World Coconut Day: ‘কল্পবৃক্ষ’ নিয়ে ১০ অজানা তথ্য, যা আপনার অবশ্যই জানা উচিত
নারকেলের জল, তেল , দুধ সারা বিশ্বে বহু খাবারের রেসিপি তৈরির উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এছাড়া প্রাকৃতিক গুণে ভরা এই নারকেল স্বাস্থ্যকর খাবার হিসেবেও মানা হয়।
উডুপির নারকেলের চাটনি, বাঙালির প্রিয় নারকেল নাড়ু বা থাই রেসিপি, কিংবা অসাধারণ স্বাদের পিনাকোলাডা- সবেতেই নারকেলের জাদু মেশানো থাকে। ভারত-সহ এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বেশ কয়েকটি দেশে প্রতিবছর ২ সেপ্টেম্বর বিশ্ব নারকেল দিবস হিসেবে পালন করা হয়।. বিশ্বের প্রতিটি নারকেল উত্পাদনকারী দেশের জন্য এই দিনটি বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় এশিয়ান প্যাসিফিক কোকোনাট কমিউনিটির সংগঠকরা এই দিনটিকে নারকেল দিবস হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত নেয়। সেই কমিটির মধ্যে রয়েছে ভারতের নানও। তাই এই বিশেষ দিনটির সঙ্গে গা ভাসিয়ে নারকেলে মজে থাকে ভারতও।
নারকেলের জল, তেল , দুধ সারা বিশ্বে বহু খাবারের রেসিপি তৈরির উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এছাড়া প্রাকৃতিক গুণে ভরা এই নারকেল স্বাস্থ্যকর খাবার হিসেবেও মানা হয়। নারকেলের সব অংশই মানবজাতির কাছে বেশ উপকারী। নারকেল গাছের পাতা থেকে ঝুড়ি,ঝাড়ু, চাটাই এমনকি অলংকারের জিনিসপত্রও তৈরি করা যায়। এছাড়া এতে প্রাকৃতিক ইলাস্টিক ফাইবারের জন্য দড়ি, স্ট্রিং, স্টাফিং তৈরিতেও ব্যবহার করা হয়। নারকেলের বিভিন্ন প্রসাধণী পণ্যেরও একটি প্রধান উপাদান। এর খোসা ও ছোবড়া জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত। নারকেলের এই হঅংশ কাঠকয়লার বিকল্প হিসেবে ভাল উত্স।
বিশ্ব নারকেল দিবসে, নারকেল নিয়ে জানা ও অজানা কিছু তথ্য দেওয়া রইল, দেখে নিন একনজরে…
১. ইংরেজিতে নারকেলকে কোকনাট বলা হয়। কিন্তু নারকেল কোনও অংশেই বাদামের বিভাগের মধ্যে পড়ে না। আম, চেরি, কাজুর মতো এটি একটি ফল, যার বাইরের দিকটি কঠিন ও ভিতরের অংশ শাঁসালো ও প্রাকৃতিক জলে ভর্তি।
২., বলা হয়, নারকেলের উত্পত্তিস্থল আসলে ইন্দো-মালায়া এলাকায়। পর্তুগিজ শব্দ কোকো থেকে এর নামকরণ করা হয় কোকোনাট। যার অর্থ হল, মাথা বা খুলি।
৩. মারকেল গাছের বিজ্ঞানসম্মত নাম Cocos nucifera। সাধারণত ৪২ ফুট বা ২৫ মিটার পর্যন্ত এই গাছ দীর্ঘ হয়।
৪. একটি গাছ বার্ষিক ৬০ থেকে ১৮০ নারকেল দিতে সক্ষম। প্রতিটি ফল পুরোপুরি পাকতে একবছরের মতো সময় লাগে। একটি প্রাপ্তবয়স্ক গাছ বছরের ১৩ বার নারকেল উত্পাদনে সক্ষম।
৫. নারকেল ভারী হলেও জলে ডুবে যায় না। জলের উপরে ভাসতে দেখা যায়।
৬. ভারত, ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইন বিশ্বের সবচেয়ে বড় নারকেল উত্পাদনকারী দেশ।
৭. মশা তাড়ানোর জন্য প্রাকৃতিকভাবে নারকেলের ছোবড়া পোড়ানো হয়। ভারতের বিভিন্ন রাজ্য়ে এমন পদ্ধতি দেখা যায়।
৮. দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়, চিকিত্সার সামগ্রীয় প্রায় তলানিতে গিয়ে ঠেকেছিল, সেইসময় সেনাদের ডিহাইড্রেশন দূর করতে চিকিত্সকরা নারকেল জল ব্যবহার করেছিলেন। তবে এই তথ্য নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।
৯. সংস্কৃতে নারকেল গাছকে কল্পবৃক্ষ, স্বর্গের বৃক্ষ বলা হয়। কারণ জীবনযাপনের জন্য প্রয়োজনীয় সব উপাদানই এতে রয়েছে। আসলে নারকেল গাছের প্রায় সব অংশই দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার করা যায়।
১০. নারকেলের দুধ ও জল শরীরের নানান সংক্রমণ ও ভাইরাস থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন: ঠান্ডা লেগে জ্বর-সর্দি-কাশিতে জেরবার! দ্রুত সুস্থ হতে হোমিওপ্যাথি ওষুধের উপর ভরসা রাখুন