Bridal Dupatta: নামমাত্র দামে ব্রাইডাল ডিজাইনার ওড়না, সেরা জিনিস কলকাতার কোথায় পাবেন?
Bengali Bridal Look: বিয়ের ওড়না স্মৃতি হিসেবে সারাবছর থেকে যায়। এই ওড়না দিয়েই গাঁটছড়া বাঁধা হয়
চলছে বিয়ের সিজন। আর বিয়ে মানেই যেন দক্ষযজ্ঞ। এখন প্রায় একবছর আগে থেকেই বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক হয়ে যায়। সেই মতো চলতে থাকে প্রস্তুতি। আগেভাগে বুকিং না করলে ভাল ফটোগ্রাফার, মেকআপ আর্টিস্ট, অনুষ্ঠান বাড়ি কোনও কিছুই পাওয়া যায় না। আর বিয়ে নিয়ে সব মেয়ের মনেই অনেক স্বপ্ন থাকে। বিয়ের দিনের সাজ, বেনারসি, মেকআপ এসব নিয়ে পরিকল্পনা থাকে অনেক দিনের। বাঙলি বিয়েতেও এখন অনেক ইভেন্ট। শুরু হয় সেই সঙ্গীত থেকে। তারপর আইবুড়োভাত, মেহেন্দি, সঙ্গীত, বিয়ের মূল অনুষ্ঠান এসব তো থাকেই। সকলেই চান বিয়ে হোক ঠিক রূপকথার মত আর তাই প্রচুর প্রচুর পয়সা খরচ করতেও কেউ পিছপা হন না। বেশ কয়েক বছর ধরে এই ট্রেন্ডই চলছে।
কেনাকাটা নিয়েও এখন অনেক রকম এক্সপেরিমেন্ট চলে। কোন দিন কেমন পোশাক পরবেন, সেই পোশাকের রং কেমন হবে তা নিয়ে নানা রকম ভাবনা থাকে। অনেকেই এখন বিয়ের দিন লাল শাড়ি পরতে চান না। পরিবর্তে গোলাপি, লাল-সাদা, সবুজ, হলুদ এরকম নানা রং বেছে নেন। এমনকী রিসেপশনেও লুক নিয়ে অনেক এক্সপেরিমেন্ট চলে। শহরের সেরা দোকান খুঁজে খুঁজে সকলেই চান নিজের বিয়ের জন্য সবথেকে ভাল শাড়িটা কিনতে। আর এই বিয়ের বেনারসির মধ্যে জড়িয়ে থাকে অনেক রকম ইমোশন। সকলের কাছে তাঁর শাড়িই সেরা। বিয়ের সঙ্গে ম্যাচিং ডিজাইনার ব্লাউজের চাহিদাও আগের তুলনায় অনেকখানি বেড়েছে। অনেক দোকানেই এখন ডিজাইনার ব্লাউজ পাওয়া যায়। এছাড়াও চাহিদা মতো বিভিন্ন ডিজাইনাররাও তা কাস্টমাইজ করে দেন। বিয়ের শাড়ি, গয়না, মেকআপের মত ইদানিং মেয়েরা বিয়ের ওড়না নিয়েও খুব খুঁতখুঁতে।
বিয়ের ওড়না স্মৃতি হিসেবে সারাবছর থেকে যায়। এই ওড়না দিয়েই গাঁটছড়া বাঁধা হয়। বলিউডের অনেক তারকাই এখন বিয়ের ওড়নায় তাঁর প্রিয়র জন্য বিশেষ কোনও লাইন লেখেন। গত বছর পত্রলেখা পালের বিয়ের ওড়না নিয়েও হইচই শুরু হয়েছিল। সব্যসাচী মুখোপাধ্যায়ের ডিজাইন করা সেই ওড়নায় লেখা ছিল- ‘আমার পরান ভরা ভালবাসা আমি তোমায় সমর্পণ করিলাম’। এরপর থেকে অধিকাংশ কনেই তাঁর বিয়ের ওড়নায় স্বামীর জন্য রাখতে চাইছেন বিশেষ চমক। কলকাতার অধিকাংশ ডিজাইনার এখন এমন ওড়না বানিয়ে দেন কনেদের চাহিদা মতো। তবে এমন ওড়না সস্তায় কিনতে পাবেন বাজারেও।
কলকাতার বড়বাজারে বাগড়ি মার্কেটের পাশে রয়েছে জগদম্বে বুটিক। সেখানে ৫০০- ২০০০ টাকার মধ্যে পেয়ে যাবেন চোখ ধাঁধানো সব ওড়না। এছাড়াও পগেয়া পট্টী স্ট্রিটে পাবেন ডিজাইনার ওড়নার বিপুল সম্ভার। পার্ক স্ট্রিটেও রয়েছে প্রচুর দোকান। সেখানেও পেয়ে যাবেন ডিজাইনার ব্রাইডাল ওড়না।