ঠান্ডা লেগে জ্বর-সর্দি-কাশিতে জেরবার! দ্রুত সুস্থ হতে হোমিওপ্যাথি ওষুধের উপর ভরসা রাখুন
হোমিওপ্যাথির গুণে এই ঠান্ডা লাগার সমস্যার জন্য দারুণ কার্যকরী। হোমিওপ্যাথিতে পুরোটাই প্রাকৃতিক পদার্থ থাকে। এর কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।
বর্ষাকালে স্যাতস্যাঁতে আবহাওয়ার কারণে তো বটেই, ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে সর্দি, গলা ব্যাথা, মাথাব্যাথা, কাশির সাধারণ লক্ষণ দেখা যায়। করোনার সময় এই উপসর্গ আতঙ্কের হলেও, সাধারণ ফ্লুয়ের কারণেও এই সাধারণ উপসর্গগুলি দেখা যায়। কিন্তু যতটা সাধারণ বলা হোক না কেন, ঠান্ডা লেগে সর্দি, বারবার হাঁচি ও কাশির জেরে প্রাণ ওষ্ঠাগত হওয়ার জোগাড়। এই অবস্থায় চিকিত্সার জন্য মুড়িমুড়কির মতো অ্যান্টি-বায়োটিক না খেয়ে দেশি চিকিত্সাতেও ভরসা রাখতে পারেন। তাতে উপকার পাবেন দ্রুত। হোমিওপ্যাথির গুণে এই ঠান্ডা লাগার সমস্যার জন্য দারুণ কার্যকরী। হোমিওপ্যাথিতে পুরোটাই প্রাকৃতিক পদার্থ থাকে। এর কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।
বর্ষায় ও ঋতু পরিবর্তনের সময় সর্দি-কাশির চিকিত্সায় ব্যবহৃত কিছু হোমিওপ্য়াথি ওষুধ সম্পর্কে আলোচনা করা হল, দেখে নিন একনজরে…
অ্যাকোনাইট (Aconite): ঠান্ডা বা শুষ্ক আবহাওয়ার সংস্পর্শে আসার পর ঠান্ডা এবং কাশির প্রাথমিক পর্যায়ে এই ওষুধটি নির্ধারিত হয়। এটি সাধারণত জ্বর আসার প্রথম ২৪ ঘন্টার মধ্যে দেওয়া হয়।
অ্যালিয়াম সিপা (Allium cepa): অ্যালিয়াম সিপা হল হাঁচি এবং চোখ দিয়ে জল পড়া-সহ ঠান্ডার চিকিৎসার জন্য। এছাড়া ঠান্ডা লেগে রোগীর চোখ থেকে অনবরত জল না গড়িয়ে নাক দিয়ে কাঁচা সর্দি বের হলে, তার জন্য এই ওষুধটি দেওয়া হয়।
আর্সেনিকাম অ্যালবাম (Arsenicum Album): যদি ঘন ঘন হাঁচি হয়, নাক জ্বালা করে এবং সুড়সুড়ি দেয়, তাহলে আর্সেনিকাম অ্যালবাম গ্রহণ করা যেতে পারে। এই ওষুধটি কপালে ও মাথাব্যথা, বুকে জ্বালা ধরে যাওয়া, অস্থিরতা এবং উদ্বেগের চিকিৎসাযতেও কার্যকর।
ইউফ্রাসিয়া (Euphrasia): চোখ থেকে জল পড়া চিকিৎসার জন্য ইউফ্রাসিয়া নির্ধারিত হয়। দিনের বেলায় ঠান্ডার প্রকোপে কাশি বেশি হলে ও চোখের পাতা ফুলে গেলে এই হোমিওপ্যাথি অত্যন্ত কার্যকরী।
ফেরাম ফসফরিকাম (Ferrum phosphoricum): এই হোমিওপ্যাথি ওষুধ সমস্ত প্রদাহজনিত সমস্যা, লাল হয়ে যাওয়া চোখ, অনিদ্রা, দুর্বলতা এবং অতিরিক্ত গলা শুকিয়ে গেলে প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিত্সার জন্য কার্যকর।
জেলসেমিয়াম (Gelsemium): শরীর ব্যথা, সারা শরীর ভারী হওয়া, ক্লান্তি, অস্থিরতা এবং ঠাণ্ডা লাগলে জেলসেমিয়াম গ্রহণ করতে পারেন।
কালি বাইক্রোমিকাম (Kali bichromicum): এই ওষুধটি ঠান্ডা এবং নাক দিয়ে অনবরত কাঁচা সর্দির চিকিত্সার জন্য ব্যবহৃত হয়।
ফসফরাস (Phosphorus): এই হোমিওপ্যাথি ওষুধটি শুষ্ক কাশিতে ভোগা মানুষদের জন্য প্রদান করা হয়।, যা সকালে বা সন্ধ্যায় বা কথা বলার সময়, খাওয়ার সময়, হাসতে বা ঠান্ডা বাতাস শ্বাস নেওয়ার সময় বৃদ্ধি পায়।
ডোজ: আপনার অবস্থার তীব্রতার উপর ভিত্তি করে ডাক্তার আপনাকে ডোজ লিখে দেবেন। যদি আপনি ৩-৪ ডোজের পরেও কোনও উন্নতি লক্ষ্য না করেন, তাহলে ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।
আরও পড়ুন: Masks for coronavirus: ভ্যাকসিন সম্পূর্ণ হলেও ডাবল মাস্কিং কী জরুরি? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা