেনদেন দেখলে FIU-কে জানাতে পারে না। গ্রামীণ ব্যাঙ্কের ক্ষেত্রে এই অসুবিধাকে সুযোগ হিসেবে কাজে লাগিয়ে সেখানে অ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন জীবন। সেই অ্যাকাউন্ট গুলির মাধ্যমেই দুর্নীতির লেনদেন করেছিলেন তিনি, অভিযোগ ইডির।
যে গ্রামীণ ব্যাঙ্কে জীবনের দুর্নীতির অ্যাকাউন্ট রয়েছে সেই ব্যাঙ্কের সদর দফতর বিধায়কের জেলা মুর্শিদাবাদে। সেটাও বাড়তি সুযোগ ছিল জীবনের। ইডি সূত্রে খবর, জীবন ও তাঁর স্ত্রীর নামে ৪টির বেশি অ্যাকাউন্ট রয়েছে গ্রামীণ ব্যাঙ্কে। ২০১৭ থেকে ২০১৮ অর্থবর্ষে খোলা হয়েছিল অ্যাকাউন্টগুলি। ওই সময়ই দুর্নীতি শুরু হয়েছিল। ইতিমধ্যেই জীবন ও তাঁর স্ত্রীর নামে এখনও পর্যন্ত মোট বারোটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ পেয়েছে ইডি। তবে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে এখনও পর্যন্ত সন্দেহজনক লেনদেনের খোঁজ পাওয়া যায়নি।
