আমাদের আশেপাশের পরিবেশের উষ্ণতা একটু কমতে থাকলেই ত্বক আর্দ্রতা হারাতে শুরু করে। একই হাল হয় স্ক্যাল্পেরও। ঠিক সেই কারণেই খুশকির প্রকোপ বাড়তে থাকে। এক্ষেত্রে আমরা বাজারের নানান ধরনের দেশি-বিদেশি প্রসাধনী ব্যবহার করা শুরু করি। কিন্তু তাতে যে নিদারুণ উপকারিতা পাবেন তার বিশেষ গ্যারান্টি নেই।
সেক্ষেত্রে বেশ কিছু প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি বিভিন্ন ধরনের ঘরোয়া হেয়ার মাস্কের উপর ভরসা রাখতেই পারেন। তাতে খুশকির প্রকোপ তো কমবেই সেই সঙ্গে চুলের সৌন্দর্যও বাড়বে। এমনকি চুলের ঘন ঘন পড়ে যাওয়াও অনেকাংশে কমে যেতে পারে এই ঘরোয়া উপায়গুলো ব্যবহার করলে। একসঙ্গে এতগুলো উপকার পেতে জেনে নিন কীভাবে বাড়িতে এই ধরনের হেয়ার মাস্কগুলো তৈরি করবেন…
গ্রিন টির সঙ্গে মিন্ট অয়েল:
এক কাপ গ্রিন টি তৈরি করে ফেলুন। তার সঙ্গে দু-তিন ড্রপ মিন্ট এসেনশিয়াল তেল এবং এক চামচ সাদা ভিনিগার মিশিয়ে রেখে দিন। স্নান করার পরে এই মিশ্রণটি দিয়ে ভাল করে চুল ধুয়ে নিয়ে মিনিট পাঁচেক অপেক্ষা করে সালফেট ফ্রি শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে একবার এভাবে চুলের যত্ন নিলেই উপকার পাবেন।
লেবুর রসে কলা ও মধু:
চারটে কলা ভাল করে চটকে নিয়ে তার সঙ্গে এক চামচ মধু, চামচ দুয়েক অলিভ অয়েল এবং এক চামচ পাতিলেবুর রস মিশিয়ে সেই পেস্ট চুলের গোড়ায় এবং স্ক্যাল্পে লাগিয়ে মিনিট পনেরো অপেক্ষা করে চুল ধুয়ে নিন। সপ্তাহ মাত্র একবার এই পেস্টটি চুলে লাগাতে হবে, তাহলেই স্ক্যাল্প আর্দ্র থাকবে এবং পাতিলেবুর রসের গুণে খুশকির প্রকোপও কমবে।
লেবুর রসে দই ও মধু:
বাটিতে হাফ কাপ দই নিয়ে তার সঙ্গে এক চামচ পাতিলেবুর রস এবং সম পরিমাণ মধু মিশিয়ে ভাল করে ফেটিয়ে নিন। যখন দেখবেন প্রতিটি উপাদান একে অপরের সঙ্গে ঠিক মতো মিশে গেছে, তখন সেই মিশ্রণটি চুলে এবং স্ক্যাল্পে লাগিয়ে মিনিটকুড়ি অপেক্ষা করুন। সময় হলে সালফেট ফ্রি শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। সপ্তাহে বারদু’য়েক এই হেয়ার মাস্কটি চুলে লাগালে স্ক্যাল্পের ভিতরে pH ব্যালেন্স ঠিক থাকবে। সেই সঙ্গে হারিয়ে যাওয়া আর্দ্রতাও ফিরে আসবে, যে কারণে খুশকির সমস্যা কমতে সময় লাগবে না।
আরও পড়ুন: Post-Covid Hair Fall: করোনা হওয়ার পর অঝোরে চুল ঝরছে! চুল পড়া রোধ করার সহজ ও ঘরোয়া টিপস দেওয়া রইল…
আরও পড়ুন: Coconut Oil: শীতে আপনার ত্বকের কোমলতা বজায় রাখবে এই একটি মাত্র উপাদান! দেখে নিন কীভাবে ব্যবহার করবেন