Diet After C Section Delivery: সি সেকশন ডেলিভারি হলে মহিলাদের কিছু বিশেষ খাবার খেতে হয় স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যেতে…
নারীর খাদ্য তালিকায় প্রোটিন, ফাইবার, আয়রন, ক্যালসিয়ামের মতো পুষ্টি উপাদান অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন। তবে সি-সেকশন ডেলিভারির পর মহিলার পরিপাকতন্ত্রের অবনতি হয়, তাই তিনি সবকিছু খেতে পারেন না।
একজন মহিলার স্বাভাবিক প্রসব হলে শরীর খুব তাড়াতাড়ি আগের অবস্থায় ফিরে আসতে পারে। তবে সি-সেকশন ডেলিভারিতে মহিলার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে কিছুটা সময় লাগে। এমতাবস্থায় তাঁকে অনেক বেশি সময় বিশ্রাম আর খাবারের প্রতি বিশেষ নজর দিতে হবে। অস্ত্রোপচারের কারণে শরীর এমনিতেই দুর্বল থাকে, তার ওপর আবার সদ্যজাতকে খাওয়াতেও হবে। অতএব, হাসপাতাল থেকে ছাড়ার পরে মহিলার ডায়েটের দিকে বিশেষ মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন।
এই অবস্থায় নারীর খাদ্য তালিকায় প্রোটিন, ফাইবার, আয়রন, ক্যালসিয়ামের মতো পুষ্টি উপাদান অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন। তবে সি-সেকশন ডেলিভারির পর মহিলার পরিপাকতন্ত্রের অবনতি হয়, তাই তিনি সবকিছু খেতে পারেন না। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে মহিলার ডায়েট প্ল্যান তৈরি করতে হবে। ওয়েলনেস ডায়েট ক্লিনিক, লখনউ-এর ডায়েটিশিয়ান ডাঃ স্মিতা সিং-এর কাছ থেকে জেনে নিন কোন কোন খাবার সিজারিয়ান ডেলিভারির পরে একজন মহিলার দ্রুত পুনরুদ্ধারে সাহায্য করতে পারে।
দুধ ও দই:
ক্যালসিয়ামের ঘাটতি কাটিয়ে উঠতে, একজন মহিলাকে তাঁর খাদ্যতালিকায় দুধ এবং দই অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এর জন্য প্রতিদিন এক গ্লাস কম চর্বিযুক্ত দুধ পান করুন। এছাড়া দুপুরের খাবারের সঙ্গে দই খান। শীতকালে মাখন, হলুদ, লবঙ্গ, এলাচ ইত্যাদি যোগ করে দুধ খেতে পারেন।
ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার:
সিজারিয়ান ডেলিভারির পরে, নয়তো পাচনতন্ত্র বিঘ্নিত হয়। এ কারণে অনেক সময় কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হয়। সেই সঙ্গে ভিতরের ক্ষত সারতেও সময় লাগে। এমতাবস্থায় খাদ্যতালিকায় বেশি করে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া দরকার। এর জন্য আপনার খাদ্যতালিকায় ফল ও শাকসবজি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। আঁশযুক্ত ফল খান এবং স্যালাড খান। এ ছাড়া ডাল, মটরশুঁটি, সবুজ ছোলা, স্ট্রবেরি, মিষ্টি আলু ইত্যাদি খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করুন।
ডিহাইড্রেশন:
সিজারিয়ান ডেলিভারির পর শরীরে যেন জলের ঘাটতি না হয় সেদিকে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে। জলশূন্যতার কারণে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও বেড়ে যায়। এটি এড়াতে প্রচুর জল পান করুন। এ ছাড়া ভেষজ চা, নারকেলের জল ও স্যুপ পান করুন। আদা-গাজরের স্যুপ, টমেটো স্যুপ, বিটরুট স্যুপ পান করতে পারেন।
তাজা খাবার খান:
অন্তত ৬ মাস বাড়িতে রান্না করা তাজা খাবার খান। বাইরের খাবার এবং চর্বি, মশলাযুক্ত খাবার সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে চলুন। রাতের খাবার যেকোনও অবস্থাতেই ৮ টার মধ্যে খেয়ে ফেলুন, যাতে তা হজমের জন্য পুরো সময় পায়। গভীর রাতে খিদে পেলে মাখন, ঢেঁকি ভাত ইত্যাদি খেতে পারেন।