Uttarakhand Tourism: পুজোর পরেই পাহাড়? ঘুরে আসুন উত্তরাখন্ডের সেরা এই ৫ জায়গায়…
বর্ষাকালে সবুজে ঢাকা পাহাড়, রডোডেন্ড্রন ফুল, অর্কিডে এক অন্যরূপ নেয় উত্তরাখন্ড...
‘দেবভূমি’ বলে পরিচিত ভূমি, একাধিক হিন্দু দেবদেবীর মন্দির রয়েছে এইখানে। এছাড়াও উত্তরাখন্ড নৈসর্গিক সৌন্দর্য্য় ও সবুজ প্রকৃতির জন্য পর্যটকদের প্রিয় জায়গা। ভাবর এবং তরাই অংশে সবচেয়ে বেশি পর্যটক আসে প্রতিবছর। পুজোয় পাহাড়ে যাবেন? পাহাড়, ঝরণা, সবুজ, মেঘ এবং একাধিক মন্দিরে সমৃদ্ধ উত্তরাখন্ডের এই ৫ জায়গায় ঢুঁ দিয়ে আসুন চট করে…
১) ঋষিকেশ: হিমালয়ের পাদদেশে গঙ্গার ধারে পর্যটকদের অন্যতম এক পছন্দের জায়গা ঋষিকেশ অবস্থিত। সকালে সূর্যোদয় থেকে রাত অবধি শহরের কোণে কোণে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে রোমাঞ্চ। আধ্যাত্মিকতা, যোগাব্যায়াম, মন্দির ভ্রমণ থেকে রাতের থমথমে পাহাড়ের রোমাঞ্চ সবকিছুর আমেজ একসঙ্গে পেতে হলে আপনাকে যেতেই হবে ঋষিকেশ। এখানে জঙ্গল সাফারি করতে হলে আপনার জন্য রয়েছে রাজাজি ন্যাশনাল পার্কের ঠিকানা। নদীর উপর দিয়ে গেছে রামঝুলা, লক্ষ্মণঝুলা, আপনি চলেছেন এক ঝোলা ব্রীজ দিয়ে, আর নীচে উত্তাল নদী বয়ে চলেছে, এই অনবদ্য ঘটনার সাক্ষী হতে পারবেন এখানেই। এছাড়াও একাধিক নাম করা মন্দির, গঙ্গার ঘাটে আরতি, এবং পাহাড়ি গ্রাম আকর্ষণ করবেই আপনাকে।
২) চোপতা: মিনি সুইৎজারল্যান্ড অব উত্তরাখন্ড বলে পরিচিত শহর চোপতা। ঋষিকেশ থেকে ১৬২ কিমি পথ পেরিয়ে যেতে হবে চোপতায়। গাড়োয়াল হিমালয়ের এক জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র এটি। বর্ষাকালে সবুজে ঢাকা পাহাড়, রডোডেন্ড্রন ফুল, অর্কিডে এক অন্যরূপ নেয় চোপতা, আবার শীতে বরফে ঢাকা শহর হয়ে ওঠে রোম্যান্টিক। সূর্যোদয়, পাহাড়ে ট্রেকিং, এভারেস্টের বেস ক্যাম্প এবং আরও বেশ কিছু রয়েছে সাইড সিনে। এখান থেকে নন্দাদেবী, ত্রিশূল, বান্দারপাঞ্চ, ছাউখাম্বা ছাড়াও হিমালয়ের বেশ কয়েকটা পিক দেখতে পাবেন।
৩) মুসৌরি: মুসৌরিকে পাহাড়ের রাণী বলা হয়ে থাকে। দেরাদুন থেকে ৩৮কিমি দূরে এই শহর অবস্থিত। সপ্তাহন্তে পর্যটকদের জন্য অন্যতম এক সেরা জায়গা দল মুসৌরি। একটা গাড়ি নিয়ে চলে যাবেন গান পাহাড়ে, শহরের প্যানোরমা ভিউ দেখা যাবে গোটা শহরটার। অপূর্ব ঝর্ণা, দিগন্ত জোড়া পাহাড় আর পুরমো স্থাপত্যে ঘেরা শহরে প্রাণ ফিরে পাবেন আপনি।
৪) নৈনিতাল: নৈনিতালকে ‘হ্রদের শহর’ বলে পরিচিত। উত্তরাখন্ডের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং রোম্যান্টিক জায়গা এটি। উত্তরাখন্ড গেলে পর্যটকরা সাধারণত এই শহরে যান ঘুরতে।
৫) জিম কর্বেট ন্যাশনাল পার্ক: ভারতের সবচেয়ে পুরনো জঙ্গল হল জিম কর্বেট ন্যাশনাল পার্ক। ৫২০ বর্গক্ষেত্রের জায়গা জুড়ে পাহাড় এবং জঙ্গল, সেখানে হাতি সাফারি, জিপ সাফারি, ক্যান্টার সাফারির সুযোগ পাবেন আপনি। অসম্ভব আনন্দ এবং রহস্য উন্মোচন করতে হলে জিম কর্বেট ন্যাশনাল পার্কে আপনাকে যেতে হবে।
আরও পড়ুন: জেনে নিন নাগাল্যান্ডের ‘হর্নবিল উৎসব’-এর অজানা কিছু তথ্য…