Sweat Smell: এইভাবে স্নান করুন, বগলে থাকবে না ঘামের গন্ধ হবে না ফাঙ্গাল…
Body Odor: ঘামের সঙ্গে শরীরের উপস্থিত ব্যাকটেরিয়া মিশলেই দুর্গন্ধ ছড়ায়। এবার এই গন্ধ কারোর ক্ষেত্রে খুব বেশি হয় আর কারোর ক্ষেত্রে কম
ঘাম শরীরের স্বাভাবিক রেচক। শরীরের অতিরিক্ত বর্জ্য যে পদার্থ থাকে তা ঘামের মাধ্যমেই বাইরে আসে। ঘাম না হওয়া বরং খারাপ। যে কারণে সরীরচর্চা করার সময়ও বলা হয় যে এমন ভাবে দৈহিক কসরত করতে হবে যাতে শরীর থেকে ঘাম ঝরে। এছাড়াও আর্দ্র আবহাওয়া থাকলে তো কথাই নেই। তবে ঘাম তো সকলেরই হয়। কিছু কিছু মানুষের ঘামে কটূ গন্ধ থাকে। সেই গন্ধে তিনি শুধু নিজেই নন, তাঁর আশপাশে থাকা সকলেও বিব্রত বোধ করেন। ঘামের গন্ধ ঢাকতে প্রচুর জন ডিও ব্যবহার করেন। এতে কিছুজনের ক্ষেত্রে কাজ হয়। কিন্তু সকলের জন্য ডিও মোটেই কার্যকরী নয়। বরং ঘামের গন্ধ আর ডিও-র সুগন্ধের মিলমিশে অদ্ভূত কটূ গন্ধ তৈরি হয়। এতে অন্যদের অনেক বেশি অস্বস্তিতে পড়তে হয়। তবে ঘামের এই গুর্গন্ধ খুব সহজেই দূর করা যায়। এর জন্য বিশাল অর্থ খরচ করতে হয়, এমনও কিন্তু নয়। শুধু মেনে চলতে হবে ২ টি পদ্ধতি। এই ভাবে নিয়ম মেনে রোজ বগল পরিষ্কার করলে ঘামের গন্ধ কম হবে। নিজেও থাকবেন ফিরেশ। সেই সঙ্গে ব্যাকটেরিয়া ঘটিত সংক্রমণের সম্ভাবনাও থাকবে না।
ঘামের দুর্গন্ধ এড়ানোর প্রথম এবং সাধারণ উপায় হল নিজেকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা। রোজ নিয়ম করে সাবান মেখে ভাল করে স্নান করতে হবে। যদি বগল থেকে বেশি ঘাম হয় বা দুর্গন্ধ ছড়ায় তাহলে ওখানেও সাবান দিতে হবে। সেই সঙ্গে স্নানের জলে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল কোনও কিছু মিশিয়ে দিন। তাহলে ছত্রাক সংক্রমণের সম্ভাবনাও কমে যাবে। পরিষ্কার হয়ে তবেই কোনও ডিও বা ট্যালকম পাউডার ব্যবহার করুন। ঘ্মো জামায় বার বার ডিও বা সুগন্ধী পাউডার লাগালে কিন্তু কোনও কাজ হবে না। ঘর্মাক্ত জামায় ডিও মিশলে আরও সহজে ব্যাকটেরিয়া বংশবৃদ্ধি করতে পারে।
ঘামের কোনও গন্ধ নেই
ঘামের মধ্যে দিয়ে শরীরের যে অতিরিক্ত রেচক বাইরে আসে তার মধ্যে কোনও গন্ধ থাকে না। ঘামের সঙ্গে শরীরের উপস্থিত ব্যাকটেরিয়া মিশলেই দুর্গন্ধ ছড়ায়। এবার এই গন্ধ কারোর ক্ষেত্রে খুব বেশি হয় আর কারোর ক্ষেত্রে কম। তবে বাজার চলতি অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল পাউডার বা তরলের উপর ভরসা না করে নিজেই বাড়িতে বানিয়ে নিন। সেই সঙ্গে মেনে চলুন এই কয়েকটি টোটকা
১.Armpit সব সময় পরিষ্কার করে ধুয়ে নিন। নিয়মিত ভাবে শেভও করতে হবে। ছেলে-মেয়ে উভয়কেই।
২.একটি পাত্রে জল নিয়ে তেজপাতা, তুলসিপাতা, নিমপাতা আর লবঙ্গ একসঙ্গে ফুটিয়ে নিন। এবার তা ছেঁকে স্নানের জলে মিশিয়ে নিন। এতেও ঘামের গন্ধ হয় না।
৩.লেবুর রস আর গোলাপ জল স্নানের জলে মিশিয়ে নিন। এই জলে স্নান করলেও উপকার পাবেন।
৪.আপেল সিডার ভিনিগার স্নানের জলে মিশিয়ে নিতে পারেন।
৫.টি ট্রি অয়েল তুলোতে করে নিয়ে বগলে লাগান। এতেও থাকবে না দুর্গন্ধ।
৬.পরিষ্কার কাচা জামাকাপড় পরুন। এক জামা দু দিনের বেশি না পরাই ভাল। নিজেকে নিয়মিত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন। এতেই কাজ হবে।