‘শর্মিলা ঠাকুরের হাত চেপে ধরতে ভয় পাচ্ছিলাম’, কেন বললেন বৃষ্টি
''ছবিতে একটা দৃশ্য আছে যেখানে আমি শর্মিলা ঠাকুরকে সাজিয়ে দিচ্ছি। চুড়ি পরিয়ে দিচ্ছি। আমি খুব আলতোভাবে ওঁর হাতটা ধরেছিলাম। আমাকে ধমক দিয়ে বললেন, ‘এভাবে আলতো হাতে ধরে কেউ চুড়ি পরায় নাকি? ঠিক করে চেপে ধরতে হবে’। একটা উল বোনার দৃশ্য ছিল। আমি একটু চেষ্টা করতেই উল-কাঁটায় ঘরগুলো তুলতে পারলাম। উনি আবার আমার থেকে দেখেও নিলেন। কিংবদন্তি একজন শিল্পী। সেখানে আমার থেকে শিখতে দ্বিধা করলেন না''

প্রথমে ধারাবাহিক, তারপর সিনেমায় অভিনয় করছেন বৃষ্টি রায়। ক’টা সিনেমা হয়েছে? একটু ভেবে তিনি বললেন, ছ’টা সিনেমা করেছেন। কখনও ভেবেছিলেন কি শর্মিলা ঠাকুরের সঙ্গে একটার পর একটা দৃশ্যে অভিনয় করবেন? এবার বৃষ্টি আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লেন। ‘পুরাতন’ ছবিতে ঠাম্মি শর্মিলার বাড়ির কাজে সব সময়ের সঙ্গীর যে চরিত্র, সেটাই করেছেন বৃষ্টি। তিনি খোলসা করলেন, ”যখন খুব ভিড় থাকে, তার মধ্যেও ঠাম্মি ঠিক খুঁজে আমাকে বের করেন। আজ বললেন, ‘বৃষ্টি ভারি সুন্দর দেখাচ্ছে’। ছবিতে একটা দৃশ্য আছে যেখানে আমি শর্মিলা ঠাকুরকে সাজিয়ে দিচ্ছি। চুড়ি পরিয়ে দিচ্ছি। আমি খুব আলতোভাবে ওঁর হাতটা ধরেছিলাম। আমাকে ধমক দিয়ে বললেন, ‘এভাবে আলতো হাতে ধরে কেউ চুড়ি পরায় নাকি? ঠিক করে চেপে ধরতে হবে’। একটা উল বোনার দৃশ্য ছিল। আমি একটু চেষ্টা করতেই উল-কাঁটায় ঘরগুলো তুলতে পারলাম। উনি আবার আমার থেকে দেখেও নিলেন। কিংবদন্তি একজন শিল্পী। সেখানে আমার থেকে শিখতে দ্বিধা করলেন না”। শর্মিলা ঠাকুর-ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর ছবি ‘পুরাতন’-এর স্ক্রিনিং হয়েছিল মুম্বইয়ে মামি-তে। বৃষ্টি বলছিলেন, ”ওই শহরে আমি কাউকে চিনি না। যেদিন গিয়েছি একটু ভয় লাগছিল। মনে হচ্ছিল, আজকে যেন কিছু ভুল না করি। কিন্তু আমার নামটা যখন ডাকা হলো, স্টেজে উঠে ঠাম্মিকে জড়িয়ে ধরলাম। ওঁকে আলিঙ্গন করে তখন মনে হচ্ছিল নিজের দিদা বা ঠাকুমাকে আঁকড়ে ধরেছি। এমনই টুকরো-টুকরো অনেক স্মৃতি আছে, যা আমার সারা জীবনের সঞ্চয়।”





